কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

<<<< সম্পাদকীয় >>>>

 


কালিমাটি অনলাইন / ৯৯  


প্রকাশিত হলো ‘কালিমাটি অনলাইন’ ব্লগজিনের ৯৯তম সংখ্যা। এই সংখাটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা, কেননা এই সংখ্যার সঙ্গেই আমাদের অনলাইন জার্নির ৯ বছর পূর্ণ হলো। অর্থাৎ ৯৯টি সংখ্যা প্রকাশ করতে আমাদের সময় অতিবাহিত হলো ৯ বছর। বিশেষত এই ৯৯ সংখ্যাটির একটি আলাদা তাৎপর্যও আছে। কেননা ৯৯ অতিক্রম করা মানেই ১০০ বা সেঞ্চুরির অমোঘ আকর্ষণ ও হাতছানি। এবং একইসঙ্গে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা। যাঁরা ক্রিকেট খেলার অনুরাগী, খেলেন এবং দেখেন, তাঁরা বোঝেন, যখন কোনো ব্যাটসম্যান অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যাটিং করতে করতে ব্যক্তিগত রানের স্কোর ৯৯তে পৌঁছে যান, তখন তাঁরা কতটা উদ্বেগ ও উত্তেজনার মুখোমুখি হন। কেননা বিশ্বের যেসব দেশে ক্রিকেট প্রচলিত আছে, সেইসব দেশের অসংখ্য ক্রিকেটার অসংখ্যবার সেঞ্চুরি যেমন করেছেন, তেমনি অনেক ক্রিকেটার ৯৯তে পৌঁছে আউট হয়ে গেছেন। ৯৯এর গাঁট পেরোতে পারেননি। আর এই না পেরোনোর দুঃখ, যন্ত্রণা, হতাশা তাঁদের তাড়া করে ফিরেছে বাকী সারাটা জীবন।

কিন্তু এটা নিতান্তই ক্রিকেট খেলার মাঠের ব্যাপার। অন্যান্য ক্ষেত্রে যে এই ৯৯এর গাঁট কাউকে বিড়ম্বিত করেছে, অন্তত সাহিত্যক্ষেত্রে, তা বলা যায় না। যাঁরা পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে দীর্ঘদিন নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারেন, তাঁরা অনেকেই তাঁদের পত্রিকার শততম সংখ্যা সম্পাদনা ও প্রকাশের গৌরব অর্জন করেন। আবার যাঁরা শততম সংখ্যা প্রকাশের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন না, তাঁদের কৃতিত্বও কম নয়। আসলে কোনো পত্রিকার কতগুলি সংখ্যা প্রকাশিত হলো, তার একটা বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও, আসল গুরুত্বটা নির্ভর করে সেই পত্রিকার চরিত্র ও মানের ওপর। যদি পত্রিকার মান যথেষ্ট উন্নত হয় এবং পত্রিকার একটি নির্দিষ্ট চরিত্র উন্মোচিত হয়, তবে সেই পত্রিকার হাতেগোণা মাত্র কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে বন্ধ হয়ে গেলেও তা গৌরবের অধিকারী।

প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ‘কালিমাটি অনলাইনে’র আগামী সংখ্যা, অর্থাৎ শততম সংখ্যা আমরা আগামী মার্চ মাসে প্রকাশ করব একটি বিশেষ সংখ্যা রূপে। ‘সাহিত্যিক অশোক তাঁতী স্মরণসংখ্যা’। অকালে প্রয়াত অশোক ‘কালিমাটি’ মুদ্রিত পত্রিকা এবং ‘কালিমাটি অনলাইন’ ব্লগজিনের নিয়মিত লেখক ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, গল্পকার এবং প্রবন্ধিক। অনেক পত্র পত্রিকার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। অত্যন্ত মার্জিত ও সজ্জন এই সাহিত্যিক তাঁর স্বভাবগুণে অনেকেরই অত্যন্ত প্রিয় ও কাছেরজন ছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তাঁকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে বিগত বছরে। যাঁরা অশোকের ব্যক্তিজীবন ও সাহিত্যজীবনের সঙ্গে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাঁদের কাছে ‘কালিমাটি অনলাইন’এর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তাঁকে নিয়ে এবং তাঁর সম্পর্কে কলম ধরার জন্য। তাঁদের কাছে আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা, তাঁরা আমাদের অনুরোধে ‘সাহিত্যিক অশোক তাঁতী স্মরণসংখ্যা’র জন্য লেখা পাঠিয়ে সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রসঙ্গত আরও একটি কথা উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরি, এই সংখ্যাটির সংকলন ও সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাহিত্যিক ঝুমা চট্টোপাধ্যায়কে। অশোক ও ঝুমা দুজনেই দুর্গাপুরের। তাঁরা সেখানকার সাহিত্যসভায় নিয়মিত যোগদান করতেন এবং সাহিত্যভাবনা বিনিময় করতেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, ঝুমা খুবই যত্ন ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। আগামী মার্চ মাসে ‘কালিমাটি অনলাইন’ ব্লগজিনের শততম সংখ্যা ঝুমা চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হবে প্রয়াত সাহিত্যিক অশোক তাঁতীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

 

আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেল ঠিকানা :

kajalsen1952@gmail.com / kalimationline100@gmail.com

দূরভাষ যোগাযোগ : 9835544675

অথবা সরাসরি ডাকযোগে যোগাযোগ :Kajal Sen, Flat 301, Phase 2, Parvati Condominium, 50 Pramathanagar Main Road, Pramathanagar, Jamshedpur 831002, Jharkhand, India.

 

 

 

 


3 কমেন্টস্:

  1. হ্যাঁ, কাজলদা,যে পত্রিকার উপদেষ্টা সমীর রায়চৌধুরী মলয় রায়চৌধুরী বারীন ঘোষাল সমুহ ব্যক্তিত্ব, যে পত্রিকার সম্পাদক ভারতবর্ষ পত্রিকার সম্পাদক জলধর সেন এর উপযুক্ত বংশধর, এবং যে পত্রিকার নিরবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা দীর্ঘ বৎসর বহমান, সেই কালি মাটি পত্রিকার একশত তম সংখ্যা সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব আমাকে অর্পণ করা হয়েছে, এ আমার বহু জন্মের সুকৃতি বলে মনে করছি। জানিনা এই মুকুট ধারণ করবার নূন্যতম যোগ্যতা আমার আছে, কি, না-

    উত্তরমুছুন
  2. বিষয়টি সমৃদ্ধ করে সাহিত্য ঘরানা

    উত্তরমুছুন
  3. এই মূল্যবান কাজটির জন্য কাজলদা ও ঝুমার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ২-৩টি লেখা পড়লাম। সব ক'টি অবশ্যই পড়ব। পড়তেই হবে আমাদের। আমরা যে অশোককে ভালোবাসি। গদ্য পদ্য সবই যে খুব উচ্চমানের এটা বুঝতে পেরেছি ।
    তবে প্রচ্ছদে অশোক তাঁতীকে অশোক তাঁতি না লেখা থাকলেই ভালো হত। অশোক নিজে যে বানানটা লিখত আমরাও সেটাই অনুসরণ করব।

    উত্তরমুছুন