কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১১৫


ভুবন বাড়ি ১

 

ভোরের দেরি। দিনের গণিত ভুল। লম্বা রোদ।

বর্শা ধারালো ফলায়। অরণ্যপথ ছিন্ন

 

নষ্ট ঘাস। বুকে  জল। মানিক। কষ্ট উড়ছে। ফুল প্রশান্ত। মৃত জীবিত। তবুও গমন

 

মনোরোম। আলাপের পর। ইচ্ছে বাঁচা তোলে। ধনেপাতা সুস্বাদু। কুরূপের পাশে রূপসী

 

সীমানা। গীতা বা কোরান। অদৃশ্য ঈশ্বর।

অক্ষরে খোঁজে। জেরবার। রক্তিম বিকেলে

 

লেখা ঘোড়া। কেশর ফোলালেই। দৌড় গন্তব্যে। কিন্তু কিন্তু কিন্তু। আছি যৌগিকে

 

ভুবন বাড়ি ২

 

রোদের দিনলিপি। গান ছড়াচ্ছে। হাওয়ায়

নৃত্যের মুদ্রা। ঠান্ডা মাংস। উষ্ণ সম্বর্ধনা কামনায়

 

নায়ে জলের আদর। বৈঠা গভীর। আশ্রয় অস্থির। মৃদু শীৎকারে। কুমারী দিনের যাত্রা

 

তার হাত। নেভা তেলের বাতি।  মদ যোগ।

শিখায় পরশ। আয়নায় আভা। ঘুম বিধবা

ভাঙে

 

ভাঙন বালুর বিছানায়। ত্রিভুজ। লঘু সংগীতের হেঁটে যাওয়া। খিদের অংকজ্ঞান চিতা সাজায়

 

জায়গায় জায়গায়। আলো। অন্ধকার। গ্রাম

খাচ্ছে শহর। পেটে ঘা। পচনের বিলাপ অক্ষরে

 

রেখা হিরণের। সাদায় কালো অবয়ব। পুরনো

অ্যালবাম কোনো বাম না দেওয়ায় মান্যতা এক আপোষের নাম

 

ভুবন বাড়ি ৩

 

রোদের সুবাস। বাসা বেঁধেছে মুক্তির ঠিকানায়। প্রাণ আর প্রাণ আপ্রাণ ভাবাচ্ছে

 

ছেদ নেই। এই অঙ্কের ঘর। লিখে নেয় বৃত্তের পাঠ। ঘুরে ঘুরে অসুখ ফিরলে ছবি বেরঙ

 

রঙ্গ রঙ্গমঞ্চ সাজায়। ঐতিহাসিক পালা। কনসার্টে যুদ্ধের দাগ। সরবে বাজছে জামায় জামায়

 

মায়ের স্নেহ। দোকানের নাম। নরম পুতুলে

আদল আমার মুখের। খিদে চাগিয়ে দুপুর

 

পুরের অন্ত নেই। নিষেধ জেগে থাকে দেয়ালে

দেয়ালে। পর্দা সরা ধৈর্যের পরীক্ষা। পর্দারও

 

ওপারের সব খবরই কুয়াশার। সারি সারি গাছের স্বরলিপি গান ছড়িয়ে ডাকছে পুরনো বেলা

 

ভুবন বাড়ি ৪

 

নৌকার ১লা। বিদায়কালীন সবিতারও ১লা।

শ্মশানের আগুনেও ১লা। নিভে যাওয়ার ১লাপন

 

পনেরো শব্দটি। সংখ্যাও। দিনে মাসে বছরে।

ঘুরে ঘুরে আসে। পুড়ে পুড়ে হারিয়ে যায় মা

 

মাতাল করে। দুপুর রাত। তারায় তারায় তারানা। আকাশগঙ্গায় সংগীত ভেসে যায়

 

যাওয়ার পাশে। হাঁটাকে বোঝাই। বেশি দূর

নয়। পড়ে থাকা ভাগশেষ। অংকের চলমানতা

 

তাহলে কিছু কথা তুলসী তলায় ১লায় ফিরে

প্রদীপকে উসকে লিখে রাখে কেউ কেউ ঈশ্বরী

 

ভুবন বাড়ি ৫

 

রূপের দরজা। তালা বন্ধ। চাবি শ্রীরূপের কাছে। শ্রীরূপে মিশলেই মিলে যাবে হদিস

 

স্নান। সারতে হবে। আপাদমস্তক। আহা মুক্তি। আগুনে আগুন বোধ। নেই। সব খোলা

 

খোল বোল তুলছে। কাঁহা কাঁহা। প্রেম উথলাচ্ছে। ভেঙে পড়েছে ভিতর বাহির মহল

 

হ্লাদিনী + বীজ = চৈতন্য। বোঝা বড় দায়।

কুয়াশা কাটলেই। অংক খোলসা। রোদে জলে মণি

 

মণিময় দেবাশিস। সরাতে সরাতে মায়া। আলোর কারিগরের কাছে পায় আলোলিকা

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন