কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

০৪) ধীমান চক্রবর্তী

সুরকার

শীতকালের কিছু ভালোবাসার গান থাকে।
ভাড়াগাড়িতে বালি, ঝিনুক আর
নীল জল। এ শহর ছাড়িয়ে
চলে যায় ব্যবসার কাজে।
পার্কের ওপাশে বহু কারণের জন্য বেঁচে
গাছপালা, কাঠের বেঞ্চ ও রোদ্দুর।
সেই মেয়ে। কম্বল ছড়িয়ে ওম্‌ দিল ওদের।–
যে দু’শো বছর আগে জেগে ছিল তৈলচিত্রে।
পটাপট খুলে যাওয়া বোতাম
আনমনে ব্যাগ গুছিয়ে দেয় ললিপপের।
রেস্তোরাঁর এক কোণে বসে,
দূরত্ব মাপি খুলে যাওয়া সেলাইয়ের।
শামিয়ানার নিচে নববর্ষ।
ক’দিন পর তার সোনালি এবং
অন্ধকার সাজিয়ে রাখবো তেপান্তরে।
টুপি খুলে অভিবাদন জানায় পরিপাটি বিছানা।
হেসে ওঠে বাদামি সিলিংফ্যান, প্রাণায়াম।
চিলেকোঠায় বসে তুড়ি দিয়ে বাজাতে থাকি
শূন্যের যোগফল। মায়া।


অচেনা


তীব্র চীৎকার। কাচের দেওয়াল
এক চোখে হাতছানি দেয়।
ওয়ালপেপারে বাগান কয়েকবার হেঁটেছে।
মালকোচা দেওয়া পরিপাটি দেশলাই।
ছাপ রেখে যাও পিছনে দাঁড়ানো
হলুদের জন্মদিনে। পৃথিবী কারোর কারোর
কাছে ভুলভাবে এলেও, রাবার সোল
সম্মোহিত হয় না। ওষুধের দোকান
পছন্দ নয় একেবারেই, তবু
ছেয়ে থাকে ঘুম ও কৃশ যন্ত্রণা।
রোদ ওঠার উল্টে পাল্টে দেখা পৃষ্ঠা।
স্কুলব্যাগ খুলে রাখে সানাই। তার সুর
রুমালের এককোণে গিঁট বেঁধে দেয়।

রাত হতে দেরী হয়ে যাচ্ছে বারংবার।
দূরে কাঠের আগুনের পাশে বসে,
কে যেন মৃত্যুর কথা ব’লে বৃষ্টিকে
ঘুম পাড়ায় আজকাল।


জাতক
দেওয়ালের ফ্রেমে বাঁধানো গাছ।
ছড়িয়ে পড়েছে ঘর জুড়ে। ঘর ছাড়িয়ে।
বহুবার ওই জলরঙের ছবি
নিজে নিজেই কেঁপে ওঠে।
শূন্য ঘরে একা আয়না।
অচেনা লোকটিকে আর কখনও দেখেনি।
জিনস্‌ পরা পেনসিল ঝিরিঝিরি
গ্রামবাংলা পেরোলো। আমার চারপাশে
দোলনার গোল ছায়া এঁকে দেয় আমার স্ত্রী।
খাট থেকে গড়িয়ে নামা পুতুলগুলি জ্বালিয়ে,
নিঃশ্বাস নেয় গায়ত্রী মন্ত্র।
আমন্ত্রণপত্রের সাথে ঝগড়া করে
ক্যারমবোর্ড এবং না জ্বলা লাইটার।
হাত বাড়ালেই উল্লাস।

এই পৃথিবী কল্পনা কিনা বুঝতে চেষ্টা করি।
বাইরে অন্ধকারের চোখ,
পৃষ্ঠা উল্টে উল্টে এক রঙিন আলো
পাঠ করতে থাকে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন