কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

নোয়াম চমস্কি ও বিজয় প্রসাদ

 

আফগানিস্তান থেকে মার্কিনী সৈন্য প্রত্যাহারের পেছনের বাস্তবতা : একটি সমীক্ষা

(অনুবাদ: অদিতি ফাল্গুনী)




২০০১-এর অক্টোবরে আফগানিস্তানে মার্কিনী আগ্রাসন চরিত্রের দিক থেকে ছিল অপরাধমূলক। অপরাধমূলক ছিল মূলত: আফগানিস্তানের ভৌত অবকাঠামো গুঁড়িয়ে ফেলা এবং আফগান সমাজের সামাজিক বন্ধনগুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্যও যে নি:সীম শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিল, সেকারণেই।

২০০১-এর ১১ অক্টোবর, সাংবাদিক আনাতোল লিভিঁ পাকিস্তানের পেশোয়ারে আফগান নেতা আব্দুল হকের একটি সাক্ষাৎকার নেন। হক, যিনি কিনা তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন তালিবানদের বিরুদ্ধে মার্কিনী বিমান বাহিনীর বোমা হামলার ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তার চাদরের নিচে ফেরার উদ্যোগ নিলেন। তবে, তিনি নিজেও কিন্ত যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধটাকে চালিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সে বিষয়ে সুখী ছিলেন না।

‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সামরিক অভিযান বিষয়গুলোকে শুধু আরো বেশি জটিল করে তুলছে- বিশেষত: এই যুদ্ধ যদি একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলে এবং অনেক বেসামরিক মানুষ যদি নিহত হয়’, আব্দুল হক লিভিঁকে বলেছেন। এই যুদ্ধ কিন্ত সামনে আরো ২০ বছর চলবে এবং ৭১,৩৪৪ জন বেসামরিক মানুষ এতে প্রাণ হারাবেন।

আব্দুল হক লিভিঁকে আরো বলেন যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভাল  হবে আফগানিস্তানের সব জন-গোষ্ঠিকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করা। অন্যথায় আফগান সমাজের নানা জন-গোষ্ঠির ভেতরে গভীর অনৈক্যের ফাটল দেখা দেবে যার পেছনে স্পষ্টত: নানা দেশের পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে এবং এতে করে গোটা অঞ্চলই অত্যন্ত বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। হকের এই কথাগুলো দৈবী বাণীর মতই ছিল, তবে হক এটাও জানতেন যে, কেউই তাঁর কথা শুনছে না। সম্ভবত: তিনি লিভিঁকে আরো বলেন,  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মন ঠিক করেই ফেলেছে যে কি করতে হবে এবং আমার এসব পরামর্শ হয়তো অনেক দেরিতেই বলা হচ্ছে’।

বিশ বছরের যুদ্ধে অকল্পনীয় ধ্বংসের পর এবং সব আফগান জন-গোষ্ঠির ভেতর শত্রুতার আগুন জ্বলে উঠবার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আব্দুল হকের নীতি পরামর্শে  হুবহু ফিরছে আর সেটা হলো : রাজনৈতিক সংলাপ।

আব্দুল হক আফগানিস্তানে ফিরেছিলেন এবং তালিবানদের হাতে তিনি ২০০১ সালের ২৬শে অক্টোবর নিহত হন। তাঁর পরামর্শ আজ বহু আগেই পুরনো হয়ে  গেছে। ২০০১ সালে, আফগানিস্তানের রঙ্গমঞ্চের মূল চরিত্ররা - তালিবানরা সহই - কথা বলা বা আলাপে প্রস্তÍত ছিল। আলাপে প্রস্তÍত থাকার পেছনে খানিকটা তাদের ভেতর ভয়ও কাজ করেছিল। ভয় একারণে যে তারা রাজনৈতিক আলাপে না বসলে মার্কিনী যুদ্ধ-বিমানগুলো যদি আফগানিস্তানে নরকের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়! আজ, বিশ বছর পরে, তালিবান এবং অন্যদের ভেতরে সমুদ্রসম্ভব দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আলোচনার রুচি বা ইচ্ছা বলতে গেলে আর কারোরই নেই।

গৃহযুদ্ধ

২০২১-এর ১৪ই এপ্রিল আফগান আইন পরিষদের স্পিকার- মীর রহমান রহমানী- এই বলে সবাইকে সতর্ক করেন যে দেশ একটি ‘গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। কাবুলের রাজনৈতিক মহলগুলো সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করলে কিভাবে গৃহযুদ্ধ দেখা দেবে সে নিয়ে আলোচনায় ফেটে পড়ছে। মূলত: একারণেই এপ্রিলের ১৫ তারিখে কাবুলের মার্কিনী দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তোলো নিউজের শরিফ আমিরি মার্কিনী পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনী ব্লিঙ্কেনকে সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। ব্লিঙ্কেন উত্তর করেন, ‘আমি মনে করি না যে এ বিষয়ে কারো কোন আগ্রহ আছে, মনে হয় না দেশটির কোন পক্ষেরই একটি গৃহযুদ্ধে, দীর্ঘস্থায়ী কোন যুদ্ধে নামার আগ্রহ আছে। এবং এমনকি তালিবানদেরও, যতটুকু আমরা শুনেছি, গৃহযুদ্ধে কোন আগ্রহ নেই’।

সত্যি বলতে, গত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে আফগানিস্তান গৃহযুদ্ধের ভেতরেই আছে, কমসে কম সেই মুজাহিদীনদের সৃষ্টির সময় থেকে - যাদের ভেতর স্বয়ং আব্দুল হকও আছেন - যাদের কিনা আফগানিস্তানের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সরকারের (১৯৭৮-৯২) সাথে যুদ্ধ করার সময় সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই গৃহযুদ্ধ মার্কিনী সমর্থনপুষ্ট আফগানিস্তানের সবচেয়ে রক্ষণশীল এবং চূড়ান্ত ডানপন্থী উপাদান বা গোষ্ঠিগুলোর মাধ্যমে তুঙ্গে তোলা হয় - এই গোষ্ঠিগুলোই গঠন করবে আল কায়েদা, তালিবান ও আরো নানা ইসলামী উপদল।

এই গোটা সময়টা জুড়ে একবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তির কোন পথের সমাধান কোন পক্ষকেই দেখায়নি বা শান্তি প্রক্রিয়ার পথে কোন আহ্বানও জানায়নি; বদলে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাবুলের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে তার শক্তির প্রচন্ডতাকেই ব্যবহার করতে চেয়েছে।

সেনা প্রত্যাহার?

এমনকি এই সেনা প্রত্যাহারও, যার ঘোষণা শুরুতে ২০২১-এর এপ্রিলের শেষের দিকে দেয়া হয়েছিল এবং যা শুরু হয়েছিল ১লা মে তারিখে, শুরুতে যতটা স্পষ্ট বা পরিষ্কার, সাদা-সিধে মনে হয়েছিল সব কিছু, আসলে তা নয়। এখন মার্কিনী বাহিনীদের ঘরে ফেরার সময় হয়েছে; ২০২১-এর ১৪ই এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং মার্কিনী রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। এই একই দিনে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের তরফ থেকে এটা পরিষ্কার করেন যে ২,৫০০ মার্কিনী ট্রুপস বা সেনাদল ১১ই সেপ্টেম্বরের ভেতর আফগানিস্তান ছাড়বে। ইতোমধ্যে, নিউইয়র্ক টাইমস-এ ১৪ই মার্চ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এটা উল্লেখ করা হয় যে ‘এতদসত্ত্বেও আফগানিস্তানে ৩,৫০০ মার্কিনী সেনা দল অবস্থান করছে’। প্রকৃত সংখ্যা হয়তো একটু কমিয়েই বলা হচ্ছে যেহেতু এবিষয়ে পেন্টাগন এক ধরনের  ধোঁয়াশা অবলম্বন করছে। মার্কিনী প্রতিরক্ষা বিভাগের স্থায়িত্ব দপ্তরের সহকারী সচিবের (Office of the Assistant Secretary of Defence for Sustainment)  শাখা দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে আফগানিস্তানের ভূমিতে এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৬,০০০ ঠিকাদার রয়েছে। তারা নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে যার ভেতর সম্ভবত: সামরিক  সহায়তাও রয়েছে। এই ঠিকাদারদের কেউই বা যে বাড়তি ১,০০০ মার্কিনী সেনাদলের কথা বলা হচ্ছে না - প্রত্যাহারের আওতায় আসবে না, এছাড়া ড্রোন আক্রমণ সহ বিমান থেকে বোমাবর্ষণও সমাপ্ত হবে না, এবং বিশেষ বাহিনীর মিশনেরও কোন কমতি হবে না।

২০২১-এর এপ্রিলে ব্লিঙ্কেন আরো বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের  আশরাফ ঘানির সরকারকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিনী ডলার সাহায্য দেবে। ঘানি, যাকে কিনা তাঁর পূর্ববর্তী হামিদ কারজাইয়ের মত প্রায়ই আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতির বদলে কাবুল শহরের নগরপিতা বা মেয়র বলে ভ্রম হয়, ধূর্ততার খেলায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পরাস্ত হচ্ছেন। কাবুল এখন সেনা প্রত্যাহার  পরবর্তী সরকার নিয়ে নানা আলোচনায় গুঞ্জনমুখর, যার ভেতর রয়েছে হেজব-ই-ইসলামী নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের নেতৃত্বে সম্ভাব্য একটি সরকারের কথাও যার নেতৃত্ব তিনি দেবেন এবং এই সরকারের আওতায় তালিবানরা থাকবে না। ইতোমধ্যেই অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন ভাবনাতেও সমর্থন দিয়েছে যে সরকারে তালিবানদের একটি ভূমিকা থাকবে; এখন একথা প্রকাশ্যেই বলা হচ্ছে যে বাইডেন প্রশাসন বিশ্বাস করে যে তালিবানরা ১৯৯৬  থেকে ২০০১ নাগাদ যতটা নিষ্ঠুরতার সাথে সরকার চালিয়েছিল, তার চেয়ে ‘তুলনামূলক কম নিষ্ঠুরতার সাথে সরকার চালাবে’।

এটা দৃশ্যত: প্রতীয়মান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবানদের ক্ষমতায় ফিরতে দিতে ইচ্ছুক, তবে এর সাথে রয়েছে দু’টো শর্ত বা মার্কিনীদের রক্ষাকবচ: প্রথমত, মার্কিনী উপস্থিতি দেশটিতে বিদ্যমান থাকবে, এবং দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিদ্বন্দী চীন ও রাশিয়ার কোন ভূমিকা থাকবে না।  ২০১১ সালে মার্কিনী পররাষ্ট্র সচিব হিলারি ক্লিন্টন ভারতের চেন্নাইয়ে যে বক্তৃতা দেন সেখানে তিনি এক নতুন ‘রেশম পথ’ গঠনের প্রস্তাব দেন যা মধ্য এশিয়াকে আফগানিস্তানের  ভেতর হয়ে ভারতের বন্দরগুলোর সাথে যুক্ত করবে; এই প্রস্তাবের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে মধ্য এশিয়ায় তার সংযোগ বিন্দুগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং চৈনিক বলয় ও সড়ক উদ্যোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করা; এই চৈনিক উদ্যোগ তুর্কি পর্যন্ত প্রসারমান।

স্থিতিশীলতা আফগানিস্তানের জন্য রাখা কোন তাস নয়। জানুয়ারি মাসে, ভ্লাদিমির (Vladimir) নরোভ, উজবেকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সাংহাই  কর্পোরেশন অর্গ্যানাইজেশন (এসসিও)-র বর্তমান মহাসচিব ইসলামাবাদ নীতি গবেষণা (ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ) আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। নরোভ বলেন যে, বেশ কিছুদিন ধরেই দায়েশ অথবা আইসিস তার যোদ্ধাদের সিরিয়া থেকে আফগানিস্তানে সরিয়ে নিচ্ছে। চরমপন্থী যোদ্ধাদের এই গমনাগমন শুধুই আফগানিস্তানের জন্যই উদ্বেগজনক নয়, বরং গোটা মধ্য এশিয়া ও চীনের জন্যই একটি উদ্বেগকর বিষয়। ২০২০ সালে, ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা আরো জানায় যে মার্কিনী সেনাবাহিনী তালিবানদের বিমান বাহিনীর সমর্থন দিয়ে আসছে যেহেতু তালিবানরা আইসিসের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের (মার্কিনী বাহিনীকে) সাহায্য করেছে। এমনকি তালিবানদের সাথে যদি কোন শান্তি চুক্তি হয়ও, আইসিস তাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।

বিস্মৃত সম্ভাবনাসমূহ

এর ভেতর যা ভুলে যাওয়া হয়েছে তা’ হচ্ছে আফগান নারীদের জন্য উদ্বেগ - যে উদ্বেগের কথাই ২০০১-এর অক্টোবরে আফগানিস্তানে মার্কিনী আগ্রাসনকে বৈধতা দিয়েছে। রসিল বসু, জাতিসঙ্ঘের এক কর্মকর্তা, আফগান সরকারে নারী উন্নয়ন বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল অবধি কাজ করেছেন। ১৯৯৭ সালের আফগান সংবিধান নারীকে সমানাধিকার দিয়েছে, যা কিনা পিতৃতান্ত্রিক নানা সংস্কারের বিরুদ্ধে এবং ঘরে ও ঘরের বাইরে কাজের ক্ষেত্রে সমানাধিকারের জন্য লড়াই করার অনুমতি দিয়েছে। যেহেতু বিপুল সংখ্যক পুরুষ যুদ্ধে মারা গেছে, বসু আমাদের বলেন যে মেয়েরা বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে বা পেশায় অংশগ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই স্বাক্ষরতা হারে বৃদ্ধি সহ মেয়েদের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল। তবে গত দু’দশকের মার্কিনীদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে তার অনেক কিছুই মুছে যায়।

এমনকি ১৯৮৮-৮৯ সাল নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে, পুরুষেরা যারা এখন ক্ষমতায় যাবার জন্য কাড়াকাড়ি করছে - যেমন গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের কথাই ধরা যাক - বলছেন যে তারা আফগান নারীর অর্জিত সব বিজয়কে ‘না’ করে দেবেন। বসু আরো স্মরণ করেন যে কিভাবে শাবানামা বা মেয়েদের প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল যেখানে মেয়েদের পিতৃতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় (এই আসন্ন বিপর্যয় নিয়ে বসু নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং মিস ম্যাগাজিনে মতামত কলাম লিখে জমা দিলেও কেউই সেটা ছাপেনি)।

আফগানিস্তানের শেষ কম্যুনিস্ট সরকার প্রধান - মোহাম্মদ নজিবুল্লাহ (১৯৮৭-১৯৯২) - একটি জাতীয় পুনর্মিলন নীতি জমা দিয়েছিলেন যেখানে তিনি কর্মসূচীর সর্বপ্রথমে নারী অধিকারকে রেখেছিলেন। তখন আমেরিকা সমর্থিত ইসলামী নেতারাই এটা প্রত্যাখ্যান করেছিল যাদের অনেকেই আজ ক্ষমতার আসনে প্রতিষ্ঠিত।

ইতিহাস থেকে কেউই শিক্ষা নেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা ‘প্রত্যাহার’ করবে তবে কিস্তিমাতের খেলায় চীন এবং রাশিয়ার জন্য তার সম্পদও রেখে যাবে।  এসব ভূ-রাজনৈতিক খেলায় আফগান জনগণের জন্য কারোই এতটুকু কোন বিবেচনা বা ভাবনা নেই।

(৭ই মে, ২০২১ অল্টারনেট ওয়েবজিনে প্রকাশিত)

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন