কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

০৫) তানিয়া চক্রবর্তী

বিশ্বাসী ১

যে আমাকে অশ্লীল বলেছে
তার জিভে সামুদ্রিক কাঁটা
শিরদাঁড়ায় মিসিং-লিংকের হাসি
আমি তাকে শ্লীল বলি
সে আতপ্ত রঙের বিষ শ্বাস
তাই বিশ্বাসী হলাম


বিশ্বাসী ২

যখন একদিকে ভীষণ জিতেছ তুমি
তখন অন্যদিকে পরাজিত
সুরের একদিক উঠলে অন্যদিক নামে
পুনরায় তুমি অশ্লীল বলেছ
সাদা-কালো গুটিরা বেকুব বনে গেছে
অ্যাকোরিয়ামে পুষি না অক্টোপাস
ফাইটার দেখলে কান্না পায়
যে বিপ্লবে তোমাকে সরাতে চেয়েছিলাম
সেখানে বিদেশী বাদুড় চেঁচায়
ঘন জঙ্গলের গর্তে এসে
বুঝে গেছি আমি যন্ত্রণা বাঁচাই
আসলে নিজেকে কাটলে
রক্ত ও মাংস মুখোমুখি হয়
ছাঁকুনির মতো ভাবা যায়
কতখানি খুনি হয়েছিলাম
কোনো জরায়ুজ প্রাণীর সামনে হাঁটু মুড়ে বসি
এখন অবৈধতে ভাঙি তোমায়
জিভের আংটায় চেপে রাখি চুম্বন
যারা ঠকে যাওয়া
                     অথবা ঠকে না যাওয়াকে মাপছি
তারা প্রকৃত ঠকে বসে আছি নর্দমার পাশে
আর সুদৃশ্য শহরের বৃষ্টি এসে
                     কাঁপাচ্ছে ব্রাত্য কোণগুলোকে
এত আপামর বিসদৃশ সম্পর্ক
তবু তারা বিশ্বাসী হয়েছে
অথচ সবাই বলছে ভেদ -- ভেদ দেখো
নাগরদোলায় ক্রমাগত ঘুরে যাচ্ছে প্রলাপ
একই কথা বারবার বলে ফিরে এসেছি
কোনো মরচে পড়া গ্রিলের চাপা খেতে--


বিশ্বাসী ৩


যে যায় তার সঙ্গে যায় কিছু
কিছুটা পড়ে থাকে গুদামের ঘরে
পড়ে থাকা আলোগুলো বেইমান হয়
হাত থেকে গ্রাস নেয়
                     জামা থেকে ঘ্রাণ
চুল থেকে ঘুম নেয়
                     ঠোঁট থেকে প্রাণ
আঁধারে আঙার রেখে লুকোচুরি খেলে
যে প্রেম শুকিয়ে গেলে
বিছানা অনন্ত হয়
তার সঙ্গে বেহায়া হয় চাতকের চোখ
যে দেশে বেড়াতে গেলে
তুমি সঙ্গে নাও প্রেমিকার চুল
সে দেশে হারিয়ে গেলে বুঝো
প্রেমিকা নয়, প্রেমের ঈশ্বর
তোমার থেকে পালিয়েছে বহুদূর--

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন