কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

আনিস পারভেজ

কাছের জলে দূরের বিরান

এ শূন্যতা আমি কি করে ফেলে আসি
যে নদীর কোনো নাম নেই
অথবা যে সীমান্ত কোনো দেশের নয়
তেমনি একটি অনতিক্রম্য বোধ আমি সাঁতার কেটে যাই। 

ডুবন্ত একটি পাথর নিরুদ্দেশের কান্নায় তরল
আর অমাবস্যার হৃদয়ের তাপ কেমন বিষণ্ণ বধির

সুনসান হাওয়া তরল পাথরটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় 
উড়ে যায় সব, নামহীন নদীর ঘ্রা
উড়ে যায় সীমান্তের অদৃশ্য কাব্য
কেবলই একটি বোধ যা অনতিক্রম্য
ইশারা দেয় দেহের ভেতর দেহের বাহির থেকে
দূরের কোনো বিরান ভিজে যায়
কাছের জলে আমি তার ছায়া দেখি।


ঘরে ফেরার ধুলো

জ্বরের ঘোরে
সব কিছু থেকে আড়াল হয়ে নিজের সাথে জড়াজড়ি করা যায়।
মানুষের ভিড়ে পৃথিবীকেই দেখতে পাই না
নিজের সাথে কথা বলার সময় কই?
জ্বর এলে ভালো থাকি।

হেমন্তে ধান তুলে নেবার পর বিরান জমিতে মাটির ঢেলা
গোধূলিতে একটি কিশোরী গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে
তার পেছেনে কিশোরীর নেংটো ভাই আর বাছুর
মাটির ঢেলা থেকে ঘরে ফেরার ধুলো ওড়ে
আসমানে সূর্যাস্তের আবির।

আমি জ্বরের ঘোরে
আবিরমাখা সেই ধুলোতে বুক ভরে নেই।


নির্মোহ বিরান

ফুটপাতে ঘুমিয়ে প্রতিবাদ করলে আমার সর্দি সারবে না
মানুষের ভিড়ে তো বহুদিন থাকলাম
এবার আর দল-টল নয়, একটু আড়াল চাই্
চাই নির্জনতা

জলের নিচে আর আকাশের নীলে ঘাপটি মারার সময় এখন

তবুও মানুষের বজ্জাতি দেখলে
মাঝেমধ্যে দুএকটা চুড়ি ভেঙ্গে ফেলি, গাল দিতে ইচ্ছে করে
আর নয়, এবার একটু আড়াল চাই

চাই নির্মোহ বিরানে অলস অবসর







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন