কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

ইন্দ্রাণী সরকার




রাহুগ্রস্ত চাঁদ

তুমি যে একা তাই তোমায় আমরা
সম্পূর্ণ গ্রাস করতে চেয়েছি
রাহুগ্রস্ত চাঁদের মত
তাই প্রথমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
কেঁচোর মতো ভিখিরী হাত সরিয়ে নিয়েছি
জানি তুমি এসে বলবে, কি গো তোমরা কই?
আমরা বসে বসে শুনব, হাসব, মজা দেখবো,
কথার উত্তর দেব না, অজুহাত দেখাবো
যাতে তুমি বারবার এসে বলো
সেই সুযোগে আমরা তোমায় ধরে রাখব
নিজেদের বড্ড চালাক মনে করি
ভাবি পৃথিবীর আর সবাই বোকা।।

বিস্মৃত আবেগ

আমি তোমার স্নেহধন্য সন্তান 
আশীর্বাদ নিয়ে বাঁচি
 
সব কিছু আড়চোখে দেখি
তোমার দালানে পাও রাখি না
শুধু জারজ সন্তানের মত রোজ
 
ভিক্ষাপাত্র নিয়ে বসে থাকি
 
নিজের ঘরেই চাল নেই
 
তোমায় কি করে আর দেব?
ধুলো ছুঁড়ে মারি আর সাথে সাথে
 
নিজেও কত ভাবে রোজ মরি
 
পাঁজরে লুকিয়েছি দিনভর
 
অনেক
 বিস্মৃত আবেগ

তোমার মধুনাম

হংসপাখাতে তোমার মধুনাম লিখে রেখে যাই প্রিয় 
ফিরে যাবার কালে যেন একবার আখর মিলিয়ে নিও 
তোমার স্মৃতিগুলি আঁচলের গিঁটে যত্নে রেখেছি জমা 
পথ চেয়ে আজ বসে আছি আমি তোমার এ নিরুপমা 
আলের  ধারেতে যেখানে তুমি লুকিয়ে খেল হোলি 
সে বাঁকেই দেখো ফুটে আছে কত ম্যাগনোলিয়ার কলি 
খুঁজে নেব ঠিক গোধূলি আলোয় তোমার উদাসী চোখ 
আকাশ বাতাস রাঙিয়ে তাই আজ ভালোবাসা হোক


শাম্বের শাপ

আজ ভাঙল উড়াল পুল কাল ভাঙবে মানুষ 
চোখে তবুও পট্টি বাঁধা মনটা ওড়ায় ফানুস
ফানুস না কি বেলুন ওড়ে হিসেব কসে যাই
মৃত্যু যখন ফুটের দূরে তৃতীয় চক্ষু পাই
তার আগেতে অঙ্ক কষি আকাশচারী না কি?
আমি আছি জলে স্থলে বিজলি হানে আঁখি
শাম্বের শাপ দাঁড়াও দুরে একটু নাটক করি
তারপর নয় শাপটা লাগুক কিসের তড়িঘড়ি?

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন