কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৩

রিমি দে

ফুল কিংবা অফুল


এই যে প্রবল শীতকালটা গেল, তাতে একটা ফুল ক্রমশ আমার কাছে চলে এসেছিল। ফুলটি ফুলের মতো অথচ প্রকৃত ফুলও বলা চলে না। বৃতি সবুজের বদলে নীল। আর পাপড়িগুলো এমন গুটিসুটি মেরে বসে থাকে যে, ওর ঠোঁট থেকে কেমন যেন একটা আহ্লাদের হাসি বেরিয়ে আসে। এমন একটা ভাব, যেন কাজল কাজল চোখ নিয়ে আমার দিকে দু’হাত বাড়ায়। অদ্ভুত রঙ ওর বুক জুড়ে। চোখের নিচে কালো তিল। ধূসর দু’গালে রঙের গভীরতা। গোধূলির চোরা টান চাহনিতে। শরীরের রঙ এমন, ঠিক বর্ণহীন যেন! তার নাম ফুল কিংবা অফুল।

আমি মহম্মদ ইকতারা। সব সময়ে কিসের অন্বেষণে! কী যেন তাড়া করে। ভেতরে এক অস্থিরতা। এ তাড়না পশ্চিমের ঝঞ্ঝার মতো। প্রভাব সুদূর প্রসারিত। পৃথিবীর কোন্‌ প্রান্তে কী ঘটছে, তার ভোগান্তি ভারতবর্ষে, উত্তর পূর্বাঞ্চলে।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে আমার আজকাল আর পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে না। গোসল করতে ইচ্ছে করে না। মনটা নড়চড় করে খুব। রোজ নামাজ পড়ি না। তবে রাতের দিকে, কোরাণ যখন পড়ি, পাশাপাশি বাইবেল আর গীতাও রাখি। সন্ধের পর দু’এক কুচি আপেলের টুকরো মুখে পড়লেই ফুল বা অফুলটি আমার মাথার চারদিকে ভনভন করে। মশার মতো নয়, ভ্রমরের মতো! ফুলের সঙ্গে ভ্রমরের সম্পর্ক ওতপ্রোত। কিন্তু অফুল! সেটা আবার কী? ফুল অথচ ফুল নয়!

কাগজের ফুল? যাঃ, তা আবার হয় নাকি? কেন হবে না? বুকের ভেতরে কাঠঠোকরার কামড়! হয় না বুঝি? রক্তজবাও তো মাঝে মাঝে ঘাড়ের ভেতর চুপ করে বসে মজা দ্যাখে। তখন আজান পড়ে। ফুল কিংবা অফুলটি নেচে ওঠে। গোটা শরীর জুড়ে!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন