কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

শিবাংশু দে

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮



নয়নতারা-১৩

 

একটা ছবি গড়ে উঠেছে মধ্য দ্রুতে

পেন্সিল ড্রইং থেকে রং ভরা হয়ে যাচ্ছে

জলের রং, বর্ডারে প্যাস্টেল শেড

দরজা খুলে বেরিয়ে আসছে হাওয়ার মধ্যে

আশ্বিন পশলার মধ্যে দু'চারটে  কাচফোঁটা জল

চশমার থেকে দূর এলোমেলো

বাঁকে বিহারির সখি

সিল্কের ওড়নায়  বিদেশি কোলোন গন্ধ

গালিচা বুনোটের মতো ঘন

আঁকড়ানো টান

তাকালে না, চলে গেলে 

শিমুলতুলোর পারা নশেমন

সন্ধেবেলা গারা'র পঞ্চম 

চৌকাঠজোড়া মোমছায়া নিয়ে

 

নোরা জোনসের মা, অপেক্ষায় থাকি...

 

নয়নতারা-১৪

 

বিকেল হলেই আকাশ মেঘে মেঘে। পিঁপড়ের মতো মাটি থেকে উঠে আসা আর্দ্র মনমৌজি। আমার দুয়ারের পর ছন্ন মাঠ আর ফ্রেমবাঁধা সূর্যাস্ত। জুতো নিজে নিজে হেঁটে যায় পশ্চিম।আমি দেখি। কাহাদের জন্য তার ভূতপাথরের যাত্রা এখনও জানিনা। ঘুম ও বিছানাও পরস্পর  হাত ধরে এগিয়ে গেলো সাধুপাহাড়ের বাঁক । তাদের ওড়ানো পথে  হার্বেরিয়ামের সুখাচাপা পাতাদের ঝুম। মনোরম আলাদা হয়ে পড়ন্ত বিকেলে শুধু খিদে পায়।

 

হে মেঘপশলার দিন। যা যা ধার দিয়েছি তোমাকে, ভিক্ষে ভেবে নিও। এর পর দেখা হলে তেতলার ঘরে গড়াগড়ি কথা। এর পর জন্মদিন এলে দেহলি সাজাবে নিজে গণেশ পাইন.....

 

আজ মেঘ

 

অনেক দিয়েছ নাথ,

মানছি, হয়তো এতো পাবার ছিলো না

হয়তো এজন্মে  আর হবে না

কিন্তু কোনও দিন, কোনও একটা দিন, যেদিন আকাশ থাকবে নানা রঙে ধূসর

একতলা, দোতলা, তিনতলায় মেঘ

বৃষ্টি নামছে, কখনও ঝিরঝির, কখনও ঝিমঝিম..

এই বাড়িটার লাল শানবাঁধানো দাওয়ায় বসে পড়ছি বিনয় মজুমদার...

'একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে

দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে

পুনরায় ডুবে গেলো - এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে

বেদনার গাঢ় রসে আপক্ক রক্তিম হ’লো ফল...'

ঘুরেফিরে গেয়ে যাচ্ছি,

'নীলাঞ্জনছায়া, প্রফুল্ল কদম্ববন...'

 

বাড়িটা কোনওদিন আমার নসিব কোরো সর্বশক্তিমান...

একটু ভেবে দেখবেন হুজুর…. 

 

অলসকন্যা

 

সর্বনাশ কি আর ইচ্ছেমতো আসে

তৃষ্ণা থাকে এপার ওপার

মাঝে কিছু টান, অসম্মান

বাকিটা জরির আলো তোমার শাড়ির

 

সসাগর ভাটিয়ালি, যাকে সুবর্ণরেখা

বলা যায়, ইথার চুড়ির বোলও

ভাবি বলি, জল দাও

তোমারই শিফন শাড়ি, ঢেউয়ে ভাসে তোমারই অন্বেষণ

 

তোমাকে ভাস্কর্যে ধরি, ভ্রষ্ট চাঁদে দেখি

ও'ই চোখগুলি যেন টেরাকোটা

জোড়বাংলো শ্যামরায় বিষ্ণুপুর

রাতে পাতা বালুচরী, তুমি চুপচাপ সৌরভে গৌরবে

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন