কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১১৬


জীবাশ্ম ও বৈজয়ন্তীমালা

 

খন্ড-ত চিহ্নগুলোর শারীরবৃত্তীয় ঔষধি গুলো গলাধঃকরণের পর

 

শববাহী গাড়ি পাললিক হতে হতে ক্রমশঃ দৃষ্টির বাইরে চলে যায়

তারা কখনোই নবম শতকের সম্রাজ্ঞী জীবাশ্মকে ধরে রাখতে পারে না প্রচ্ছায়া অসদবিম্বের কটি দেশের ভেতর

আমি কতবার নদীটির মৃত খেয়া ঘাটের কাছে এসে দেখেছি আলোকবর্ষ দূরের নারীটি আমার হাতের নটরাজ মুদ্রাগুলো ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় মন্থকূপের বাৎসানয় মন্ত্র ভেবে

খাঁটি রঙের প্রাচীন দৈব পাহাড়ের নিচে থাকা কুরুক্ষেত্রের বাহ্লিক যোদ্ধা একাই দাঁড়িয়ে আছেন ত্রিগুনাত্মিক প্রকৃতি ঈশ্বরের কাছে ঈশ্বর ব্যবচ্ছেদের মতোই অযোগবাহ লিখেছেন সহস্ত্র ভূমি ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে, বিষাদসিন্ধুর কোন স্থানাঙ্ক জ্যামিতি নেই

 

তাই G0 দশাটি অনেকটা কাপালিক ধ্বনির মতো

 

মৃত শুক্রাণু অথবা মেটাফেজ দশা

 

যারা প্রাচীন সহস্রাব্দ জুড়ে আজীবন একই ভাবে শুয়ে থাকে বাবার মতো, তারা নিজের ক্যানাইন দাঁতগুলো ক্রমশ ক্ষয়জাত ভূমিতে পরিণত করে বিছানার মাইটোসিস চাদর গায়ে জড়িয়ে

মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার পর আমি একটি শ্মশানের পাশে এসে দাঁড়াই মৃতদেহের পরিতক্ত আধপোড়া পাঞ্জাবি পরে

মৃতদেহের তৃতীয় লিঙ্গের ভেতর ফরসেপ দিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করি একটি অর্ধমৃত শুক্রাণুর মেটাফেজ দশা

কেবল একটি শিরদাঁড়া অজস্র পরজীবীদের ঢুকিয়ে রাখে প্রতিটি সন্ধ্যার পর, এখানে পারোলৌকিক পুরুষেরা ভয়হীন ক্ষেত্র নিয়ে জমাট মরুভূমি তৈরি করে পরমাত্মার শরীর

মৃত্যুর পর কোন পুরুষের দুটি পা থাকে না, সহজ সরল গুণিতক হয়ে যায় একদিনেই

মুখাগ্নি পরবর্তী প্রক্রিয়ার পর ক্ষর ভেঙে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সে বিচরণ করে মেটা বায়োগ্রেফিক্যাল অপনয়নে

শালগ্রাম পারদের নিচে নীল জরায়ুর গর্ভাশয় জুড়ে তখন শিমুল অথবা নিমফুল গান্ধর্ব পর্বমধ্য খোঁজা,

বায়বীয় পুরুষের অন্ডকোষ বলে কিছু থাকে না তাই তাদের জনন তন্ত্র নেই, শুধু পেরিটোনিয়াম দাঁত আছে

 

এ্যালজোলাম অথবা অরুণাংশু কুমার

 

একইভাবে বসে আছে খেয়াঘাটের বাম দিকের শ্রাবণী উল্টো স্তন

 

এখানে কোন কোন আলোক বিন্দুর প্রতিবিম্বেরা মৃত নারকেল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে হলুদ শাড়ির পর্যায় বৃত্ত গণিতগুলোকে অবৈধ পার্মুটেশনের তৃতীয় লিঙ্গ চিহ্ন করে রেখেছে

বিসর্গ চিহ্নটিকে আজ এক হলুদগোলা জলে ডুবিয়ে রাখে গলা ভর্তি লিটমাসীয় এ্যালজোলাম সকলেই ১০ মাত্রার গণিত জানে

মায়ের মৃত দেহাবশেষ আজও ভেসে ওঠে না কোনো ক্ষত মুখ পাহাড়ের গর্ভ দেশে দাঁড়িয়ে, অরুণাংশু নামক পুরুষটি একাকী বৃন্তহীন অসীম স্তোত্রপাঠের পর সাইকো পুরোহিত হয়ে যায়,

কালো কঙ্কালরেখার অঙ্গাণু নিরূপণ করতে পারে না ঋকবেদ

আমি কোনদিন নদীর ঋ আকারের জীবাশ্ম দেখিনি, কেবল তার বুকের পাশে খাঁজকাটা রুপান্তর বৃন্ত্যাংশগুলো সরিয়ে দিয়েছে যান্ত্রিক নরপুঙ্গব দাহ ক্ষেত্র, অচৈতন্য সত্ত্বা

অঙ্গিরা পাখিগুলো গঙ্গাজলে কবচ কুণ্ডল ধৌত করে নৈঋত দিকে মুখ করে

পরাশ্রয়ী হয়ে যায় মৃত মাছের শববাহী গাড়িগুলো, এক পক্ষকালের জাগতিক দৃশ্য দেখে ভয়ঙ্কর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়

ফার্মেসির গোপন কুঠুরি,

তিনটি হেলে সাপের কঙ্কাল বের করে আনি আমি যেগুলো আমার অসুস্থতার আসল কারণ ছিল

 

বিলাবল রাগ শেখার পর যে গাড়িগুলো রাত্রি শেষের নিদ্রাচ্ছন্নভাবে আলোকমন্ডলের দিতে চলে যায় তারা প্রত্যেকেই শ্বেতশুভ্র রাজহাঁসের তলপেট থেকে নির্গত অজৈব যৌগ

 

চোয়াল ভেবে কামড়ে ধরে সেই নারীকেই, যারা পাললিক শিলা ভেবে দেখে লজ্জাবতীর নতুন মুখে জলপ্রভা গজিয়েছে

চৌরাস্তার পাশে নারীজাতীয় পরিযায়ীরা বিবিধ অসুখের নিরাময়, তারা কেবল কাঁকড়া বিছার শিরদাঁড়া থেকে যৌনরোগের ঔষধ বিক্রি করে সালফার দিয়ে

আমি একটা নিরাময় সদন থেকে পকেটের খুচরো পয়সার নিঃশর্ত উপাচার নিয়ে বেরিয়ে আসি দশকর্মা ভান্ডারের মতো

হঠাৎ করে পাখিরা খুচরো পয়সা ফেলে ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিক হয়ে যায়, লুকিয়ে রাখি বিছানার নিচে

তিনটি দাঁতের চোয়াল একসাথেই বেদজ্ঞ হয়ে যাওয়ার পর সকলের ডায়াস্টোল পারদ মাপতে থাকে মুহূর্তের প্রকৃত ভগ্নাংশ দিয়ে, পকেটে ভরে ফেলি অভিযোজন সন্ধ্যার গায়ত্রী কথা,

আমাদের কেবল এক পক্ষকালের সঙ্গম ছিল অস্বস্তিকর ক্যালেন্ডুলা ফুলের মতো

তারপর আমরা সকলেই সমতল নিকোটিন ধোঁয়া খেয়ে নিলাম দুহাত ভরে

 

আগুনের পাশে তিনটি কালপুরুষ শুয়েছিল সমযোগ রাশির মতো

 

 



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন