কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

শর্মিষ্ঠা ঘোষ




তুমি  

জন্ম মৃত্যু পরিক্রমার মাঝে জাদু আয়নাওয়ালা সেই যে আশ্চর্য ঘর এক
শরণ নিলেই যেন মায়ের আঁচল যেন বাবার হাতের ঋজু আশ্রয় 
সন্তানের হাসির মত আহ্লাদ আর বন্ধুর মনের মত আকাশ
আমাদের সেই পরিক্রমা ঘরের শেষে এক কাঁচা মিঠে রোদেলা উঠোন 
পা ফেললেই সুগন্ধি বাতাস, ছুঁয়ে থাকে যেন মোহন সম্মোহনে  
চোখে চোখে ছায়া লেগে থাকে গানের কাজলে সাঁতার অভিধায়
সেই উঠোন ভরে ফুটে থাকে নিঃশ্বাসের শব্দের মত আপন 
অগুন্তি আপোষ মৃত্যুর শান্তিতে যেখানে ঘুমোয় , সেখানেও তোমারই সঙ্গে 
এক সমুদ্র তুমিতে শেষ থেকে শুরু করি আমাদের নতুন ডোবা ভাসা


কথাবিজয়  

খুব শীতে কথা ভেঙ্গে যায় 
এলোমেলো অক্ষরে ইকেবানা বানাই 
আভিধানিক হয় না বাহুল্য বোধে 
এমনি এমনি ছুটি সেদিন 
বানিয়ে নিই কমজোরি বাহানা 
বাহানা জমতে জমতে নীরবতা পেয়ে বসে 
বরফ পড়ছে মেরুদেশীয় ভাবনায় 
মেরু মানেই সম্মানজনক দূর 
এটা কিন্তু অভিধান সম্মত 
কেউ কেউ তখন ফাল্গুনী মদে গ্লাস ভরছে 
কেউ কেউ তখন কুড়োচ্ছে পলাশ শিমুল 
কুড়োনো তো আসলে উড়িয়ে দেবার ছুতো 
কথাদের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে 
কথারা নাভিদেশে খুঁজে বেড়ায় শেকড় 
নাড়িতে জড়ানো আছে "মা " ডাকের আপন 
সবাই ঠিক বুঝে যায় সে ডাকের ধ্বনি আর স্বর 
জড়িয়ে যায় মায়াবী নরম আদরে 
কথা ফোটে বোলে চালে রঙে ছন্দে 
আহ্লাদিত কথাবসন্ত আসে মেরুদুর্গ জয় করে 
সে আগ্রাসনে গলে যায় অভিযোগ অভিমান 
সে দুর্বার জয়পতাকা তলে আমাদের রাস্তা এবং ঘর


বাজাও তুমি

আমায় তুমি বাজাও তোমার  কঠিন কোমল তীব্র  মধ্যমায় 
যেমন সুখের বৃষ্টি ভাঙ্গে কয়েক যুগের মাটির উপোস 
যেমন টানে আঁকড়ে  রাখে ছেঁড়া নাড়ি মায়ের আদর 
তারচে আরও আশ্লেষময় গভীরতায় বাজাও তুমি

নতুন করে ঝাড়তে বসি স্মরলিপির ধূসর খাতা


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন