কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
বৃথা
একটাও গাছ নেই
তাই ছায়াও অনুপস্থিত
গ্রীষ্ম দুপুরের
গান থেমে গেলে পথ দুর্গম হবে
গাছের অভাবের
পায়ে মাথা ঠুকে ঠুকে চলে যাব?
অন্নভিক্ষায়
এসে সামান্য প্রাপ্তি নিয়ে এত ক্ষিদে ভরাব কখন?
নিজেকে খন্ড
করে ছোট করে দেখেছি
প্রাচীন রাক্ষস
আরও বিপুল হয়েছে
রক্তের রেখা
ধরে ধরে পদব্রজে তাই হয়তো কবিতা চলেছে...
ব্যথা যা করতে পারে
ভোরবেলা পায়ের
পেশীতে টান ধরে
একা ঘরে চেঁচানোর
মানে হয় না
ঘুম নষ্ট করে
ভাবি ভৈরবী আর মর্নিং ওয়াক
মনে করি কিশোরীর
চঞ্চল পা
যে সমস্ত ব্যথা
নুইয়ে দেয় বক্র করে চলা
কী ভাবে তাদের
বিকাশ রোধ করব এসব ফন্দি নিয়ে কাটাকুটি করি
অস্থি সন্ধিতে
সূচ ঢুকে যায়
বিন্দুতে বিন্দুতে
চাপ নিই গুটি তোলা প্লেটে
ব্যথা ভোলার
কোনো প্রযত্ন করি না
অভিধান ঘেঁটে
বার করি সমার্থক শব্দগুলো এরপর নানা ছবি কেটে
কুমারী দেয়াল
গুলো ভরে দিই ব্যথার কোলাজে।
প্রতিরক্ষা
এটুকুই আমার
নিজস্ব সময়
বিরহ সঙ্গম
ও পলায়নের ফ্লাশব্যাক ঢুকে পড়লে চলবে না।
শূন্যতার ভেতরে
যে ব্যাপ্তি ও সম্ভাবনা
তাকে ছুঁয়ে
থাকছে আত্নরতি কলমের তীক্ষ্ণ আঘাত আর মৃদু গান
পাতার কাছে
এসময় শিখি শক্তি উৎপাদন
আসল উদ্দেশ্য
বুঝে ফেলার ক্লাস করি প্রতিবেশী কুকুরের কাছে
শ্রবণ থেকে
ফেলে দিই শুনে আসা মিথ্যা বচন
আর ভাব ভঙ্গীর
বিফল মেক আপ
তৈরি হতে হয়
তো...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন