ঘুম 
এখানে শুধুই আছে দূরত্বের
প্রতিসরণ, আলোর নীরবতা   
গভীর গোপন মনখারাপের
অসুখে ডুবছে চোখ  
ম্রিয়মান রোদে ঝলসে যাওয়া
ক্যানভাসে
তবে কি পথিক হারিয়েছে তার
দিশা     
কতটা বিবাগী হলে অন্ধকারে
পূর্ণিমা দেখায় স্রোত? 
বদলে যাওয়া জলাশয়ে ভেসে
থাকে সম্পূর্ণ পাঁজর
এই বিভ্রম অথবা
ছন্দহীনতার কালে 
শব্দগুলো ভুলে গেছে ভাষা 
স্নায়ুতে জমেছে ঘুম। 
বৃষ্টি
দ্যাখো তো বৃষ্টি কি
নেমেছে ঝর্ণার শব্দে
দূর পাহাড়ের চূড়ায় কি ঘনিয়েছে মেঘ
ঈষৎ শিশিরছোঁয়া দক্ষিণ বসন্তে,
কী জানি না-জানা কোন সমুদ্রের
আর্দ্রতা রয়েছে তাতে
শুকনো ফাটল ধরা মাঠ
পাতাঝরা গাছের শাখায়
কচি পাতায় উঠবে ভরে
শুকিয়ে যাওয়া ডালপালাগুলো
চোখেমুখে সুখ প্লাবনের
স্বপ্ন মিশে থাকবে নতুন ফসলের
মঙ্গলসুধার মতো অজস্রধারায় নামবে যখন বৃষ্টি বিন্দুতে বিন্দুতে...
দূর পাহাড়ের চূড়ায় কি ঘনিয়েছে মেঘ
ঈষৎ শিশিরছোঁয়া দক্ষিণ বসন্তে,
কী জানি না-জানা কোন সমুদ্রের
আর্দ্রতা রয়েছে তাতে
শুকনো ফাটল ধরা মাঠ
পাতাঝরা গাছের শাখায়
কচি পাতায় উঠবে ভরে
শুকিয়ে যাওয়া ডালপালাগুলো
চোখেমুখে সুখ প্লাবনের
স্বপ্ন মিশে থাকবে নতুন ফসলের
মঙ্গলসুধার মতো অজস্রধারায় নামবে যখন বৃষ্টি বিন্দুতে বিন্দুতে...
আগুন
এইসব
জলের আড়াল ভুলে গিয়ে 
সাঁকো
পের হতে, খুলে যায় পায়ের আগল
ঘাটের
কিনারে ঠায় বসে থেকে
ক্রমাগত
ক্ষয়ে ক্ষয়ে অবশেষে 
পাখির
ডানায় ভর দিয়ে উড়ে গেছে 
পাথরের
দেবী 
জোনাকির
চোখে চোখ রেখে চুপিচুপি 
কত কথা
বলেছে সে নিদারুণ পিপাসায়  
তবু জল
ভেঙে ভেঙে পায়ের তলায়, 
কোন
একদিন   
পিদিমের
আলো ডলে দেয় 
গনগনে
আগুন বুকের ভেতর লুকিয়ে। 
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন