কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

প্রদীপ চক্রবর্তী




‘মোহ রচনা’ নামের যে পাপড়িটি 


(১)

নেশা ফুরোবার পরেও ভোর - গোয়ালন্দ 
ওকে জাগাবার কথা 
সবই তো ভঙ্গুর দ্রুতগামী বুদ্বুদ মেঘ...

বৃষ্টি লীন শরীরে মুখোশ পরে থাকি 
আকাশপারে দেখা দিয়েই মুখোশ আত্মসাৎ করে আমায় সর্পিল অরৈখিক দাম্পত্যে 
ভেষজ গন্ধ, দাগ ও মেছেতা
প্রেম হেম হেমলক 
এতো রঙ, জলের দাগ ক্ষুৎকামার্ত জলীয় গোলাপজাম, 
হাওয়ার ছোটো ছোটো আতপ ফসল 

দেশগাঁর বাহানা যেমন 
বারবণিতার মায়া যেমন 
অথৈ ঋতুর মাঝে নিংড়ে তোলে 
মধ্যউন্থানের জল ভরা বুদ্বুদ
হাওয়া আসছে মুখোশ - পুতুলের প্রস্তুতি 
যার অর্ধেক ছায়া ভেঙে উন্নাসিকের 
দমচাপা অন্তিম মীমাংসায় একা
যেখানে সম্ভোগলিপ্ত মনের কারুকাজ
জঙ্গলে এক নিসঙ্গী তুলনাধ্বনি অনিঃশেষ 
মহুয়ায় ওৎ পেতে আছে...


(২)

ছায়া উৎকণ্ঠা ঘষাকাঁচের কারুকাজ কারুকাঠে পিপাসা অলীক অকস্মাৎ স্নায়ুতে শিরায়
অথচ রচনাকারী অধরা মাধুরীর ভেতর সৌন্দর্যহীন জাদুরূপের ভিয়েন গড়েছে...
রসের কনকদুর্গা

গড়েছে ভেঙেছে সহজপাঠে রুদ্ধদল জোনাকি - বিদ্যুৎ  নদী জুড়ে নতুন বৌয়ের  ঘাম 
মজ্জা মাসের ভেতর শবদাহ চলে তাৎক্ষণিক কুমোরটুলিতে চক্ষুদান

শরীরী জীবনে ভাসে ও ভাসায়, খুঁজে নেয় ছল
সোনাগাছির কিশোরী ফুলে ভ্রমর অরন্ধনে পিপাসা অরূপ রূপের নুন হায় সে ব্যঞ্জন!
অনাহূতের  ভোজ স্বল্প সরিষার তৈল কুয়াশা বিধুর বিন্দুবৎ গ্রামের হাওয়া নশ্বর
নির্ধারিত
বীজ - বীজাণুর কাঠ ফুঁড়ে ঝাঁঝরা করে স্নিগ্ধ একটি তিল ঠোঁটের থরোথরো ঘাম 
মধুর জন্ম আছে, মঞ্জরী নাই নহবত নাই এতটা সবুজ আমি কোথায় রাখবো?
আদর কাড়ার মতো মুখ একলা ময়ূর ও মুদ্রা রাক্ষস মুখোমুখি...


(৩)

একটি গাছ বাসনা বিয়োজনে এক শূন্যতমা সবুজ গহীন সমাহিত পাখির মুহুর্মুহু
পাল্টে ফেলছে রঙে ওষ্ঠ অধর স্তনাগ্রের অরুণিমা
যতটুকু তিলতিল দিকচিহ্নহীনতার অসেতুবান্ধব, একটিই গাছ...

অথচ তুমি হরিয়ালি পুষেছ একটি গাছের বিপ্রতীপে ভ্রাম্য আশ্লেষে ঋতু সাপেক্ষে

একটি গাছের বাহ্য গূঢ়ভাষ আসলে তর্কাতীত নয় সবুজও নয় তোমার অহং অশোকের
লিপি আর তৈমুরের তিরের ফলক আগলে আছে যে ভাবে পাখি আগলে আছে গাছ 
দৃশ্যের রানী শব্দ তোমার আবছা হত্যার গন্ধ সব জড়িয়ে আছে ধুলো ধুলোয় ঝরে পাতা
রক্ত মাংস পুঁজ ভূমা অসামান্য সেই বাড়ির স্বত্বহীন যৌনগন্ধে বাড়তে থাকে গাছের
উষ্ণতা
তুমি ও তোমার আপাত নৈর্ব্যক্তিক মুখ মুখোশ মনে হলেও হরিৎ কুহক পাখিদের বনান্তর
অসংখ্য বল্মীক ভেঙে সমূহসর্বস্বে মানুষের খাদ্য গ্রন্থ ভক্ষণ করেছে একটি গাছ এই নিথর
নীল মূষিকবিহীন পৃথিবী পেরিয়ে কোনো এক দূরতম  গ্রহ থেকে দেখি পাখিদের বিন্দু
ভ্রম হচ্ছে ভোর ফোটার...

2 কমেন্টস্:

  1. ১,২,৩ সবকটা কবিতা খুব ভাল লাগল প্রদীপ।
    তবুও কয়েকটা কথা বলব নিশ্চই কিছু মনে করবে না। ২ নম্বর কবিতায় কিছু পাঙ্কচুয়েশন আর ৩নম্বর কবিতায় লাইন বিন্যাসের দিকে বোধহয় একটু দেখা দরকার। তাছাড়া অনবদ্য তিনটে কবিতা। ভাল থেকো।

    উত্তরমুছুন
  2. ১এ মধ্যউন্হান... বুঝলাম না। কবিতাটি খুব ভালো লেগেছে। ৩এর ভিতরে অসম্ভব সুন্দর আবেগের কারুকাজ ।

    উত্তরমুছুন