সোয়ালো
(১)
আমি শীতের সময় শুধু আসতে চেয়েছিলাম
তখন তোমার হ্রদ কেমন গরম
কত মাছ
হলুদ ঝোপের ধারে উষ্ণ রোদ্দুর
ওরা সব তোমার বন্ধু, যেন
ওরা ছয় ঋতু,
পাঞ্জাবীর বুক বোতাম খোলা রেখে একসঙ্গে হাঁটে
হাসে
হলুদ ঝোপের ধারে, শুয়ে থাকে, চিত হয়ে আকাশের দিকে
এখন আকাশ জুড়ে কেমন গন্ধ সব, ভুলিয়ে দিচ্ছে
তোমার হ্রদের ধার, তুমিও অদ্ভুত স্ট্যাচু হয়ে
দাঁড়িয়ে রয়েছো
সুখী রাজপুত্র আমি তোমার বুক পকেটে
খুব শীতে মরতে চেয়েছিলাম
তোমার উষ্ণীষ দেখো কিরকম তুষারে ঢেকেছে
সমস্ত শহর আজ নিজের নিজের দুঃখে বুঁদ হয়ে গেছে
তুমি একা রয়ে গেছো, কোথাও ভীষণ-ই
আমি সঙ্গী খুঁজে দিয়ে যাবো?
আকাশে ভীষণ গন্ধ, সব স্মৃতি মুছে নিয়ে গেলো
আমার ইনবক্সে সব বার্তা মুছে গেছে
তোমার উষ্ণীষ দেখো কিরকম তুষারে ঢেকেছে
সমস্ত শহর আজ নিজের নিজের দুঃখে বুঁদ হয়ে গেছে
তুমি একা রয়ে গেছো, কোথাও ভীষণ-ই
আমি সঙ্গী খুঁজে দিয়ে যাবো?
আকাশে ভীষণ গন্ধ, সব স্মৃতি মুছে নিয়ে গেলো
আমার ইনবক্সে সব বার্তা মুছে গেছে
(২)
যদি এমন যখন তখন প্রবেশ করো
বাইরে যেন প্লাবন এলো যাচ্ছে ধুয়ে
শ্লেটের থেকে এমনি আলো
এমন সময়
কান্না পেলো অনেকদিনের কান্না পেলো
কান্না এলো বাচ্চাবেলা বলতে চেয়ে
বাইরে যেন প্লাবন এলো যাচ্ছে ধুয়ে
শ্লেটের থেকে এমনি আলো
এমন সময়
কান্না পেলো অনেকদিনের কান্না পেলো
কান্না এলো বাচ্চাবেলা বলতে চেয়ে
একটি গুহা ছাড়াও আমার জানলা অনেক
মরচে পড়া দরজা কেমন শব্দ তোলে
শীৎকারে নয় প্রসব হবার যন্ত্রণাতে
কত নতুন কষ্টে আমার জন্ম দিলে
মরচে পড়া দরজা কেমন শব্দ তোলে
শীৎকারে নয় প্রসব হবার যন্ত্রণাতে
কত নতুন কষ্টে আমার জন্ম দিলে
আমি তাঁকে ইচ্ছা করি এমন বেলায়
এমন বেলায় মাথার নীচে হাতটি রাখেন
আমি তখন কুণ্ডলিত, চুল বিছিয়ে
কি প্রশ্রয়ে ইচ্ছে মতো ঢুকি বেরোই
চিলেকোঠার জানলা থেকে ছাদের ঘরে
তিনি আমায় তাঁর কিছু দেন টুকরো খেতে
বৃষ্টি ধোয়া উদাস মাঠের বিকেলবেলা
আমি কিছু খেলনাবাটির গুঁড়ো ছেটাই
উথলে ওঠা অপার যত দুপুর ছিল
এমন বেলায় মাথার নীচে হাতটি রাখেন
আমি তখন কুণ্ডলিত, চুল বিছিয়ে
কি প্রশ্রয়ে ইচ্ছে মতো ঢুকি বেরোই
চিলেকোঠার জানলা থেকে ছাদের ঘরে
তিনি আমায় তাঁর কিছু দেন টুকরো খেতে
বৃষ্টি ধোয়া উদাস মাঠের বিকেলবেলা
আমি কিছু খেলনাবাটির গুঁড়ো ছেটাই
উথলে ওঠা অপার যত দুপুর ছিল
তালে না হয় উড়ে যাব অনেক দূরে
কিচিরমিচির করবো মানস কার্নিসে তাঁর
তুমি যখন অন্ধকারে হাতড়ে ফেরো
মরে যাওয়া সরীসৃপের পিছল গুহা
কেন এমন যখন তখন প্রবেশ করো?
কিচিরমিচির করবো মানস কার্নিসে তাঁর
তুমি যখন অন্ধকারে হাতড়ে ফেরো
মরে যাওয়া সরীসৃপের পিছল গুহা
কেন এমন যখন তখন প্রবেশ করো?
(৩)
ধরা দেবো লোভনীয় ফাঁদে
তোমার আসার আগে শেষ ঘুমে ঘুমোব না হয়
ঊর্ণনাভ, এমন বিবশ আলো
এমন সূক্ষ্ম বিপর্যয়
শিল্প, এ তো
এমন ঝুলনা
আমি দুলিব না?
আহা তা কি হয়?
ঘরময় মৃগনাভী করুণ শেষের গন্ধে
তোমার আসার আগে
মৃদু মৃদু সরোদের গান
হে শিকারী তিষ্ঠ তিষ্ঠ
মুখের বদল আমি দেখব না
জয়ীর বদল আমি দেখব না
শেষ ঘুমে ঘুমোব না হয়
তোমার আসার আগে শেষ ঘুমে ঘুমোব না হয়
ঊর্ণনাভ, এমন বিবশ আলো
এমন সূক্ষ্ম বিপর্যয়
শিল্প, এ তো
এমন ঝুলনা
আমি দুলিব না?
আহা তা কি হয়?
ঘরময় মৃগনাভী করুণ শেষের গন্ধে
তোমার আসার আগে
মৃদু মৃদু সরোদের গান
হে শিকারী তিষ্ঠ তিষ্ঠ
মুখের বদল আমি দেখব না
জয়ীর বদল আমি দেখব না
শেষ ঘুমে ঘুমোব না হয়
(৪)
ঘেন্নার বোতলটা সরিয়ে নিও না
ভীষণ খিঁচুনি হবে সমস্ত শরীরে
আমি আরোগ্য থেকে ফের শোব পাশ ফিরে
সব তো নিয়েছো তুমি, আর তো নিও না
মিঠি মিঠি বাত জান, মিঠি মিঠি বাত
ভীষণ খিঁচুনি হবে সমস্ত শরীরে
আমি আরোগ্য থেকে ফের শোব পাশ ফিরে
সব তো নিয়েছো তুমি, আর তো নিও না
মিঠি মিঠি বাত জান, মিঠি মিঠি বাত
কাতরাবে রাত, ফের কাতরাবে রাত
মধুমেহ মধুর ঋতুতে
কম্পনে কম্পনে বাড়াবো কি হাত?
পুরনো পাড়াটা ঘুমকাতুরের মতো পায়ের চাদর তুলে নেবে
স্মৃতির গরলে ডোবা রাত
মধুমেহ মধুর ঋতুতে
মধুমেহ মধুর ঋতুতে
কম্পনে কম্পনে বাড়াবো কি হাত?
পুরনো পাড়াটা ঘুমকাতুরের মতো পায়ের চাদর তুলে নেবে
স্মৃতির গরলে ডোবা রাত
মধুমেহ মধুর ঋতুতে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন