কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

১৩) সোনালি বেগম

কফির ধোঁয়ায়

প্লেটোর সেই উক্তি -- ‘অন্ধকার-ভীত বাচ্চাটিকে
ক্ষমা করে দিই, কিন্তু জীবনের আসল ট্রাজেডি
যখন মানুষ আলোকে ভয় পায়।’
সপ্তাহের সাতটি দিনই কাজের দিন। ভোরের আলোয়
পরিমিত ব্যায়াম। কফির ধোঁয়ায় শীতের মেঘলা
আকাশ। গরম কম্বল সরিয়ে ঘন কুয়াশা-দর্শন।
জানালার ধার ঘেঁষে কিছু দরকারি কাজ সেরে নেওয়া।
রাজস্থানের উটের দলটি উত্তাপ পেতে জ্বলন্ত
কাঠের কাছে সরে আসছে -- দেখা যায়।


তরঙ্গ

নাগরদোলায় তরঙ্গ দুলে ওঠে। নীরস দিনগুলি সরিয়ে
ভেসে ওঠে নবপত্র। বাদাম চিঁড়ে গুড় ফল গজক তিলের
রেউড়ি নিয়ে পাঞ্জাব-কৃষক ‘লোহড়ি’ উৎসব মেতে
ওঠে। মকর সংক্রান্তির পূর্ব দিনটির শীতলতা আখের
রসের পায়েসে উষ্ণতা পায়। সংগৃহীত কাঠে অগ্নিসংযোগ
আর নৃত্যরত মানুষজন আবছায়া আলোক। মধ্যরাত
পর্যন্ত ঢোল সহযোগে লোকগীত। সম্পর্কের মুগন্ধ।
‘মককি কী রোটি’ আর ‘সরসোঁ কা সাগ’ নিয়ে
হৈ চৈ উঠোন --


মিঠাস্

ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় ঘেরা রাত। সিমলায় লাগাতার
বরফপাত। সঙ্গে বৃষ্টিও। হাড়-কাঁপা ঠাণ্ডায় উত্তরাখণ্ডর
দেরাদুন হরিদ্বার উধমসিংহনগর...। কঠিন ঠান্ডায়
অসংখ্য মৃত্যুও। গরম কম্বল মেলে দেয় উষ্ণ হাত।
দাউ দাউ আগুন। বরফচাদর-ঢাকা পর্বতশিখর।
এমন শীত গমক্ষেতের কৃষকের হাসি ছড়ায়। আর্দ্র বাতাস
অসহ্য ঠাণ্ডায় অধিক মিঠাস্ মিশ্রিত শিশিরসিক্ত
রক্তিম আপেল। আবছা আলোকবিন্দু ধোঁয়ায় দোলে
কুমায়ুন গাড়োয়াল।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন