কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
মুখ
ও মুখোশ
ঈশ্বরের মুখোশ খুলে যাচ্ছে তবুও মুখ দেখা যাচ্ছে না!
মুখ দেখলেও চিনতে পারবো কি? ওনাকে তো কোনোদিনও দেখিনি! তবে ঈশ্বর নামে
এক হাতকাটা দাগী আসামীকে দেখেছি গলির মোড়ে বসে থাকতে। চোখে লোভ। হাতে রক্ত।
নিজেই নিজেকে বারবার ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছেন। কত হাজার বছর জেগে আছি
তাঁকে দেখার অপেক্ষায়। শুধু পেয়েছি যুথচারী অন্ধকার।
মৃত্যু, রক্ত, লাশ পার হয়ে চলছি শুধু তাঁকে দেখার জন্য। মুখোশ তো এঁটে
বসেছে। চেষ্টা করে যাও খোলার। আরও অজস্র মৃত্যু পার করে যদি পারি দেখতে তোমায়! সেই
আশাতে রক্তাক্ত হচ্ছি বারবার।
শব্দ
ঋণ
সন্ধ্যা থেকে একটানা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। কখনও জোরে কখনও ঝিরি ঝিরি।
সামনের রাস্তাটা একদম চুপচাপ শুয়ে আছে। আজ কোনো ব্যস্ততা নেই ওর। কোথাও কোনো শব্দ নেই।
আমি একা বসে এই নৈঃশব্দের মধ্যে অল্প শব্দের জন্য অপেক্ষা করে আছি।
ইচ্ছে
যত তীব্র হচ্ছে
ভালোবাসাহীনতা।
ততই তীব্রতর
হচ্ছে বিষাদের আত্মহত্যার
বাসনা!
কবি জয়া ঘটকের কবিতা সবসময়ই মুগ্ধ করে... শুভেচ্ছা জানাই.. কবি কে🌹🌹🌹
উত্তরমুছুন