সারারাত চাঁদের বাগান
স্পন্দন জমে ওঠে যেখানে
যেখানে হাত রাখি ...বুক রাখি
একি হলো! এমন স্বল্প রাত
জোয়ান সন্ধ্যার হাত ধরাধরি
...মিহি গন্ধে কেমন কান্না পেয়ে যায়
রাত কি গভীর হলো?
নেভানো রয়েছে শোওয়ার ঘরের রাতবাতি
আমার অনেকটা ভিতরে ঢুকছে ‘মুনলাইট...’
জানালায় আটকে প্রথম ব্র্যাকেট চাঁদ
...কেমন কিশোরতা আচ্ছন্ন করছে
ফুলেরা কই!
বাগান বলে যে চৌক জায়গাটা ভেসে রয়েছে
যেসব বিকল্প তাসেদের রাজা ও রানীরা অনর্গল ফুটছে
বালিকাপ্রবণ
আবছা আলোয় এরা তো ফুল নয় - বিকল্প মুখের অ্যালবাম
...শুধু ধুয়ে যাচ্ছে পুরনো আলোর গোপন স্রোত
পাশের শহরের ধ্বনি গাঢ় করে আরও গাঢ় করে রাত
এসব সামান্য বদস্বপ্ন ভেবে নিতে পারি অনায়াসে
কিচ্ছুটি বোধ নেই এমন নিভৃতে ঘুমিয়ে পড়তে পারি
শুধু বড্ড ঘামে ভিজে উঠবে জামা ...জামার নিচের আমি
আমার নিচে... অজস্র পায়রা...
এ বাগানে চাঁদ নেমেছে...
হতেও পারে চাঁদের বাগানে আমি
হলদে লাল সেমিকোলনে শুধুই ঢুকে পড়ছে আমায় ফেলে যাওয়া
মুখগুলো
জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে যারা শুয়ে ছিল রমণজর্জর ...হঠাৎ
তারাই সমবেত স্বরে
বলে ওঠে ... “হাঁ করো... বিশ্বরূপ দেখি”
পিঠজুড়ে অন্ধকার ভাঙছে...
অন্ধকার ক্রমশ ঘাস হচ্ছে চৌক জায়গায় রাতভিজে
বালিকাপ্রবণ ফুটে থাকা রাজা ও রানি গুটিয়ে যাচ্ছে ফলস
এলার্মের মতো আচমকা
বাথরুমের আয়ত আলোয়, ওরা জানে আর কিছু সময়...
তারপর... তারপর ওদের আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই
জানালায় হাত রাখি
হাত জুড়ে ভোর নামে ... যেমন প্রতিদিন
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন