কবিতার কালিমাটি ১১১ |
ডার্করুম
(১)
আমি সেই দিওয়ানা
বৃষ্টির
পাখিওম ভাগ
করে মাখি
দুজনেই আসমান
সেঁচা আমন্ত্রণ
বার্তা রাখি,
বার্তা রাখি নির্মেদ কথার
মল্লার বুঝি
না, গানের ছায়ায় ঘন হই
একটা বাড়ির
গল্প যতদূর নিয়ে যায়
সেইসব স্মৃতিপথে
কত আবেদন, আগলে রাখা ঘড়ি
যুগ ফেরি করে
বেড়ায় বাতাস
কিছু রাখি,
মেধা ও বাগানে
আমি সেই প্রাজ্ঞসংকেতের
নিজেকে উপুড়
করি প্রণয় মুদ্রায়
একনিষ্ঠ গ্রহণ
শেখাও ধীর লয়ে--
(২)
তুমি তো সফেদ
ভাত
আমার সমস্ত
ঝাল ঝোল অম্বলে মাখামাখি
অথচ ক্রমশ নিরন্ন
দিন তোমার
রঙ চেটে রঙ
চেটে বদহজম ঘনিয়ে তোলে
এসব না বলা
কথার আঁচে সেদ্ধ হলে খননপ্রণালী
তোমারই কোশে
কোশে গেঁথে রাখি পরাভব
ম্যাজিক প্রগাঢ়
হয়
সুখপাঠ্য মেঘ
বিলি করো কি তপনিষ্ঠ সাদায়!
(৩)
নামিয়ে রাখি
বারুদবাগান আগুনলালসায়
কত প্রত্নদিনের
নিচে অস্ফুট যে ঘর বিলি কাটে ক্লান্তির চুলে
সংগোপনটুকু
কাকে দেব?
তোমারই আঠার
অভিসারে লেগেছে সে দাগ
অকুণ্ঠ কালোয়
ধুয়ে যত্নে জুড়েছ
বিরহের দিকে
হেঁটে যাওয়া ফুল
এই কি প্রেম
তবে?
(৪)
দুঃখ ফেরি করি
বিলাস পাড়ায়
দুপুরগুলো খাম
খুলে গড়িয়ে পড়া লালন
ফেরি করি বাউলের
জিজ্ঞাসা
চশমার ভেতর
মসৃণ আগামী পর্দা টেনে বসে
হাঁক দেয়, স্বপ্নের
সুবাস কত
ভাতফোটার শব্দে
শিল্প থাকে না জেনেও
ধাঁধার বেসাতি
করি রণনীতির আশকারায়
উগরে দেবার
ঐতিহ্য রাখি ম্যাজিক আখরে
সমস্ত ফাঁকি
দিয়েই কি মেদুর আতর বানিয়ে তোলো তুমি
(৫)
শীতদুপুরে চুল
খুলে অক্ষরেরা কত কুশল জমায়
বৃষ্টি নিবিড়
করে নির্মাণে বীজ পোঁতে ব্যক্তিস্বর
মরুদুপুরের
গল্পে ঘেরা কাঁটাজন্ম ছলাত পুষে রাখে
তবু প্রজ্ঞার
পাহারায় যোজন যোজন আত্মক্ষয়
তোমাকে যা দিই
ওহে আদুল মৌনতা
সে এক মনোরম
ভান, নষ্টতার মায়াকৌশল
তবু তোমাকেই
বলা যায় কীভাবে
আমআদমি চিনে
নিতে হয়
দু’একটা ভাত
টিপে সংশয় যায় না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন