কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

শুভ্রনীল চক্রবর্তী

 

এরিয়া ৫১ - ভিনগ্রহী গ্রহান্তর




আমরা বাঙালিরা খুবই সাধারণ মানুষ আর নির্বিকারে সেই সাধারণত্ব নিয়ে  বড়াই করে থাকি। পৃথিবীর মধ্যে কত যে বিস্ময়কর রহস্য লুকিয়ে আছে তা জানার চেষ্টা খুব কম বাঙালিই করে থাকেন, এই ধরুন এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল বা  মেটা ফিজিক্যাল ব্যাপার বা ঘটনা। না বস্তুবাদী হওয়া খুবই জরুরি, তার বিরোধিতা আমি করছি না, তবে কি জানেন তো এই মহাবিশ্বের ৯০ ভাগের  বেশিই কিন্তু অ্যান্টি ম্যাটার বা বিপরীত বস্তু। তাই যুগের সাথে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের গতে-ধরা মধ্যবিত্ত সাহিত্যচর্চা বিশেষ করে ফিকশন-প্রিয় বাঙালির উচিত একটু টেকনোলজিক্যাল ব্যাপ্তি নিয়েও পড়াশোনা করা। যেখানে এ বিষয়ে আমরা সবাই অবগত যে, আমেরিকা থেকে শুরু করে চীন অথবা প্রথম বিশ্বের সবকটি দেশই কিন্তু নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে এই প্রযুক্তি নির্ভর হয়েই। আমরা আজ যে জিনিসটা নিয়ে জানছি বা দু’এক কথা এদিক ওদিক থেকে শুনছি, তার চর্চা হয়তো মার্কিন মুলুকে হয়েছে কম করে বিশ ত্রিশ বছর  আগে। এবং আজ যে বিষয়টা নিয়ে বলতে চলেছি তা সম্পর্কে হয়তো বেশিরভাগ মানুষই অবগত নন। আচ্ছা আপনারা তো শুনেছেন যে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছে আমেরিকা থেকে নীল আমস্ত্রং, কিন্তু এটা কি জানেন বা শুনেছেন সেটি একটি সেটে বানানো সিনেমা ছাড়া আর কিছুই নয়? খুব অবাক লাগছে? আজ্ঞে হ্যাঁ, এই শুটিং প্লেসটির নাম এরিয়া-৫১, যেটা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করতে চলেছি।

এই এরিয়া ৫১ হলো আমেরিকার নেভাডায় অবস্থিত এক গোপনীয় স্থান যেখানে মার্কিন বিমানবাহিনী বিভিন্ন রিসার্চ ওরিয়েন্টেড কাজ করে থাকে। এখানে বর্তমানে ঠিক কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে তা জানার কোনো উপায় নেই। তবে ইতিহাস বলে যে, বিভিন্ন এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন সিস্টেম নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয় এই জায়গাটিতে। শুরু থেকেই গোপনীয়তা ও রহস্যের  বেড়াজালে ঘেরা এই স্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কথা উঠে এসেছে, কেউ বলে এখানে ইউ. এফ. ও-দের আনাগোনা আছে, কেউ বলে এখানে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এলিয়েনরা একসাথে না কী কাজকর্ম চালাচ্ছে ভবিষ্যতের পৃথিবী তৈরীর জন্য, আর এসবের সঙ্গে চাঁদে অবতরণের কনস্পিরেসি থিওরি  তো আছেই। আমরা আজ চেষ্টা করবো একটু বিষদে এই এরিয়া ৫১ সম্পর্কে জানার এবং এই বিভিন্ন কনস্পিরেসী থিওরির সত্যতা যাচাই করার।

একদম গোড়া থেকে শুরু করতে গেলে আমাদের যেতে হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, তখন সোভিয়েত রাশিয়া খুবই শক্তিশালী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভারে বা ধারে তাদের বেশ সমঝেই চলতে হত। তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নের মতিগতি, তারা কী নিয়ে গবেষণা করছে, তারা কোনো আকস্মিক হামলা করে বসবে কিনা ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের মস্তিষ্ক। পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য অপেক্ষাকৃত নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে সেগুলো অচিরেই ভূপাতিত হয়। অবশেষে ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার এক গোপন প্রোজেক্টের অনুমোদন দেন। সেই প্রোজেক্টের লক্ষ্য ছিলো এমন এয়ারক্রাফট বানানো যেগুলো অনেক উচ্চতা থেকেও শত্রুপক্ষের বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি করতে পারবে। এ প্রোগ্রামের ফসল হিসেবেই পরবর্তীতে তারা তৈরি করেছিলো ইউ-২ স্পাই প্লেন। ১৯৫৫ সালের জুলাই থেকে ইউ-২ স্পাই প্লেনের টেস্ট ফ্লাইট শুরু হয়। মজার ব্যাপার হলো, এর অল্প কিছুদিনের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে ‘ইউএফও’ দেখার  দাবি করতে শুরু করে লোকজন। এর পেছনের কারণটা অবশ্য বেশ মজার। ইউএফও দেখতে পাওয়ার দাবি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছিলো কমার্শিয়াল এয়ারলাইনের পাইলট। তৎকালে এরোপ্লেনগুলো সাধারণত ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ফুট উচ্চতা দিয়ে উড়তো। মিলিটারি এরোপ্লেনগুলো উড়তো আরো উঁচু দিয়ে, প্রায় ৪০,০০০ ফুট। অনেকেই ধারণা করতো যে, ‘মানুষের তৈরি’ কোনো  এরোপ্লেন এর বেশি উঁচু দিয়ে উড়তে পারবে না! আর ঠিক এ জায়গাতেই লেগে গেলো যত গোলমাল। কারণ ইউ-২ প্লেনটি উড়ে যেত ৬০,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতা দিয়ে! ব্যাস তখনই মানুষের মনে ঢুকে গেলো সন্দেহ, প্রচার হয়ে গেল এটা মানুষের বানানো কিছুতেই হতে পারে না, এ নিশ্চয় কোনো এলিয়েনের  কীর্তি। বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবশ্য জানতেন যে, ইউএফও দাবি করা জিনিসগুলো আসলে তাদের গোপন প্রোজেক্টের ইউ-২ স্পাই প্লেন। কিন্তু এ সত্যটি জনসম্মুখে বলা বারণ ছিলো তাদের জন্য। কারণ এটি ছিলো একটি টপ সিক্রেট প্রোজেক্ট। ফলে লোকমুখে ছড়াতেই থাকে ইউএফও দেখতে পাওয়ার সেসব ভিত্তিহীন দাবি।

এবার আসি, এরিয়া ৫১ সম্পর্কে গুজব বা রহস্যের ধাঁধা যাই বলুন, তার মূল  কান্ডারী ওরফে বব লেজারের কথায়। ১৯৮৯ সালে বব লাজার দাবী করে বসেন যে, তিনি কিছুদিনের জন্য এরিয়া ৫১-এরই একটি অংশে কাজ করেছিলেন, যার  নাম এস-৪। সেই জায়গাটি এতটাই গোপনীয় যে, ঐ প্রজেক্টে তিনি এবং তার অন্যান্য সহকর্মীদের যে বাসে করে নেয়া হয়েছিলো, তার জানালাগুলো বন্ধ ছিলো যাতে তারা যাতায়াতের রাস্তা মনে রাখতে না পারেন। এস-৪এ লাজার এমন সব ফ্লাইং সসার দেখতে পেয়েছিলেন, যেগুলো কোনোভাবেই পৃথিবীতে তৈরি হতে পারে না বলে দাবী লাজারের। সেগুলোর শক্তি সরবরাহ করা হচ্ছিলো এন্টিম্যাটার রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে, জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো লালচে-কমলা বর্ণের একটি পদার্থ যার নাম ‘এলিমেন্ট-১১৫’। তাঁর মতে, সামরিক খাতে  ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করছিলো ইউএফও।

তদপুরি লাজার এও দাবী করেন যে, ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের না কী এখানে যথেষ্ট আনাগোনা ও তাদের বিভিন্ন জিনিস জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই অঞ্চলেই। ১৯৯৭ সালে এমন দাবি করেছিলেন ভিক্টর নামে আরেক ব্যক্তি। তিনি এরিয়া ৫১এ চাকরি করেন বলে দাবি করেছিলেন। তিনিও এলিয়েনদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারটি দেখেছিলেন বলে জানান। নব্বইয়ের দশকে মাঝামাঝি সময়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে এলিয়েনদের ময়না তদন্ত হচ্ছে দেখা যায়, অনেকে এটিকে ভুয়ো বললেও মানুষের কৌতুহল কিন্তু থেমে থাকেনি। আপনি যদি এলিয়েনদের ময়নাতদন্ত তত্ত্বে বিশ্বাস করতে চান, তাহলে হতাশ হবেন না। কারণ ২০১২ সালে ‘Alien from Area 51: The Alien Autopsy Footage Revealed’ শিরোনামে একটি ডিভিডি বেরিয়েছিলো, যেখানে আবার সতর্কতা হিসেবে লেখা আছে- ‘Graphic Material’! ২০১৪ সালে সর্বশেষ এমন আরেকটি ভিডিও দেখা যায়। সেই ভিডিওতে প্রায় ৪ ফুট লম্বা একটি এলিয়েনের আংশিক কাটা মাথা দেখা গিয়েছিলো।

এবার আসি এরিয়া ৫১ নিয়ে সবথেকে জনপ্রিয় তত্ত্বে, বলা হয় আমেরিকার চাঁদের বুকের পা রাখাটা সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং পুরো ব্যাপারটি একটি সিনেমার মত  শুটিং হয় এরিয়া ৫১এ। এ ধারণাটির প্রবক্তা কনস্পিরেসি লেখক বিল কেসিং। তাঁর মতে, ষাটের দশকের শেষের দিকে নাসার বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে,  তীব্র তেজষ্ক্রিয়তার জন্য চাঁদের বুকে অবতরণ করা কোনো মানুষ আর বেঁচে ফিরতে পারবে না! কিন্তু এতদিন ধরে চালানো এই প্রোগ্রামও বাতিল করা সম্ভব ছিলো না। তাই তারা আশ্রয় নেয় ইতিহাসের অন্যতম সেরা জালিয়াতির। এজন্য অ্যাপোলো-১১ জনগণের দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাওয়ার পরই গোপন একটি মিলিটারি এয়ারক্রাফটে করে ক্রুদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো পূর্বপ্রস্তুত একটি মুভি স্টেজে! এর কিছুদিন পরে সেখানেই স্থাপন করা সব ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেন নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন। এরপর সেই ভিডিওই বিশ্বজুড়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয় নাসার পক্ষ থেকে।

এরিয়া ৫১এ যে আসলে কী আছে সেই সম্পর্কে জনগণের ধারণা বেশ কম। এই কম ধারণা থেকেই পরবর্তীতে জন্ম নিয়েছে নানা কল্পনার শাখা-প্রশাখা। এই যেমন মাটির তলার বাঙ্কারটির কথা বলা যায়। কোনো কোনো কন্সপিরেসি থিওরিস্টের মতে, এরিয়া ৫১এ মাটির নিচে বিশাল বাঙ্কার গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আর সেখানেও রয়েছে প্রযুক্তির অত্যাধুনিক আশীর্বাদপুষ্ট বিমানের আনাগোনা। সেই বিমানগুলোকে সেখানে লুকিয়ে রাখা হয় যাতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও সেগুলোর কোনো হদিস কেউ না পায়। কারো মতে সেই বাঙ্কারগুলো ৪০ তলা ভবনের সমান উঁচু! আবারো বব লাজারের শরণাপন্ন হতে হয় বাঙ্কারের কথায়। তাঁর মতে, এলিয়েনদের সেই স্পেসক্রাফটগুলো লুকিয়ে রাখা হয়  পাহাড়ের নিচে। সেই বাঙ্কারের প্রবেশপথে রয়েছে বিশাল বড় দরজা যার ডিজাইন আশেপাশের মাটির মতোই করা। ফলে দূর থেকে দেখে একে পাহাড়ের অংশই ভাববে যে কেউ!

আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য মোতাবেক, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মেঘের পরিবর্তন করে বৃষ্টিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলো। আবার ১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ন্যাশনাল ওশানিক এন্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমানোর জন্য কাজ করেছিলো, যদিও তাদের সেই গবেষণা ততটা ফলপ্রসূ হয়নি। এ থেকেই অনেকে ধারণা করে থাকে যে, আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য এমন বিভিন্ন পরীক্ষাও চলে এরিয়া ৫১এ।

'ম্যাজেস্টিক ১২’ নামে সুপরিচিত একটি টার্ম আছে, যা দিয়ে আমেরিকার একটি  গোপন দলকে বোঝায়। বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সেই দলটি নাকি গত ছয় দশক ধরে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা করার জন্য যাতে আমাদের এই ধরণীটি একইসাথে মানুষ এবং অভিজাত এলিয়েনরা পরিচালনা করতে পারবে! ম্যাজেস্টিক ১২ নাকি ইতিমধ্যেই এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৪৭ সালে  সূত্রপাত হওয়া এ প্রজেক্টের মাধ্যমে এলিয়েনদের বিভিন্ন প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এসেছে বলে দাবি কনস্পিরেসি থিওরিস্টদের। বিনিময়ে এলিয়েনরা পেয়েছিলো বিভিন্ন পশুপাখি, এমনকি মানুষের উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর অধিকার!

এরিয়া ৫১এর কথা আমেরিকা সরকার প্রথম ৬০ বছরে স্বীকার করেনি, তাই কাল্পনিক রহস্যময় অঞ্চল হিসেবেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিল এই অঞ্চল। অনেকে বিশ্বাস করত, অনেকেই আবার স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিত, কিন্তু  সমগ্র বিশ্ব নড়ে চড়ে বসে ২০১৪ সালে, ওবামার সময় সি. আই. এ প্রথম স্বীকার করে এরিয়া ৫১এর অস্তিত্ব নিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে মানুষ খানিকটা হলেও জানতে পারে এই অঞ্চলের সত্যতা। এখনো বহাল তবিয়তেই চলছে এরিয়া ৫১এর গোপন পরীক্ষা নিরীক্ষা যার কুল কিনারা আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে গুগল আর্থ থেকে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ফটো দেখে বোঝা যায় আগের তুলনায় যথেষ্ট সম্প্রসারণ হচ্ছে এর এরিয়া। একথা বলাই বাহুল্য যে এরিয়া সম্প্রসারণ মানে কাজের পরিধি ও নিশ্চয়ই  বেড়েছে তাদের। তবে ভেতরে যে ঠিক কী চলছে তা অনুমান করা বড়ই কঠিন,  হয়তো ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারবো যদি আমেরিকা এই নিয়ে আবার কোনোদিন মুখ খোলে। তবে পিটার মার্লিনের মতে এরিয়া ৫১এ বর্তমানে উন্নততর স্টেলথ টেকনোলজি, অ্যাডভান্সড ওয়েপন, ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার এবং ইউএভি (আনম্যান্‌ড এরিয়াল ভেহিক্‌ল) নিয়ে কাজ হচ্ছে। ওদিকে ইউ-২ বিষয়ক ইতিহাসবিদ ক্রিস পোককের মতে এখন সেখানে বিশেষ ধরনের এয়ারক্রাফট, রেডিও কমিউনিকেশনের অত্যাধুনিক কোনো প্রযুক্তি, ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন এবং লেজার নিয়ে গবেষণা চলছে।

তথ্যসূত্র

popularmechanics.com/military/research/a24152/area-51-history/

nsarchive.gwu.edu/NSAEBB/NSAEBB443/


1 কমেন্টস্: