কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

লেনোর কানডেল

 

প্রতিবেশী সাহিত্য

 

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি লেনোর কানডেল-এর কবিতা (১৯৩২ - ২০০৯)

 

(অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী)

 


 

ঈশ্বরের / প্রেমের কবিতা 

 

ভালোবাসার অন্য কোনো পথ নেই / কিন্তু / সুন্দর /

            আমি তোমার সবকিছু ভালোবাসি

আমি তোমাকে ভালোবাসি / তোমার শিশ্ন আমার হাতে

পাখির মতন চঞ্চল হয়ে ওঠে

আমার আঙুলগুলোয়

যেমন যেমন তুমি ফুলে বেড়ে ওঠো আর কঠিন হও আমার হাতে

বাধ্য করো আমার আঙুলগুলোকে খুলতে

তোমার শক্ত শক্তি

তুমি সুন্দর / তুমি সুন্দর     

তুমি এক শতবার সুন্দর

আমি আমার প্রেমের হাত দিয়ে তোমাকে আলোড়িত করি 

              গোলাপি-নখ দীর্ঘ আঙুল

আমি তোমাকে সোহাগ করি

আমি তোমাকে আদর করি

      আমার আঙুলের ডগা... আমার হাতের তালু…

তোমার লিঙ্গ উঠে দাঁড়ায় আর আমার হাতে স্পন্দিত হয়

এক চমকপ্রদ জ্ঞান / যেমন আফ্রোদিতি জানতেন

          একটা সময়ে দরবতারা পবিত্র ছিলেন

          / আমি মনে করতে পারি লতাকুঞ্জের মধ্যে রাতগুলো

           আমাদের রস মধুর চেয়েও মিষ্টি

          / আমরা একইসঙ্গে ছিলুম মন্দির আর দেবতা /

আমি তোমার সঙ্গে নগ্ন

আর আমি আমার মুখ তোমাতে দিচ্ছি শ্লথতায়

আমি অপেক্ষা করছি তোমাকে চুমু খাবার জন্য

আর আমার জিভ তোমাকে পুজো করছে

                      তুমি সুন্দর

                      তোমার দেহ আমার কাছে এগিয়ে আসে

মাংসের সঙ্গে মাংস

ত্বক পিছলে যায় সোনালি ত্বকে

যেমন আমার তোমাতে

        আমার মুখ আমার জিভ আমার হাত

আমার তলপেট আর পাদুটি

তোমার মুখে তোমার ভালোবাসায়

অবাধে... অবাধে

আমাদের দেহ আলাদা হয় আর জোড়া লাগে

অসহ্যভাবে

তোমার মুখাবয়ব আমার ওপরে

            যাবতীয় দেবতাদের মুখাবয়ব

            আর সুন্দর রাক্ষসদের

   তোমার চোখ

   ভালোবাসা ভালোবাসাকে ছোঁয়

   মন্দির আর দেবতা

   এক

 

সন্মতির বয়স   

 

দেবদূতদের সঙ্গে কথা না বলে আমি সন্তুষ্ট হই না

আমি দেবতার চোখ দেখতে চাই

যাতে ব্রহ্মাণ্ডে অলৌকিকতার টোপ দেবার জন্য নিজেরটা প্রয়োগ করতে পারি

যাতে শ্বাস ফেলতে পারি আর বিষ ওগরাতে পারি

যাতে ওই দরোজাটার তালা খুলতে পারি যেটা আগেই খোলা আর ঢুকতে পারি বর্তমানে

যা আমি কল্পনা করতে পারি না

আমি তার জবাব চাই যে প্রশ্নগুলো করতে এখনও শিখিনি

আমি আলোকপ্রাপ্তিতে প্রবেশের দাবি করছি, অলৌকিকতার সংমিশ্রণে

অসহ্য আলোর উপস্হিতিতে

হয়তো সেই ভাবেই যেভাবে গুটিপোকারা তাদের উড়ালের ডানা দাবি করে

কিংবা ব্যাঙাচিরা দাবি করে তাদের ব্যাঙজীবন

কিংবা মানবসন্তান দাবি করে তার বেরোনো

উষ্ণ গর্ভের সুরক্ষা থেকে

 

স্বৈরাচারীদের জন্য কবিতা    

সংবেদনশীল মানুষেরা অসংখ্য--

          আমি প্রতিজ্ঞা করেছি তাদের আলোকিত করব

--বুদ্ধধর্মের প্রথম সঙ্কল্প

মনে হয় তোমাকেও ভালোবাসতে হবে

সুন্দরদের ভালোবাসা সহজ

শিশুদের সকালের গরিমা  

সহজ (যেমন যেমন সমবেদনা বৃদ্ধি পায়)

 

অচেনাকে ভালোবাসা

 

অনুধাবন করা আরও সহজ (সমবেদনায়)

তাতে যে ব্যথা আর সন্ত্রাস লুকিয়ে আছে

যারা নিজেদের চারিপাশের জগতকে

হিংস্রতার সঙ্গে পরিচালনা করেন এত ঘৃণা

 

কিন্তু ওহ আমি যিশুখ্রিস্ট নই যে

আমাকে যারা ফাঁসি দেয় তাদের আশীর্বাদ করবো

আমি বুদ্ধ নই কোনো সন্ত নই

 

আমার সেই জ্যোতির্ময় ক্ষমতাও নেই

বিশ্বাসে আলোকিত

 

তবু তা সত্তেও

তুমি একজন সংবেদনশীল মানুষ

এই বাতাসে শ্বাস নিচ্ছ

এমনকি আমিও একজন সংবেদনশীল মানুষ

এই বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি

চাইছি নিজের আলোকপ্রাপ্তি

তোমার জন্যেও চাইতে হবে

 

যদি আমার যথেষ্ট ভালোবাসা থাকে

যদি আমার যথেষ্ট বিশ্বাস থাকে

হয়তো আমি তোমার পথকে পার হতে পারবো

আর তাকে বদলাতেও পারব

 

আমাকে ক্ষমা করুন, তাহলে--

আমি এখনও আপনাকে ভালোবাসতে পারব না

 

 

 

 

 

 



1 কমেন্টস্: