![]()  | 
| কবিতার কালিমাটি ১১১ | 
সাধ ছিল এক পঙক্তিতে
                        আড়ালখানি                       
                       
উঠোনবিমুখতার
                       
স্নেহরথে
                       
লাগেনি কোনও
                       
আমপোড়া আজ
                       
ঝুঁকে পড়ে
                       
পর্যবেক্ষণ
                       
অন্যত্রসাধনা
                       
এই যাবজ্জীবনে, সূর্যতায়
                       
ভালো, নিশ্চিন্ত
                       
কলকাতায়
                       
ভরা পেট
                       
রমণসুখ
                       
যেখানে যা
                       
সমাধিবাচ্য নয়
                       
তার প্রাক্কালে
                       
মুখচন্দা
                       
ছেলের মুখ        
লাভলর্ন সিঙ্গুর
                       
জানা যায় না কোন চাঁদ মর্মহারা এই জমির দুয়ারে; কৃষি ও শিল্পরহিত এই ঊষর প্রান্তর।
দেওয়ালের এ’পাশ থেকে ভয়াল ওইদিকে চোখ গেলে মনের বিতরণসিদ্ধি। মাইল-মাইল মুগ্ধকারিতা।
জীবনের কথাও এই প্রকার। তালগোল পাকিয়েছে আজ। অথচ স্বরবর্ণের ভেতর হাত ঢুকিয়ে আপেল খুঁজে
চলেছি আবহমান। 
                       
জানি না কাদের লাভ কিসে। সুখযাপন প্রয়োজন এ’ মন্বন্তরে। মধুরিমার হৃদয়ের সাইকেলবিন্যাসে
হেঁসেলের স্থিরচিত্র আজ। শেষোক্ত স্ক্র্যাপবুকে সে সলজ্জ। অযুত দূরত্বের স্টেলার ঘটনাগুলি
মধুরিমা ও সিঙ্গুরের চেয়ে সমদূরত্বে।
                       
দেখি কিছু অতিনৈতিকতা ফুটে উঠেছে। চমৎকার স্বেদবিন্দু। মধুরিমার গাল ও ভালোবাসার
ত্রিভুজ আঞ্চলিক সূর্যঘড়িকে ছুঁয়ে রয়েছে। ভোরের বাতাসে। 
প্রতিটি স্তনচ্ছেদই নতুনতর স্বাধীনতা
                                  পৃথিবী গোল ও ঘূর্ণায়মান।
এর কাছে আমরা সভয়ে একত্রিত হতে পারি। 
                         
                          অব্যক্তিগত সূর্যের সাক্ষ্যে
                          ওজনদার বৃষ্টি নামে
                           চা-বাগানে
                                   
                                   ঢালু এক জীবনবিমা
পুড়ে যাচ্ছে। শরীরাংশের ঘ্রাণ নিভন্ত। অসুর যুবকের চিন্তন আজ সহসা নীহারিকাকে ছুঁয়ে
বিকেলহীন।
                          
                           সৌম্য
                           প্রাণবায়ুর
                           অগোচরে
                     
             কুলি-স্ত্রীর নিথর পদাবলী।
বৃহৎ-এর উল্লম্ফন আজ তাকে ঘিরে। যাবজ্জীবনে সাংকেতিক যা কিছু ছিল, এতদিন যা ছিল স্বপ্নমাফিক।  

0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন