কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তাপসকিরণ রায়




উড়ে যাচ্ছে...

একটা শাড়ি উড়ে যাচ্ছে...
ঝড় ও তাড়নায় যত্রতত্র একটা শরীর,
সেখানে জড়িয়ে যাচ্ছিল কিছু গন্ধ রং ও মোহ
আর একটি নারী উঠে এলো তোমার কাঁধ জড়িয়ে
কিছু প্রলাপ, প্রাণহীন, তবু প্রাণময়, ভাল লাগার ছায়া ছায়া থেকে
মায়া মায়া থেকে এক টুকরো শয়ানভূমি--  
তুমি রংতুলি দিলে, প্রলাপ ও সন্ধি ছায়ারাত্রি উঠে আসছিল
এবং বিছানার একটা গন্ধ আছে, বালিশের ওসারে--   
জড়িয়ে যাচ্ছিল সে শাড়ি  
আর তৎক্ষণাৎ সে হেসে উঠল খিলখিলিয়ে,
তুমি অসংখ্য শাড়ি দেখছো, ছিঁড়ে ছিঁড়ে তুমি তাকে
সমস্ত চুমু কেটে ছড়িয়ে যাচ্ছিল ভালোলাগা,
ভালবাসার বীজ ছড়ানো শাড়িতে মাটির গন্ধ জড়ানো ছিল--
জল সংস্পর্শে, তুমি তাকে ভিজিয়ে,
আবার ছাদের আলসেতে শুকোতে দিলে।


এক মায়াবী হরিণ 

বীজতলি থেকে ভালোলাগার গন্ধ গন্ধ
তোমার রঞ্জনী ঠোঁট, এক বিষাক্ত ঠোঁট
চুমুর বিষে নীলাভ হয়ে আছে অজস্র সাপ
কিলবিল করছে তোমার মনের ভেতর
জন্ম নিচ্ছে কাম ছটা রং রং পোশাক,
সেজে ছিলে বলেই আজের এ উৎসব বেরিয়ে এলো
পাখিদের নীলাকাশ, সাতরঙা ধনু,
তার ছিলায় তুমি রাতের অধরা তীর
অলক্ষ্যে ছুড়েছ এক মায়াবী হরিণ !

একটা হরিণ চোখ বিঁধে ছিল তোমার মোহবন্ধ--
আবার চারণভূমির রাখাল ও গোপিনীর খেলা
জন্ম নিচ্ছে যথেচ্ছা ছাতিমবৃক্ষ,
আজের রাখাল ভাটিখানার,  
সুরী সড়কে তার কাটা সুর বেসুর,  
নাচনের ভঙ্গিমায় খিলখিল গোপিণীদল   
অলিগলি থেকে হঠাৎ বদ্ধ জল ছুটে এলো--
এক ঝাঁক প্রজাপতি ছড়িয়ে গেল আকাশে--
আর তার মধ্যে তুমি স্বপ্ন দেখতে দেখতে
স্ত্রীর রতি ভেঙে খান খান করছ।


প্লাজোমেটিক এক প্রজাপতি

অধিকার নেই তবুও অভ্যাসবশে পাতা পাতা লিখে ভরছি,
তুমি বললে, কিছু যতিচিহ্ন এবং আকৃতির অবসাদময়তা--   
তারপর ডাস্টবিনে ফেলে আসি সেই সব পৃষ্ঠা,
দেখি সে পৃষ্ঠাগুলির মূল্য ছিল, এক দরদী মানবীর কাছে !

তোমার পাশ ঘেঁষে থেকে একদিন তুমি হয়ে যেতে পারার প্রচেষ্টা করতেই পারি
একদিন শিষ্যকে পেরিয়ে শেষ সে এগিয়ে গেল গুরুমারা বিদ্যায়,  
আঙুল কেটে দিয়েছো বলে সে চরম প্রতিষ্ঠা তোমার  
ফ্লেক্সসিবল পেইন্টিং ব্রাশে  কিছু রং ছিটিয়ে দেখি অনবদ্য--
এক অবয়ব ফেটে পড়ল, জন্মাবার আগেই সে হেসে উঠল।
প্রসাধনী সে তখন মজে আছে, তোমার মন
দেখতে দেখতে ভালোবাসা ফিরে এলো
প্লাজোমেটিক এক প্রজাপতি অটো পাখনায় উড়ে গেলো নীলিমা
অভ্যাসবশে তুমি কবিতা হয়ে গেলে,
প্রসাধনী রঞ্জনে তোমার ভালবাসার মিশ্রণ--
একটি নারীর পেইন্টিংয়ে  এক টুকরো রাতের অপেক্ষা


ফটোফ্রেম

তাতারদের জীবনবৃত্তান্তগুলি ছবি হয়ে যাচ্ছে
অমোঘ সময়ের মুখে তেতে উঠে ছিল সব কিছু
নরমতার মাঝে এসে একটি বৃক্ষচ্ছায়া দান
ঘুমপাড়ানি গান হয়ে যাচ্ছে।
ঘুমোতে ঘুমোতে একটা ছবি আমাদের বুক,  
গজিয়ে উঠছে ইতিহাস,
লেখনীর প্রলেপ থেকে গজিয়ে উঠছে ইতিহাস
লেখনীর মাঝ থেকে একটা ঐতিহাসিকজন্ম,  
আমাদের মাঝ  থেকে ফটোফ্রেম বেরিয়ে আসছে
অনবরত


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন