কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

 

কবিতার কালিমাটি ১১৫


লং প্লে দিগন্তের ঠিকানায় হাসে নীল অপরাজিতা

মেঘলা দুপুরের নিচে দোলনাটি দুলতে দুলতে মিশে যায় রক্তাল্পতায়, থামতে চায় না কেউ – শর্করা নুন প্রোটিন সকল থিসিসের পূর্ব থেকে সরে যেতে চায় প্রভুত নিগ্রহ, তবু খুঁজে দেখি উথাল পাথাল শ্বাস প্রশ্বাসে কাঁপতে থাকে রক্তরঙ্গন – নাতিশীতোষ্ণ আঁচলের সিম্ফনী  চুঁইয়ে পড়ে গাছের ছায়ার বাঁশিওয়ালায়

ডান পা সোজা করে দাঁড়াই – ফাঁকা রাস্তা যেতে যেতে একটা ভাঙা সাঁকোর কাছে থামে, সেখানে ভঙ্গুর খয়রা গাছের কোলাহল

ওপারের দিকে তাকিয়ে স্বীকার করি কান্না; লং প্লে দিগন্তের ঠিকানায় হাসে নীল অপরাজিতা

 

বিবাদী পাঁজরের ক্ষত নিয়ে আসুক ইমনরাগের গন্ধ

এমন কি, সে সম্পর্কে আমি দাঁড়িয়ে থাকি সারারাতের কিনারায়, ফের আছড়ে পড়ে কয়েকজন র-ড্রাংকার, আহামরি কিছু নয় – অধিকাংশ ধুলো আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিফোঁটায় জোনাকিরা হয়ে ওঠে প্রজ্ঞাময়, যারা ঝোপ থেকে আসতে আসতে নির্মাণ করে সোঁদাগন্ধের মালকোশ এবং আয়ন বায়ুর উজান

আসতেই পারি কারো ডাকে সাড়া দিয়ে; আসলে ডুবে আছি শিরীষের ডাল ঝুঁকে পড়ার কাছে, বিবাদী পাঁজরের ক্ষত নিয়ে আসুক ইমনরাগের গন্ধ

অতৃপ্ত মৃত্যুর মেইন স্ট্রীম ঠোঁটে ঝমঝম বেজে ওঠে মানচিত্রহীন সূর্যাস্ত

 

আয়ত্ত পেরিয়ে ভেঙে আসে চাঁদের টুকরো

দেখতে পাইনি, এককিনী রাত্রি সমীপে অপেক্ষা করছে দীর্ঘ আয়ুর সিমটমস্; দূর থেকে দৃশ্যটির অমোঘ সুষমা, আয়ত্ত পেরিয়ে ভেঙে আসে চাঁদের টুকরো, খিদের ওপর আঙুল বুলিয়ে দিতে দিতে বিহ্বলতার সংজ্ঞাটা সরিয়ে রাখে নেভানো বাতির মহীয়সী; স্পর্শে ছোঁয়া পাচ্ছ আনত আরোগ্য? লেবেল জিরোতে হারিয়ে যাচ্ছে প্যাসিভ তরঙ্গ

সেই নিঃস্ব চোখ – গলা শুকিয়ে কাঠ হবার পরেও সমস্ত অ্যানেস্থিসিয়া নিয়ে বালকটি কোলাহলী – বালকটি একাকীত্ব – বিভোর হয়ে যায় আলোছায়া আর হাইফেন  

দূরত্বের শঙ্খ দ্রাঘিমা পেরিয়ে ভেজার অভাব নিয়ে খুঁড়েই চলেছি বালি-মাটি- মোক্ষার্থ মাংস

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন