কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

প্রশান্ত গুহ মজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১০৫


ইতিহাস

 

আড়ালেই রাখে। আড়ালে। রাখো। তাহাকে, আমাকে। শরতের ঈষৎ। কেন! প্রশ্ন উঠিবে, তাই? নাকি প্রিয় খেলনা। জানালার  পাশে রাখো। রৌদ্রে নয়, আলো ছায়ায়। অনর্গল গল্প আকা হয়। ত্যাগের, আশ্লেষের, ভুল রমণের। অশ্রুর। হইতে থাকে এক ইতিহাস। দরজার, কাঠের, লাল ফোটার। তুমিই সৃষ্টি কর, ভাঙো তুমি। জলে, স্নানঘরে, আপাদমস্তক শুভ্রতায়, আলোয়, তিক্ত নগ্নতায়। পাশে রাখো। ভুল রাখো, কিছু কিছু গোল আর এই খেলনাসকল। বহুদিন পর, দুয়ারের ওই নিশানগুলি ক্রমশ কারুণ্যের দিকে যায়। আমাকে, তাহাকেও।

 

সবুজের সাজ

 

সবুজের সাজগুলি অন্তর করি। তাদের খাবার। রীতিসম্মত। পোকাসব। তুলে আনি। তোমাকেও। যথাযথ রাখি। এই বিন্যাসে কিঞ্চিৎ লৌকিক ছায়া। হাততালি পায়রা ওড়ায়। উড়িতে থাকে খিলানের পংখের সাদা। নিভৃত দেবী আমার, হে নগ্নিকা, হে অপার, এইবার তুমি ঐ প্রাণের আরতি স্পর্ধা করো। কালে, অকালে। দেখো, কত ভুল তোমাকে আবাহন করে। ছড়িয়ে অথবা ছিটিয়ে। ভক্ত তোমার সে দৃশ্যে দরজা খুলুক।

রক্ত, শুকনো, দুই হাত জুড়ে মাখি

 

মৎস্য কন্যার কথা

 

চিহ্নিতকরণের জন্য যে রাত্রি প্রয়োজন, তাহা অপ্রতুল। ঘোড়া অথবা এক ত্যক্ত ঘরের কথা ভাবিয়াছিলাম। তুমি তো চিরকাল কুয়োপাড়ের গল্প বলিয়াছ। মৎস্য কন্যার কথা। আদরে উঠিয়া আসিয়াছে বারবার শীতের সাদা। পরিত্যাগ দেখিয়াছ? সামান্য জলে ভাসিতেছে ছিন্ন বস্ত্র? কোলাহল তাহাকে দূর করিয়াছে এবং অসংযম। একটা পুতুল, খুব নিকটে, হায়া নাই, নগ্ন, গানে, যন্ত্রে। সেই বাবলাবনের, সেই অন্ধকারের, ছলাতছলের, বুঝি বা যাইতেছে, আজ আমি আঙুল দেখাই, সঙ্গীতে গ্যালোপিং। সেই অপার নদী দেখাই। কাহাকে!

 

রাত্রি

 

খন্ড খন্ড। মনিদি, তোমার। জ্যামিতিক নকশায়। উপপাদ্যে। শ্লোকে। তরলে। আপতকালীন সে আয়োজন। যোনিতে, অসামাজিক স্তনে, অসম্ভব ভাজে। সকাল ভাঙিয়াছি। ক্রিয়াপদে শীত। মৌমাছি আনিয়াছি বিস্তর। রাত্রে রাত্রি। কিছু গন্ধের আহ্বান। পথের কঠিনে। এমন নরমে! ধ্বংসের শব্দে। তছনছে। মৃত্যুর অধিকে। মনিদি, একবার! সেই চাদটা আসুক। কতটুকু আর বাজার বসিবে!


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন