বালুচরির প্রথম সংস্করণ
আমার বিশ্বাসী অণুগল্পে বরাবর সূর্যরোগ লেগে যায়
আর বিরতির চিহ্নগুলো পরিণত হয়ে
কোলাজের বুকে সম্পর্কিত
এই প্রবাহিত বিষয়ে উল্লাস খুঁজতে
গলির
মুখে পাক খেয়ে যখন সেপাই ধরে আনি
তুমি চিলেকোঠার ঘরে তালপাতা সাজাও
আসলে ভুক্তভোগীরাই জানেন অবসরের অপেক্ষায়
থমকে যাওয়া বালুচরির
প্রথম সংস্করণ
কাঠের দোচালায়
ওয়াকিবহালের আগে থাকা জিজ্ঞাসার কাছে ফুঁ দিয়ে আমরা
স্মৃতির গোপন ডেরায় সুতো বাঁধি
এইভাবে বোধের রোদবেলায় দু’চারপা কলাগাছ একা একা বসে
কোন ঐতিহাসিক
সম্মোহনের বিভক্তিযোগ করেনি
অথচ উত্তাপের নেমপ্লেট নিয়ে সঙ্গীহীন এই চলায় আমি
জলবাহী
ব্যাকুলতাকেই প্রশ্রয় দিয়েছিলাম
অস্থায়ী বিড়ম্বনা এসে যখনই নাকে ঠেকেছে
আকাশ ভেঙে পড়েছে কাঠের দোচালায়
ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে এখন সাক্ষাৎ হয় সার্কাসের সেই
ঘোড়াটার
যার লেজে গভীর অন্ধকার বাসা করে
আপেলসমৃদ্ধ রাত
এইভাবে দুটোচোখ কখনই পূর্ণ হয়নি
তাকে সম্পূর্ণ আত্মভোলা করে কার্যত তুমি
বর্ষাঋতু নামিয়েছিলে
ছায়াহীন পঞ্চাশটা সেমিকোলনে আমি
চৌহদ্দিমূলক
জোড়সংখ্যায় পুষিয়ে নিচ্ছি
আপেলসমৃদ্ধ রাত
ছন্দহীন শিরদাঁড়ায় দুফোঁটা অলসঘুমের নির্যাস ঢেলে
দেখেছি
পাখির চিরকাল পর্দায়
ফোকাল ইন্টারেস্ট
আর উপুড় হওয়া বর্ষায় হড়কাতে হড়কাতে
আমার
বিশ্বাসের হাইফেনে এখন ছত্রাক জমে
তাই প্রতিটা ভরপুর সন্ধ্যার ফাঁক দিয়ে যে সমাজ
জেগে আছে
টহল না দিয়ে
বিপদসীমার কাছেপিঠে
নিঃসঙ্গ সমুদ্রযান আঁকি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন