কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

চিরশ্রী দেবনাথ

 

সমকালীন ছোটগল্প


পৌরুষ

এই সময়টাকে কী নাম দেওয়া যায়? বসন্ত আসেনি, শীতের শেষ। শিরশিরে হাওয়া, ধূসর প্রকৃতি, অথচ রঙের হাতছানি দিচ্ছে তরুণ পৃথিবী। অপেক্ষার কিছু সময় এনজয় করতে করতে ভাবছিল আকাশনীল।

তার তিনজন ভালো গার্লফ্রেন্ড, প্রেমিকাই বলা যায়, আসলে ব্যাপারটা সম্বন্ধে নিজেও খুব একটা ক্লিয়ার নয় ।

তার মনে শুধু এনজয়ের আনন্দ। তবে সে সবকিছু  দারুণ মেইনন্টেন করে। এরফলে তার কোথাও কখনও বিরহখচিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একজনের কাছ থেকে কষ্ট পেলে সে অন্যজনের কাছে যায়। একজনকে অসহ্য মনে হলে কিছুদিন তাকে এড়িয়ে চলে। তারপর আবার মনে হয় সে তত খারাপ ছিল না। তখন মেসেঞ্জারে তার মৃদু খোঁজ নেয়।

তার প্রেমিকারা হলো, শ্রাবণী, ঈশিতা এবং নবাঙ্কুরা।

আকাশনীল আজ নবাঙ্কুরার সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। তিনদিন হলো পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। কলেজের লাস্ট সেমিস্টার। এখন বিচ্ছেদের পালা। কে কোন লাইনে পড়বে। আকাশনীলের বাবা চাইছে সে এম বি এ করুক, তারপর তার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করবে। কোনো চাপ নেই। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা। আকাশনীলও বাধ্য ছেলে। বাবার ইচ্ছেমতোই চলবে সে, সবাই তাই ভাবে ।

নবাঙ্কুরা বাংলায় অনার্স। শ্যামলা এবং লম্বা। তাকে আকাশনীল ভালোবেসেছিল ওর পা দেখে। হলুদ রঙের লংস্কার্ট পরে কলেজ ক্যাম্পাসের সবুজ মাঠে পা ছড়িয়ে বসে ছিল নবাঙ্কুরা। স্কার্ট একটু ওপরের দিকে উঠে গেছে। পাশে খুলে রেখেছে কোলাপুরি চটি।

একটু দূরেই আকাশনীল তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল।

কোমল স্বচ্ছ মোমের মতো গোড়ালি, যেন পিছলে যাচ্ছে রোদ, তাই দেখে আকাশনীল তাকিয়েছিল অনেকক্ষণ। তার পরদিনই সে নবাঙ্কুরাকে প্রপোজ করে। মুখের মিষ্টি হাসি বলে দিচ্ছিল নবাঙ্কুরাও তাকে লক্ষ করছে এতোদিন ধরে।

খুব ভালো লাগত তখন আকাশনীলের ওর সঙ্গে গল্প করতে। মাখনের মত যেন গলে গলে যায়। সবকিছুতেই লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে। ভালোবাসাটা তখন খুব উপভোগ করছিল আকাশ। মিঠে মিঠে বিরহ, খুনসুটি আবার ভাব। হালকা চুমু। মাঝে মাঝে পরীক্ষা শুরু হলে কম কম দেখা হওয়া। তারপর আবার হামলে পড়ে অজস্র গল্প। এরই নাম তাহলে প্রেম। সবসময় মনে পুজো পুজো ভাব। খুব সচেতন হয়ে উঠেছিল তখন আকাশনীল নিজের প্রতি।

সবসময় ওয়েল ড্রেসড, ক্লিনসেভড। কিন্তু এই ফুরফুরে ভাব সত্ত্বেও তার লাইফে নতুন মেয়ের এন্ট্রি হলো। সে হলো ঈশিতা।

ঈশিতা আবার কলেজের কেউ নয়। ফেসবুকে পরিচয়।

তারপর ইনবক্স। কথা লোফালুফি। আরে এই মেয়ে তো দারুণ কথা বলে। স্ট্রেট ফরোয়ার্ড। ব্যস্ আটকে গেল সে।

একদিন বলেই ফেলল, আই লাভ ই্যয়ু ঈশিতা।

ওপাশ থেকে একটি ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর এলো,

হাউ সুইট, আই ওল সো।

আকাশের মধ্যে আরো একটি মধুর ছটফটানির জন্ম হলো এবং তা চলতে লাগল এক অনিশ্চিত ধারাবাহিকতায়।

কোনো মতেই আর এই এপিসোডের সমাপ্তি ঘোষণায় আকাশের মন ছিল না।  

দুইবছর ধরে চলছে এই ভার্চুয়াল প্রেম। বেশ ঘনঘন আলুর দম টাইপের। তাই মনে হয় আকাশের। রাতদিন খোঁজ খবর নেওয়া, কথা বলা।

তিনদিন আবার দেখাও করেছে ওরা। ঈশিতা বেশ বড়লোক। নিজেদের গাড়ি করে এসেছিল। আকাশনীলদেরও দুটো গাড়ি আছে, অফিস এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য। যদিও সে গিয়েছিল বাইকে করে। ঈশিতা কথাবার্তায় খুব সাবলীল ও বুদ্ধিদ্বীপ্ত। হো হো করে হাসে। লজ্জাটজ্জার কোনো বালাই নেই। দারুণ মজা করতে পারে। দুর্দান্ত সেন্স ওব হিউমার, যা বাঙালি মেয়েদের মধ্যে খুবই কম দেখা যায়। চায়ের ওপর পড়ে থাকা সরের মতো  মেয়েদের মধ্যে যে অনিবার্য ন্যাকামি থাকে সেটা একদম নেই। সাজগোজও কম, অথচ

স্টাইলিশ। 

আকাশনীল ভেবেছিল ঈশিতার সঙ্গে থাকবে না বেশিদিন।

কারণ ঈশিতা তাকে অতিক্রম করে যায়, এতটাই ব্যক্তিত্ব ওর। ইগো প্রবলেম হয়।

কিন্তু কদিন অফ দিলেই ওর জন্য মন হাঁসফাস করে।

আবার কিছুক্ষণ ঈশিতার সঙ্গে কথা বললে মনটা ভালো হয়ে যায়, কেমন যেন ঝকঝকে নীল আকাশের মতো অনুভূতি আসে। ঈশিতা বলে আকাশনীল নাকি একটি মরুভূমি। আর ঈশিতা হলো গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টি। ঝমঝমিয়ে আসে, ভিজিয়ে দিয়ে আবার চলে যায়।

তাতে আকাশনীল একটু নিশ্চিন্ত হয়েছে। যাক ওর ওপর তাহলে নির্ভর করে না ঈশিতা। আকাশনীল যদি কখনো ছেড়ে চলে যায়, ঈশিতা তাহলে বেশি কষ্ট পাবে না। ভেবে ভেবে একটু নিশ্চিন্ত বোধ করে আকাশ। সে তো আসলে ভালো ছেলে। কাউকেই  ঠকাতে চায় না। খুব ভালোবাসতে চায়। কিন্তু একসঙ্গে তিনজনকে তো রাখা যাবে না।

শ্রাবণী হলো ছোটবেলার বন্ধু। পাশের বাড়ির মেয়ে। ওরা বড়লোক নয়। শ্রাবণীর মা বাবা গানের টিচার।  দুজনে মিলে একটি গানের স্কুল চালায়। শ্রাবণীও দারুণ গান গায়। ছোটবেলা থেকে দুজনে হেসেখেলে বড় হয়েছে।

শ্রাবণীই আসলে আকাশের জীবনের প্রথম অন্য নারী।

কিন্তু ওর সম্পর্কে তেমন কোন কৌতূহল আকাশের মধ্যে জন্মায় না। হাত বাড়ালেই শ্রাবণী এসে হাজির। আগে সবকিছু শেয়ার হতো। এখন আকাশ স্বাভাবিক ভাবেই অনেককিছু এড়িয়ে যায়। মেয়েটা এমনই তরল যে, কোন অভিযোগও করে না। তাই শ্রাবণীকে নিয়ে খুব চিন্তা আকাশনীলের। একসময়ের  একান্ত বাল্যপ্রেম হলো শ্রাবণী, যদিও কোনোদিন তেমন করে সে বলেনি ওকে। তবে কখনো কখনো শ্রাবণীর মধুর শাসনে মনে হয় ও ধরেই নিয়েছে আকাশনীল তাকে বিয়ে করবে বড় হয়ে। আকাশদের বাড়িতে শ্রাবণীর অবাধ যাতায়াত।  আকাশনীলের মা বাবা আবার শ্রাবণীকে নিয়ে কিছু ভাবেন না, মানে তাকে বউ করার কথা। ধনী গরিবের ফারাক রয়েছে বিস্তর, স্যোশাল স্ট্যাটাস।

এজন্য আকাশনীল খুব দ্বিধাগ্রস্থ। শ্রাবণীকেই কষ্ট পেতে হবে আখেরে। ওকে বউ করতে তেমন কোন আগ্রহও আর নেই আকাশের। কিন্তু শ্রাবণী যদি ভেবে থাকে মনে, সেটা কী আকাশের দোষ। আজকাল তো ওকে একটু দূরেই সরিয়ে রাখে সে। তবুও কথা হয়ে যায় আবোলতাবোল অনেককিছু।

একটাই আশার কথা শ্রাবণী বেশ মেধাবী। বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছে দুবারই, নিজে নিজে আর স্কুলের টিচারদের সাহায্য নিয়ে, অন্য কোনো প্রাইভেট টিউটর ছিল না।

অনেক পড়াশোনা করার ইচ্ছে ওর। আকাশনীল ভাবে ওদের মতো ফ্যামিলির জন্য এ হচ্ছে আকাশকুসুম কল্পনা। শেষপর্যন্ত দেখা যাবে একদিন শ্রাবণীর মা বাবা আকাশদের বাড়িতে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসবে। তখনই শুরু হবে আসল নাটক।

তবে আকাশনীল যদি বাড়ির অমতে ভবিষ্যতে তাকে বিয়ে করে তাহলে আর শ্রাবণীর কষ্ট পাবার সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু  সেক্ষেত্রে আকাশনীলকে খুব ফাইট দিতে হবে। এসব করার মতো এতো প্রেম তার বুকে জমেনি।

তাছাড়া তার কাছে বিয়ে একটি অসম্ভব জিনিস। কারণ তারপর তো সে আর ইচ্ছেমত প্রেম করতে পারবে না। বউ অশান্তি করবে।

এখন কেন জানি মনে হচ্ছে সে সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এতো ভালো কেন তিনটি মেয়ে?  প্রত্যেকেই তাকে ভালোবাসে। কেউ তো একটু প্রতারণা করলে পারে। তাহলে আকাশ একটু গ্লানিমুক্ত হয়। মাসখানেক এইসব অস্থিরতায় কাটাতে কাটাতে, প্রায় ঘুমহীন হয়ে যাচ্ছে।  গভীররাতে ছাদে পায়চারি করছিল আকাশ, কাল থেকে দৃঢ়ভাবে একে একে তিনজনকে সে 'না' করবে। সবখানেই নিজেকে অপরাধী রাখবে। বলবে তারা যেন তাকে ভুলে যায়, ক্ষমা করে দেয় ইত্যাদি।

আর শ্রাবণীর জন্য  ভালো দেখে একটি ছেলে খুঁজে দেবে। কারণ শ্রাবণীকে সে তার দায়িত্ব মনে করে।

এম বি এ পড়বে না আকাশ, ভালো লাগছে না একটুও আর। কোনো দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সাধারণ বিষয় নিয়ে এম এ করবে। কিছুদিন বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হবে। তার ভেতরে যেন একটি নিঃসঙ্গ ঈগল হঠাৎই বাসা বেঁধেছে। ডানা ঝটপট করে শুধু বলছে মুক্ত হও আকাশনীল।

খুব  সকালবেলা  বাজল মোবাইল, কাঁচা  ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ভীষণ বিরক্ত হলো আকাশ। ওপাশে শ্রাবণীর উচ্ছসিত সুর।

জানিস আকাশ, আমি স্কলারশিপ পেলাম। ভাবতেও পারিনি। নিজের টাকাতেই ফ্রান্সে পড়তে যাচ্ছি, আগামীমাসে। তোকেই প্রথম জানালাম। উঃ কি আনন্দ যে হচ্ছে আমার। আকাশ কেমন ভ্যানতারা খেয়ে গেলো। যাহ এ যে মেঘ না চাইতেই জল। একটি পাখি উড়ল তবে হাজার আলোর ঠিকানায়।

বুকের এক কোণায় সামান্য যেন চিনচিন করে উঠল আকাশের, এটা কী ঈর্ষা না ভালোবাসা শ্রাবণীর প্রতি, ঠিক বুঝল না, তবে এতোটা সে আশা করেনি শ্রাবণী সম্পর্কে, সত্যিই তাহলে পড়ায় ভালো শ্রাবণী, আকাশের চেয়ে অনেক অনেক ব্রিলিয়ান্ট, বিয়ে টিয়ে নিয়ে শ্রাবণী তাহলে ভাবছিল না কিছুই, দারুণ ক্যারিয়ারিস্টিক মেয়ে তো!

বিকেলবেলা মুখোমুখি বসে আছে নবাঙ্কুরা আর আকাশ। আকাশ ভাবছে কখন বলবে সে। নবাঙ্কুরার ঢলঢল মুখখানি দেখে কিছু বলতেও পারছে না। আহা যদি কেঁদে ফেলে।

নবাঙ্কুরাই শুরু করল। জানো  আকাশ, আমার খুব খারাপ লাগছে বলতে, বাবার এক বন্ধুর ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে হঠাৎই। ওরা নাকি অনেক আগে কথা দিয়েছিলেন একে অপরকে, ছেলে মেয়ে বড় হলে বেয়াই বেয়ান হবেন। এখন ওদের ছেলে বিরাট চাকরি পেয়েছে। তাই আর দেরি করতে চাইছেন না।

দু ফ্যামিলির আনন্দ আর সম্মানের ব্যাপার, না করতে পারছি না আমি, মা বাবার মুখের দিকে চেয়ে।

আকাশ স্তব্ধ হয়ে শুনল।

আর বাকি রইল, ঈশিতা। আকাশনীল নিজের ঘরে ফিরে বিছানায় শুয়ে আছে। হাহাকার করছে ভেতরটা। এই দুজনের একজনও তাকে ভালোবাসেনি আসলে। সবকিছু কী তবে তারই মিথ্যে কল্পনা। ভয়ে ভয়ে ঈশিতার ভার্চুয়াল কক্ষে উঁকি দিল, তিন চারটে মেসেজ পড়ে আছে। এখনো ছেড়ে যায়নি তাহলে। কিছু একটা টাইপ করতে গিয়ে আকাশনীল ভাবল একটি প্রত্যাখ্যান হোক তার তরফ থেকেও।

সে টাইপ করল হাই ঈশিতা, একটি কথা ছিল।

ঈশিতা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, আজ রাখি আকাশ। কাল খুব সকালে ফ্লাইট। ব্যস্ততায় তোমাকে বলা হয়নি, আমি ইউ পি এস সির জন্য কোচিং  নিতে দিল্লী যাচ্ছি। কলেজের পরীক্ষা শেষ হতেই বাবা ব্যবস্থা করল। কবে আর দেখা হবে জানি না।

বি কুল মাই ফ্রেন্ড!

এই প্রথম আকাশনীলের ভীষণ রাগ হলো। এগুলো কী ইয়ার্কি হচ্ছে! খুব অপমানিত বোধ করতে লাগল সে। তিনটে নরম নরম মেয়ে তাকে ফুস মন্তর দেখিয়ে উড়ে চলে যাচ্ছে। আর সে ভ্যাবলার মতো শুধু দেখছে।

দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সাধারণ বিষয় নিয়ে এম এ পড়ার চিন্তাও মাথা থেকে চলে গেলো।  এম বি এ পড়বে বাবার কথা মতই । কিন্তু তার রাগ হচ্ছে কেন? সে তো তিনজনকে বিদায় দেবো বলেই ভেবেছিল। তাকে তো একরকম মুক্তই করে গেলো তারা। কেউ কোন শর্ত রেখে যায়নি। বেঁধে বেঁধে থাকার প্রতিশ্রুতি চায়নি, তবে?

মাস দুই কেটে গেলো। আকাশ এখন গম্ভীর, আসলে ভেতরে ঝড় আছে, বাইরে যেন থমথমে মেঘ।

আজকাল আকাশনীলের বাইকে একটু বেশিই স্পিড।

বড়লোকের ছেলে, সুন্দর, রুচিবান আকাশনীলের জন্য অনেক মেয়ের চোখেই আকাঙ্ক্ষা থাকে। 

ব্লক, ব্লক, ব্লক! মোট তিনটি দরজা  একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে আকাশ।

আর শানিতচোখে খুঁজছে এখন একটি মেয়েকে যে খুব মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত, দারুণ সেন্স অব হিউমার আর যার পায়ের পাতায়, নখের আয়নায় পিছলে যায় রোদ, সুন্দর সেই মেয়েটিকে সে প্রপোজ করবে, মাসখানেক ভালোবাসার অভিনয় করবে, তারপর প্রত্যাখ্যান করবে।

এমনকি সেই ব্রেক আপের  দিনে কী কী বলবে তার জন্য রোজদিন সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্ক্রিপ্ট রেডি করে, তারপর অনিদ্রার কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলে এই  জলে ভেজা স্ক্রিপ্ট। ভোরের দিকে আবছায়া স্বপ্নে মেয়েটি আসে, কিন্তু কিছু বলতে গেলেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় যেন। তার প্রপোজ ও প্রত্যাখ্যান কোনো কিছুরই অপেক্ষা করে না সে।

 

 

 

 


2 কমেন্টস্: