গণতন্ত্রের হাওয়া
গণতন্ত্রের লাশ যখন ধুলোয় লুটায়।
ঝড় আমাদের নিয়ে তখন
দেখো কেমন খেলে বেড়ায়!
বিবাহ
জীবনের উপহার... কিছু স্তব্ধতা
কিছু নীরবতা। স্তব্ধতা ছিন্ন করে
শুরু হল যখন আমার কথা, তখন
ধূ ধূ মরুভূমি আর অনন্ত অপেক্ষা।
আর কী পেয়েছি? যা পেয়েছি তার
থেকে বেশি উজাড় করে দিয়েছি...
শিউলির গন্ধ, জ্যেৎস্না, চাঁদের আলো
তারপর অনন্ত নৈ:শব্দ্য...
নারী
কোথাও অনেকে কাঁদছে। কে এরা? সমাজ এদের নাম দিয়েছে নারী। কাঁদার কারণ? ধীরে ধীরে এরা
অবলুপ্তির পথে চলেছে। একদিন হয়তো এদের
অস্তিত্ব মুছে যাবে এই সমাজ থেকে। একটার পর একটা ধর্ষণ
ঘটে যাচ্ছে আর মোমবাতির বিক্রি বেড়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো
ফায়দা তোলার জন্য মেকি সহানুভূতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে ময়দানে।
কিছুদিনের জন্য খবরের কাগজগুলোর বিক্রী বেড়ে যাচ্ছে। তারপর সব ঠান্ডা।
যতক্ষণ না আবার কেউ বলি হচ্ছে বিকৃত কামনার যূপকাষ্ঠে। ধর্ষক এখন আর তার ধর্ষণের
প্রধান অঙ্গ নিয়ে নিশ্চিন্ত নয়। তাই ব্যবহার করছে
নানা যন্ত্রপাতি। মণিপুরের মনোরমাকে মনে আছে? ধর্ষণের পর মনোরমার
যৌনাঙ্গে বুলেট মেরে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। দামিনীর সময় ব্যবহার করা হয়েছিল গাড়িতে ব্যবহার করার যন্ত্রপাতি।
এবারের বলি পাঁচ বছরের গুড়িয়া। ওর পেট থেকে বের
হয়েছে মোম ও তেলের বোতল। এবারের ঘটনায় শিউড়ে উঠেছি আমরা। কিছু না করতে পারার
যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে অবিরত আমাদের তথাকথিত সভ্য সমাজকে।
তিন মাসের বাচ্চা মেয়েও এখন আর সুরক্ষিত নয়।
আবার ৭৭ বছরের বৃদ্ধাকেও ছেড়ে দিচ্ছে না এই নরপশুরা। কী হবে আমাদের ছোট ছোট
মেয়েগুলোর ভবিষ্যত? নারী হয়ে ওঠার আগেই কি শেষ করে দেওয়া
হবে ওদের নারীত্বকে? বিচারের বাণী কাঁদছে এখন সরবে।
কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে কি ? একজন না অনেক গুড়িয়া
কাঁদছে । একজন নারী না অনেক নারী কাঁদছে।
এরপরেও যদি আমরা ঘুমিয়ে থাকি বা ঘুমানোর ভান করে থাকি তাহলে ওষুধ দিতে হবে
আমাদের। তাহলে হয়তো নড়েচড়ে উঠে বসবো আমরা! আসলে রোগ রয়েছে সমাজের মধ্যেই। আর আমরা তো এই
সমাজেরই অপরিহায্য অঙ্গ। তাই ভালো ওষুধের দরকার
সমাজ ও সামাজিক জীবদের জন্য।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন