কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

সুস্মিতা হালদার

 

সমকালীন ছোটগল্প


নেটপাড়ায় নিনজুৎসু

 

(১)

প্রিন্সেস অর্কষা নেট পাড়ার বাসিন্দা খুব নামকরা বাসিন্দা থুড়ি, নেটাগরিক বড্ড মোলায়েম পাড়া এটা কেমন যেন সব রঙিন রঙিন লাগে প্রিন্সেস অর্কষার অ্যাকাউণ্ট নেই, এমন কোন সোশ্যাল মিডিয়া এ দুনিয়াতে বিরাজ করে না সব কটাতেই ফ্যান ফলোয়িং উরি বাপরে! ফাটাফাটি!  She works at social media. এখন অবশ্য পড়াশোনা করছে  মাস্টার্স নিয়ে এল.এল.এম. করছে এল.এল.এম.-এ ঢোকার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাক্টিভিটি একটু কমে গিয়েছে তাই মেজাজটা ঠিক থাকে না এখন তবে এখন এই লকডাউন কোভিডের জন্য অনলাইন ক্লাস, অনলাইন এক্সাম অনলাইনেই সব কিছু তো, তাই ক্লাসে জয়েন করেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকা যায় একটা ডিভাইস থেকে ক্লাস করে, আর একই সাথে একটা ডিভাইস থেকে দেখে কটা কমেন্ট এল, কটা লাইক, ‘লাভরিঅ্যাক্ট পড়ল

প্রিন্সেস অর্কষার আসল থুড়ি ফর্মাল নাম অর্কপ্রভা ঘোষ সেখান থেকে অর্ক+-কার যোগ করে অর্কষা আর প্রিন্সেস? ওটা তো নিজেকে দেওয়া উপাধি সকালে এই দশটার দিকে ঘুম থেকে ওঠে মা তো বেড টি দিয়ে যায় তারপর ব্রাশ করে ব্রেকফাস্টদিয়ে ক্লাসে জয়েন করে তারপর ক্লাস হয়ে গেলে কিছুক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া দেখে স্নানে যায় স্নান করতে গিয়ে সময়টা অনেকটাই লাগে নেহাত ক্লাস থাকলে একটু তাড়াতাড়িই করতে হয় না হলে ওই সময়ই তো ফটো তোলা যায় ভালো করে টাওয়েল জড়িয়ে বোল্ড ফটো চুলে শ্যাম্পু নিয়ে ফটোহ্যান্ড শাওয়ারের জল মুখে এসে লাগার ফটো, কত্ত ফটো তারপর স্নান সেরে বেরিয়ে নানান ড্রেস নিয়ে চলে ফটো তোলা। ফ্রন্ট ক্যামেরা তাক করে ড্রেস ঠিকঠাক পজিশনে নিয়ে দেখে লুকস ঠিক লাগছে কিনা, কখনও স্লিভলেস ডিপ নেক টপে কখনও অফ সোলডার ওয়ান পিসে — কখনও ট্র্যাডিশনাল শাড়িতে। শাড়িপরা ফটো তুলতে গেলেই একটু বেশি সময় লাগে। ট্র্যাডিশনাল হলেও একটু তো মডার্ন লুকস লাগে, তাই না?... তাই বুকের ওপর আঁচলটা ফেলে দেখে, উম্! না, আসছে না — মডার্ন লুকসকেমন ভোঁদা ভোঁদা লাগছে... উম্! আর একটু নামবে আঁচলটাআর একটু আর একটু ব্যস! ওয়াও! হাউ ক্রেজ়ি! লোকে জাস্ট পাগল হয়ে যাবে এটা দেখেবুকের ওপর আঁচল নিয়ে কায়দা করতে করতে নিজের মনেই ভাবতে থাকে কত কত লাইক পড়ে ওর শাড়িপরা ফটোগুলোয়। ছেলেগুলো তো বটেই, মেয়েরা অবধিলাভরিঅ্যাক্ট দিয়ে যায় Tumi amar swapner rajkanya”, “Uff... ki hot lagche”, “So curvey”, “Ki sundor figure re tor, ki kore maintain koris...” আরও কত কমেন্টস্ ! অবশ্য এই ফিগার মেনটেইন করতে যে কত কসরত করতে হয় তাকে ডায়েটিং, ওয়াকার মেশিনে এক্সারসাইজ, ইনফ্যাক্ট প্যাডেড ব্রা ছাড়া পরেই না আর বাড়ির কাজ? নৈব নৈব চ এমনকি নিজের জামাকাপড়টুকুও কাচে না সেটাও মা-কে করে দিতে হয় ওসব করতে গেলে ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে না? শুধু এক-দুটোসি সি টিভি কাকিমার কমেন্টেই মাথা জ্বলে ওঠে

—“শাড়ি পরলে বুকটা ভালো করে ঢেকে পরো অশালীন ভাবে শাড়িটা পোরো না ওতে শাড়ির অসম্মান

শুধু ফটোতে না, পুরনো সেকেলে প্রথা ভাঙার ক্ষেত্রেও সে সরব মা মাস কয়েক আগে একবার মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন, “এবার এল.এল.এম.-টা শেষ হলে চাকরির চেষ্টা কর তোর বাবাও আর টানতে পারছে না তোর বিয়ের ব্যবস্থা তো একটা করতে হবে তোর পছন্দের কেউ থাকলে বল, আমরা কথা বলবদেখতে দেখতে আঠাশ বছর বয়স হয়ে গেল তোর

প্রিন্সেস অর্কষার বয়স প্রায় আঠাশ ছুঁই ছুঁই বাবা-মারও বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি তবু সংসার গড়ার দিকে মন নেই ওর ইংলিশে মাস্টার্স করে লপড়তে ঢুকেছে এল.এল.এম. করে ইচ্ছে আছে পি.এইচ.ডি. করার চাকরি করার মেন্টাল প্রিপারেশন এখনি তার নেই

—“মা, বিয়ে এসব সেকেলে নিয়ম কী আছে ওতে, বল? আমি বিয়ে করব না আমার ইচ্ছে, … স্বামী বিবেকানন্দের পথে যাব He is my role model. I’m… largely influenced by him…” গলাটাকে সরু করে হুইসলের মত বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে বলে সে

মা তাও জোর করেছিলেন সেই রাগটা উগরে সেকেলে বিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে পোস্ট করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে কেন মানুষ বাঁধা পড়বে একটা দায়িত্ব -কর্তব্যপূর্ণ জীবনে? কেন সেএনজয়করতে পারবে না যৌনতাকে? যৌন জীবন যেটা খুব স্বাভাবিক, প্রকৃতির নিয়ম !

সে পছন্দ করে না সাংসারিক দায়-দায়িত্ব মা-বাবা অসুস্থ হলে তাঁদেরই সেবা যত্ন করতে বিরক্ত লাগে মনে হয়, টাইম ওয়েস্ট আর বিয়ে? ইন ফ্যাক্ট লাভ ম্যারেজেও সে ইন্টারেস্টেড নয় একজনের সাথে long term relationship-এ থাকা যায় নাতার এই প্রথা ভাঙা পোস্টে কত লোক সাপোর্ট দেয় অবশ্য দু-একজনওই সি সি টিভি কাকিমা এসে জ্ঞান দিয়ে যায়

—“বিয়ে না করলে ভবিষ্যতে দেখবে কে? মা-বাবা তো চিরকাল থাকবেন না ফিনান্সিয়াল  সাপোর্ট বলছি না তুমি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, ডাক্তার দেখানো এগুলোর জন্যেও তো একজন ঘরের লোক দরকার

— “আন্টি, টাকা দিয়ে নার্স রাখা যায় ডোন্ট ওরি

মুখের ওপর রিপ্লাই দিয়ে দেয় সে

—“হ্যাঁ, টাকাটাই যাবে নার্সটা পাওয়া যাবে না তুমি ছোট আছ, তাই জান না সোশ্যাল মিডিয়ার জগৎ আর বাস্তব পুরো আলাদা সময় আসুক সবই বুঝবে

এ তো আচ্ছা মহিলা? মনে মনে বিরক্ত হয় অর্কষা। Just ignore her. এরকম জ্ঞান মারা পাবলিককে একদম সহ্য হয় না।

যদিও বিয়েতে আপত্তি ওর, তবু এবিপি ওয়েডিং-এর ফেসবুক পেজে লাইক করে রেখেছে। বন্ধুদের বিয়ের সিঁদুরদান, ভাত-কাপড়ের ছবি দেখলে মনটা আরও রঙিন হয়ে ওঠে। ফ্রন্ট ক্যামেরায় নিজের মুখের ছবি তুলে পোস্ট করে, ঠোঁট দুটো একটু জ়ুম করে তোলা—ক্যাপশন দিয়ে দেয়, “My lips are waiting for your warmth.”

 

(২)

এত আধুনিক, ছকভাঙা প্রিন্সেস অর্কষা শুধু একটা আধুনিক প্রথাই মেনে নিতে পারে না আর তাই নিয়েই মেতেছে আজ সকাল থেকে আজ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। ৭৯ জন প্রথম,  অর্থাৎ Highest Marks পেয়েছে, আর ১০০ শতাংশই পাশ, ফেল কেউ করেনি। রেজাল্টের ‘নিউজ’ দেখে চূড়ান্ত প্রতিবাদ শুরু করে অর্কষা। এবারও আগেরবারের মত,  কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভের জন্য, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাই হয়নি। বিকল্প পদ্ধতিতে নম্বর বসিয়ে সবাইকেই পাশ করানো হয়।

সকাল থেকেই সে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়—

“কেটে যাবে করোনা

চলে যাবে ভয়...

পাশে ছিল রাজ্য সরকার,

ছায়া প্রকাশনী নয়।”

কেউ কেউ আবার এই রেজাল্টের নাম দিয়েছেদুয়ারে টপারপ্রকল্প একটা ‘মিম’-এ লেখা, “ডেটল ৯৯.৯৯%, মাধ্যমিক পাশ ১০০%”একটা নিউজ চ্যানেলে দেখিয়েছে, একজন গার্জেনকে ক্যান্ডিডেটের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “আমি খুশি। ক্লাস নাইনে ও যা পেয়েছিল সেরকমই আছে। আর ও যা পেয়েছে সেটা তো নিজের চেষ্টাতেই, কেউ তো পাইয়ে দেয়নি।” হয়তো গুছিয়ে বলতে পারেননি। কিন্তু ভুলও তো বলেননি। আর তাতেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় ট্রোলিংসোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই অহংকারের জন্য তাঁকে কড়া ব্যঙ্গ করা হয়এগুলো সবই শেয়ার করেছিল অর্কষা। সব শেষে বাজিমাত। লাইভে এসে কিছু বক্তব্য রাখে ছোট ছোট ভাই বোনেদের জন্য।

—“ছোট ছোট ভাই বোনেরা, আজ তোমাদের এই আনএক্সপেকটেড সাক্সেসে কনগ্র্যাচুলেট করতে পারছি না। Sorry, really sorry. তোমরা কি একটুও ভাবতে পারছ কী হতে চলেছে ফিউচারে? 100% পাশ, 79 জন হাইয়েস্ট মার্কস পেয়ে ফার্স্ট? ছায়া প্রকাশনী, রায় অ্যান্ড মার্টিনের তো জায়গাই হবে না এতজন প্রথমকে নিয়ে অ্যাড দেবার। নিউজপেপারের তাহলে ৭৯টা পাতা লাগবে। Out of 700, 697? আর 3 marks দিয়ে দিলেই হত মানেআমি জাস্ট ভাবতে পারছি না... এরাও একদিন ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। এরা কী করে অপারেশন করবে? এরা তো পেট কাটতে গিয়ে গলা কেটে দেবে!”

পনেরো মিনিটের লাইভে আরও অনেক কিছু বলেছিল। প্রচুর লাইক, কমেন্টও আসতে থাকে। সবাই প্রশংসা করে তার এই দৃঢ় সচেতনতার জন্য। ভবিষ্যতের একজন উজ্জ্বল নাগরিক। লাইভে আক্ষেপ করেছিল, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে সে ৮০% মাকর্স পায়নি বলে। গ্রাজুয়েশনেও অনেক কম। অবশ্য মাস্টার্স-এ, মানে এল.এল.এম. করতে এসে সেটা পুষিয়ে গেছে। সে একটা মাঝারি মানের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে এল.এল.এম. করছে সব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির থেকে এল.এল.এম. করা এমনিতে তেমন একটা কঠিন নয়, টাকাটাই যা একটু বেশী লাগে তবে দেখাতে হয় অনেক এক্সাম প্রেসার না হলে তো, স্টেটাস থাকে না গতবার এল.এল.এম.-এ ঢুকল, তারপরই লকডাউন — অনলাইন ক্লাস — অনলাইন পরীক্ষা — কোশ্চেন খুব একটা ঘুরিয়ে হয় না ওদের ইউনিভার্সিটির। ডিরেক্টই আসে। চ্যাপ্টার পড়া না থাকলেও নেটে সার্চ মারলেই উত্তর লেখা যায় — দেখে দেখে। বাড়ি বসেই তো পরীক্ষা। মার্কসও ভালোই এসেছে এবার ৮০% পেয়েছে। অবশ্য এসব কথা লাইভে বলা যায় না।

যা হোক, কমেন্ট শেয়ার আর লাইকের বন্যা দেখে বেশ খুশ লাগছিল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আর একবার অনলাইন হল। কতগুলো শেয়ার হল দেখার জন্য। চোখটা আটকে গেল একটা কমেন্টে এসে এত বড় স্পর্ধা!

—“দিদিভাই, আমি এই বছরেই মাধ্যমিক পাশ করলাম। আমার মার্কস হাইয়েস্ট-এর চেয়ে কিছু কম। তোমার ফেসবুক লাইভের ভিডিওটি দেখলাম। ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একখানা ভিডিও উপহার দেবার জন্য। এই প্রসঙ্গে তোমায় কিছু বলতে চাই। এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণ আমার লেখা। আমার মা-বাবা বা বড়দের কারও নয়। আমি ক্লাস সিক্স থেকেই বাংলা গল্প, কবিতা টুকটাক লিখি, স্থানীয় পত্রিকায় বেরও হয়েছে বেশ কিছু। তাই বাংলা ভাষার ওপর সামান্য দখল আমার আছে, বানান-টানানও মোটামুটি জানি ঠিকঠাক। কারোর সাহায্য নিয়ে লিখছি না আমার মন্তব্য দেখে তোমার মনে সংশয় জন্মাতে পারে। তাই প্রথমেই সেটা দূর করে দিতে এতগুলো বাড়তি কথা বললাম।

প্রথমে আসি, প্রধান একটি বিষয়ে। তোমার সংশয়, আমরা ২০২১ সালে সরকারের দয়ায় ‘পাইয়ে দেওয়া’ মার্কস পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছি আমরা ডাক্তার হলে তো পেট কাটতে গিয়ে গলা কাটব। ... না দিদিভাই, একটু ভুল করলে। ডাক্তার হতে গেলে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, তারপর ভালভাবে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। সে অনেক সময়ের ব্যাপার। মাধ্যমিক দিয়েই ডাক্তারি করার লাইসেন্স পাওয়া যায় না। নিয়মটা বোধহয় তোমার জানা ছিল না। তাই জানিয়ে দিলাম।

তোমার অনুমতি ছাড়া, কৌতূহলের বশে তোমার ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে দেখলাম, তুমি আইনের ছাত্রী। তাই এটাই আশা করা যায়, তুমি দেশের আইনকানুন গুলো ঠিকমত জেনে নিয়ে, যুক্তি দিয়েই কথা বলবে। কিন্তু আজ সকাল থেকে আমাদের ব্যঙ্গ আর সমালোচনা করে বৃথাই শক্তিক্ষয় করলে দিদিভাই। মাধ্যমিক পরীক্ষা বা উচ্চ মাধ্যমিক কোনটাই জীবনের চূড়ান্ত পরীক্ষা নয়, এগুলো পাশ করলেই চাকরি পাওয়া যায় না, বা এগুলো চাকরির পরীক্ষা নয়। এগুলো ছোট ছোট ধাপ। এরপর কলেজ, ইউনিভার্সিটি এসব আছে। সেসব পাশ করে তবেই চাকরির পরীক্ষা দেওয়া যায়। কাজেই ভয় কোরো না, আমরা এখনও অনেকগুলো বছর পাব ঠিকঠাক পড়ে অবশ্যই নিজেদের তৈরি করে নেব। বরং, একটা ছোট্ট অনুরোধ। ছোট মুখে বড় কথার ধৃষ্টতা হিসেবে নিও না। অনুরোধ হিসেবেই নিও। তুমি তো অনেক বড়, মাস্টার্স করছ। এরপর নিশ্চয় চাকরির পরীক্ষায় বসবে। জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হবে নিজে একটু আইন-কানুনগুলো ঠিকমতো পড়, যাতে এই যেমন বললে, মাধ্যমিক দিয়েই ডাক্তার হয়ে যাচ্ছে, এরকম ছোটখাটো ভুলগুলো চাকরির পরীক্ষায় যেন না হয়। শুভেচ্ছা নিও।”

প্রিন্সেস অর্কষার সারা গা জ্বলে যাচ্ছিল কমেন্টটা পড়েছোট মুখে এত বড় কথা ! দেখল এই কমেন্টটা সাপোর্ট করে প্রায় পঞ্চাশখানা কমেন্ট পড়ে গেছে। প্রায় ১০০ খানা লাইক, ‘লাভ’ রিঅ্যাক্ট এই কমেন্টটায়অর্কষা কমেন্টটার গায়ে প্রেস করল। তারপর সেটা ‘ডিলিট’-ই করে দিল। ঠোঁটে একটা বাঁকা, চোরা হাসি


2 কমেন্টস্:

  1. বলিষ্ঠ লেখনী, অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক লিখেছেন আপনি। দুই বার পড়ার মতো লেখা

    উত্তরমুছুন
  2. বার বার পড়লে বারো বারো পড়া যায়

    উত্তরমুছুন