কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফেরদৌসী আক্তার




দায় বহি ভারী

ধর্মেন্দ্র পুরাণ ঘেঁটে ঘেঁটে বৃদ্ধ হয়,  
আমিও ক্রমে তা দেখে দেখে অভ্যস্ত;
ভীষণ মায়া আমারও হয় দেখে -
যে যে মুখ অলীক ভেবে ভীত, সন্ত্রস্ত। 
আমারও জল আছে দু’নদী   
তবু নিজেকেই ভাবি  চাতক;
সাধ্য নেই তৃষার্তের মুখে দিই জল একঢোক।
লজ্জা লজ্জা!
কোন মুখে নিজেকেই উপস্থাপি!
কী করে বলি   
আমার কাছেই আছে এই নাও সমস্ত নদী!


চুমো

চুমোয় সত্যি যতটা না রস, 
তারও চেয়ে ঢের বেশি দিয়ে দেখি
যতটা পায়নি প্রেমিক হয়ে জিন্নুদান,
আর যতটা পেয়েছে পরকীয়ায় বেশি   
ততটাই!
ঠিক ততটাই লিখেছি   
তবু বাহবা কেন পাইনি?
গতকাল আমার কবিতাই কেন হলো বলির খাসি?

আশ্চর্য! মে দিবস!
তুমি ছাড়িয়ে গেলে আমার কবিতার চুমোর রস?


বিসর্গ

চুপি চুপি ভোকাল কর্ড বিসর্জন দিয়েছি -
ভাতের বিনিময়ে;
আগামীকাল থেকে প্রতিদিনই-
ভাত চিবাবো, হাওয়া নয়।
সামান্য ব্যতিক্রমে লাইনে দাঁড়িয়ে -
বাঁ হাত ওঠাবো ...
নেতা আর নেত্রীদিদি হেসে সহি চেপেছেন -
এই এই প্রতিজ্ঞা প্রজ্ঞাপনায়।

আমিও চেপেছি কলম ভেঙে
কে কার হদিস রাখে?
কার সহি কোন রঙ্গে!
অতঃপর দিবালোকে সর্বসম্মুখে এসে -
দিব্বি দু’ঠোঁট মেলে আছি, হাসির ঢঙে  
হ্যাঁ বা না সূচকে -
মাঝে মাঝে মাথা নাড়াই কাকতাড়ুয়া অঙ্গে।


আহা, একি!

যদি কথা নাও বলি, তবু
মাঝে মাঝে চোখে টিপ পাড়ি।
স্বীকৃতি নাও দিতে পারি,
তবু ঘন ঘন চোখের পালক নাড়ি।

বুঝি সব, তবুও কিছু বাকী,
কী জানি রয়ে গ্যালো! বলে হাসি মেকি;
সামনে চোখ দিয়ে চলি,
কিন্তু ভাবনাটা পেছনেই থাকে, সেকি!  

সুযোগ পেলেই কারো-না-কারো
পায়ের তালে পেছনে পেছনে হাঁটি;
অগোচরে আমার বাঁ হাত -
বয়ে বেড়ায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রঙের কাঠি।



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন