কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

২৭) কৌষিকী দাশগুপ্ত

এপিটাফে শিরোনাম

সাজানো গোছানো ঘরের ভিতর জন্ম নিয়েছে হেডলাইন
চোখে পড়বেই সারসার ছবি, পিঁপড়ে লিরিক্স-এ ছদ্মবেশ
মুখ ঢেকে রাখি এত নিষ্ঠুর।

লজ্জাহীন বাতাসে ঢুকেছে অ্যামোনিয়া কটু তরল আগুন,
দেবী মানবীর নিঃশ্বাস ওড়ে,
ড্রেসিং টেবিলে দ্বিধা শিহরণ।

পাশাপাশি বাস তবুও কোথাও শিশির জমছে, কোথাও অসুখ,
শিরোনাম ভেঙে এপিটাফ লিখি,
বাঁশপাতা বনে কবে ঝড়ে গেছি।

সহবাস বহুমাত্রিক হয় এটা বোঝার আগেই
আমার চালে কাঁকড়,
রমণী আদতে আতপের ঘ্রাণ,
এটা জানার আগেই
আমার রান্নাঘর জুড়ে যমুনাবতীর গল্প।
তাই আর একবার সময়ের আগে, এই
‘নগ্নতা উদযাপন’।

শুধু আলো খেয়ে যারা বাঁচে সাজানো গোছানো বিছানায়
তারা এখনো দেখেনি কীভাবে মহাকাশ থেকে
সকালের রোদে বলিরেখা নামে,
তারাও এখানে আমার রাত্রি একলা হেডলাইন,
পরিপাটি ঘরে দলা দলা কথা,
শূন্যতা বুকে একা বসে থাকা,
অনেক আত্মা মিলেমিশে আজ বিরাট প্রতিবেদন,
‘মৃত্যুর আগে নয় দেখ
মৃত্যুর পরেও আমি
একভাবে বেঁচে আছি’।


গোলাপ ফোটেনি কোথাও

মানুষ হারিয়ে গেলে নিরুদ্দেশের কলাম জুড়ে শব্দক্ষরণ হয়
জটলা বাড়ে বস্তিতে, সাবিনা বিবির গ্রামে,
মানুষ হারিয়ে গেলে আরো একবার
নিঃসঙ্গ হই ফুলের বাগানে।
অপাপবিদ্ধ অপহরণের কৃত্রিমতায় অবৈধ প্রেমের আসঙ্গ
নিরাসক্ত যৌবন নাকি বিপ্রতীপের গণিত?
জল্পনা করে তবু আত্মহননে অপারগ।

প্রতিমা ভাসানের আগে শনিবারের কালবেলা
সন্মোহনের বুদবুদ হয়ে ভাসে হারিয়ে যাওয়া মানুষ
নাগিনীর বিষে নীল হয়ে যায় গ্রাম,
সীমান্ত জুড়ে তীব্র বিবমিষা।

হেরে যাই তবু বেঁচে থাকা কল্পময়,
সকাল এখনো ফুরিয়ে যাওয়া রাত,
মানুষ হারিয়ে গেলে মধ্যমের বিলাস
ক্লান্ত করে তোলে জঠর নিষাদ।

এ জঠরে আমি হিংস্র হয়েছি বহুবার
মধ্য বয়স বৃষ্টি নামাতে পারেনি
আগাছার ভিড়ে পুরুষ জন্ম অসহায়, তাই
এ মাটিতে আজো গোলাপ ফোটেনি কোথাও।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন