কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

ইন্দ্রাণী সরকার

 

কবিতার কালিমাটি ১১৭


প্রস্থান

 

সামাজিক জনপদ পেরিয়ে তার বাড়ি

চারিদিকে ঘিরেছে সুন্দরী ফুলেরা

মাঠের ঘাস টিয়াপাখির মত সবুজ

মদিরমাখা বাসরে সবচেয়ে গোধূলি

অস্তগামী সূর্যের আলো ঝর্ণা হয়ে ঝরে

আধফোটা ফুলের মত আমি রয়ে যাই

ঘুম থেকে উঠে তুলে আনি সাজি ভর্তি ফুল

তোমার ফুলদানিতে সাজিয়ে দিই

তুমি ঘুম থেকে উঠে খুব অবাক হও

কিন্তু আমি কখন প্রস্থান করেছি তুমি জানোনি

 

উৎস

 

পায়ে পায়ে এগোই ঝর্ণার উৎসের দিকে

বাতাস ভোলেনি আজও হিমেল স্পর্শ

পাথুরে রাস্তা অসম, বন্ধুর, ঠোক্কর খাই

একটু দাঁড়াই, আবার একটু হাঁটি, এভাবে

উৎস খুঁজে যাওয়া, মায়াচিত্র থেকে দূরে

ক্রমশঃ জলের আওয়াজ দীর্ঘতর হয়

নোনা বাতাসের গন্ধ, অদ্ভুত অনুভূতি

হঠাৎই দ্যাখা মিলে যায় স্রোতস্বিনী উৎসের

সাদা ফেনিল জলধারা বিমুগ্ধ চোখে দেখি

নিরাময় জানে একদা চলা কত কঠিন ছিল

 

সৌন্দর্য

 

বিকেলের শেষ আলো ক্রমশঃ ধূসর হয়ে ওঠে

পাইলটের ককপিটের আলো দ্যাখা যায়

আঁধারের একটি বিচিত্র রূপ আছে

সব রং সরে যায় যখন আঁধার

মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে

সামনে চলে আসে পৃথিবীর প্রান্তরে

রাস্তার ল্যাম্প লাইটের মধ্যে এত সৌন্দর্য

অন্ধকার না হলে কখনো ঠিক উপলব্ধি হত না

 

বজ্রশেল

 

ঘরের ভিতরে ঘর তার মধ্যে তুমি নেই

তোমার সাম্রাজ্য অসীম,

আমার আজানুলম্বিত হাত ছোট হয়ে যায়

তুমি ঈশ্বর চেয়েছিলে,

আমি দিতে পারি নি, তাই তোমার বজ্রশেল

বুক খানখান করে দিয়ে যায়

তোমার শ্বদন্ত ক্রমশঃ প্রকট হয়ে ওঠে

তুমি বিচ্ছিন্ন গোলক হয়ে ছিটকে যাও

 

 

 

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন