কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

অম্লান বোস

 

দক্ষিণ সাগরের পূবালী হাওয়া




অফিস অর্ডারটা হাতে পাবার সঙ্গে সঙ্গেই নজরুল কবি আমার একতারাতে যে সুরটি বেঁধে দিলেন, দিনে রাতে সেটা গুনগুনিয়ে ফিরতে লাগলো মনের কোণায় কোণায়, অবিশ্রান্ত, অবিরাম।

“দূর দ্বীপবাসিনী, চিনি তোমারে চিনি

দারুচিনি দেশে তুমি বিদেশিনী গো সুমন্দভাষিণী”। 

কবির কল্পনার উৎসটা কোথায়, সত্যিই জানা নেই আমার। তবে পাঠক যখন নিজের অনুভূতির ঢেউয়ে সাঁতার কেটে কবির রসসৃস্টির সাগরে গা ভাসিয়ে একাত্ম হয়ে যান, তখন উৎসসন্ধানের জন্য পাহাড়-পর্বত, গুহাকন্দর খোঁজার কোন প্রয়োজন থাকে না। কবির অনুপম বর্ণনা এই ইসলামিক রাষ্ট্র ইন্দোনেশীয়ার কমনীয় রমণীদের সাবলীল সাজসজ্জা, নমনীয় আতিথেয়তা, সরল মাধুর্য আর সদা হাস্যময়ী কোমলতার মধ্যে থেকেও উৎসারিত হয়ে থাকতে পারে। কবি কবে এদেশে পদার্পণ করেছিলেন, আদৌ করেছিলেন কিনা, অথবা কৌতূহলী হয়ে পড়াশোনা করেছিলেন কিনা, সে আলোচনায় গিয়ে আমি আমার স্বপ্নের তরী ডোবাতে চাই না। তাই আমার স্মৃতির ইন্দ্রপুরীতে সবাইকে একটু ঘুরপথেই নিয়ে যাই।

বছরখানেক আগে এই চিরবসন্তের দেশ ইন্দোনেশীয়াতে এসেছিলাম পর্যটক হিসেবে দেশ দেখার নেশায় এবং তখনই এদেশের রীতিনীতি, আচার ব্যবহার, সংস্কৃতির সংগে স্বল্পমাত্রায় হলেও, পরিচিত হবার সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এদের বিবাহ, আহার এবং আপ্যায়ন বিধি, কাঁচাসব্জী বা ফলমূল, দেবদেবী, এদের পারিবারিক নামকরণ, রামায়ণ মহাভারতের কাহিনী নিয়ে সাংস্কৃতিক  কাহিনী মঞ্চস্থ করাত, মাতৃভাষা - সব বিষয়েই আমাদের ভারততীর্থের একটা  অদৃশ্য, অব্যক্ত টান এখানকার বোরোবুদুর, ৭৫০-৮৪২ খৃস্টাব্দে নির্মিত ৬০০০০ বর্গমিটারের আশ্চর্য কারুকার্য, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমন্দির। পূর্বসীমান্তে বালিদ্বীপে এমন অসংখ্য হিন্দু মন্দির বিদ্যমান। ১৭৫০০টি ছোট বড় দ্বীপ নিয়ে এই দেশটি ছড়িয়ে আছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০০০ মত উল্লেখ্য দ্বীপে জনবসতি দেখতে পাওয়া যায়। সীমাহীন সমুদ্রের বুকে সাজানো এই দ্বীপমালাটি কোন বাঁশীর টানে  জানি না, আমার জীবনে চিরকালের স্বপ্নসহচরী হয়ে গিয়েছিল।

আমাদের অতিকায় বোয়িং ৭৭৭-৮০০ রাজহংসের ডানা মেলে রাজসিক গরিমায় যখন পৃথিবীর তুচ্ছ কর্মকান্ডকে হেলায় নস্যাৎ করে, ধূলোমাটির ঘূর্ণী তুলে সুকর্ণ-হাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করলো, তখনই আবার ঐ একতারাটা সুরতরঙ্গে উদ্বেল করে তুললো আমাকে। স্বপ্নের ঘোরে সহযাত্রিদের ভীড়ে গা ভাসিয়ে এগিয়ে চললাম অভিবাসনের লক্ষ্যপথে।

“সিআপা নামা আন্ডা?” অফিসার প্রশ্ন করলেন। ব্যস, এই ‘নামা’টা শুনেই আর দোভাষীর দরকার হল না। আগের বারে এখানে এসে এবং এবার দেশ থেকে বেরোবার সময়েই শুনে এসেছিলাম, আমাদের সঙ্গে ‘বাহাসা (ভাষা) ইন্দোনেশীয়া’র অনেক মিল আছে। গড় গড় করে উগরে দিলাম নামটা। ‘আন্ডা’টা আমাদের ‘ডিমের’ সংগে খাপ খেলেও পরে শুনেছিলাম ওর  মানে ‘আপনি বা আপনার’।

‘সিআপা ইনি – ইস্তিরি’? আবার একটা শর্টপিচ বল, তার ওপর আবার অফ্ স্পিন, মিড উইকেটে ছক্কাটা আর রোখে কে? সবজান্তার ভঙ্গিতে ঘাড় নাড়িয়ে  ‘ইস্তিরী’র নামটা বলে দিলাম। দোভাষী অবাক। ও তো তখনও পর্যন্ত কোন একাউন্টই খুলতে পারলো না! আমি যে পটাপট উত্তরগুলো দিয়ে দিচ্ছি! ওকে অবশ্য আর বেশীক্ষণ হতাশায় ভুগতে হল না। কারণ, তার পরের যে প্রশ্নগুলো অফিসার গড়গডিয়ে করে গেলেন, তার সবকটাই আমার সিলেবাসের একেবার বাইরে ছিল। দোভাষীই তখন একমাত্র প্রিয়জন, উদ্ধারকর্তা।

জাকার্তা, একসময়ের বাটাভিয়া, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছবির মত সাজানো।  দোকানপাট, চলমান সিঁড়ি, শুল্কবিহীন দোকান, দেশী বিদেশী ফাস্টফুডের হাতছানি, ক্যাফে, বড় বড় বিলবোর্ড ঝকঝক করে তুলেছে চারদিক। সুন্দর মনোগ্রাহী পোষাকে সজ্জিত যুবক যুবতীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নবাগত অতিথিদের স্বাগত জানাবার জন্যে উদ্গ্রীব। ব্যস্ত বিমানবন্দরের কর্মী, দেশবিদেশের জনমানুষ,  অপেক্ষারত স্বজনের ভীড়ে গমগম করছে। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই, কারো মুখে নেই একফোঁটা বিরক্তি। বাইরের ঝকঝকে উজ্জ্বল আবহাওয়ার সঙ্গে অবিকল প্রতিচ্ছবি মানুষগুলির পরিচ্ছন্ন নির্মল ভাসির মধ্যে।

এক বহুজাতিক সংস্হার হয়ে ইন্দোনেশিয়ার একটি জাতীয় কারিগরি কোম্পানীকে প্রযুক্তি বিষয়ক কাজে সাহায্য করার ডাক পেয়ে জাকার্তায় নেমেছিলাম। একটু পডাশোনা ছিল - মূলত হিন্দু রাষ্ট্র থেকে গৌতম বুদ্ধের বাণীর শান্তিপথ বেয়ে পরে এটি একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিবর্তিত হয়। ষষ্ঠ  শতাব্দীতে যখন পর্তুগীজ আর ওলন্দাজরা  ব্যবসার শোষণ জালে দেশটিকে নি:স্ব, রিক্ত করে যাচ্ছিল, তখনই হিন্দু এবং পরে বৌদ্ধধর্মের জয়যাত্রা শুরু হয়।  অবশ্যই সম্পূর্ণ মানবিক কারণে, কোন দখলদারির অভিসন্ধি নিয়ে নয়। ভাবা হয়, নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যেই আরবদেশ , মধ্যপ্রাচ্য এবং (অথবা) ভারতের গুজরাট থেকে প্রধানত সুফি সম্প্রদায়ের জনমানুষ এখানে পদার্পণ করেছিল ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই। এবং তখন থেকেই এদেশে মুসলিম ধর্মের বিস্তার শুরু। ২০১০ সালের গণনা অনুযায়ী তখন দেশে ১.৭ শতাংশ (আর পূর্ব প্রান্তের বালিদ্বীপে ৮৩.৫ শতাংশ) হিন্দুর শান্তিপূর্ণ বাস ছিল। ২০১৮এর সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী ইন্দোনেশীয়াতে মুসলিম জনসংখ্যা ৮৬.৭ শতাংশ, প্রায় ২২০ মিলিয়ন।

সেই দেশীয় সংস্হার জেনারেল ম্যানেজার পোরনোমো (আমাদের ‘পূর্ণিমা’, তবে ইনি পুরুষ হলেও নামটা ওই) এসেছিলো বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে। অভিভাসন আর কাস্টমস-এর বেড়া ডিঙোতে একটু সময় তো লাগবেই আমাদের মত নবাগতদের জন্যে! আমি ওদের ভাষা জানি না, ওরা ইংরেজী তেমন ভালো জানে না। কারণ, ইংরেজরা কোনদিনই এদেশে রাজা ছিল না, ওলন্দাজরাই এখানে রাজত্ব করে গেছে বহুদিন।

পোরনোমোর সঙ্গে বাইরে এলাম। জাপানী, কোরিয়ান গাড়ির সমুদ্র, সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শুনলাম এ দেশে এখনও কোন গাড়ি তৈরীর কারখানা গড়ে ওঠেনি। ওলন্দাজ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে ১৭ই আগস্ট ১৯৪৫, আমাদের থেকে দু’বছর আগে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেশটাকে উন্নত করার খুব একটা চেষ্টা না দেখিয়ে নিজেদের লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেশেই ব্যস্ত ছিল শাসনকর্তারা।

সুদৃশ্য উড়ান পুল, টোলরোড, চার-সরণির প্রশস্ত সড়ক পার হয়ে আমরা হায়াত  রিজেন্সির সামনে এসে দাঁড়ালাম। আসার সময় দোকানপাট, মল, বিক্ষিপ্ত শপিংসেন্টার, সুসজ্জিত দেশী বিদেশী নামাঙ্কিত পণ্যসমূহের প্রদর্শনী, আইনক্স, ফুডকোর্ট, বিশাল বিলবোর্ড, রঙীন ফেস্টুন, পতাকা রাজধানী জাকার্তার আধুনিকতা আর ঐশ্বর্যের সোচ্চার বিজ্ঞাপন। রাস্তা বেয়ে সবুজ গাছগাছালি, সযত্নে লালিত রঙবাহারী ফুলের সমারোহ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিক ভাস্কর্যে গৌরবান্বিত বিচিত্র বহুতল আবাসন, অফিস, বিপণীর অরণ্য।

আর একটা কথা বলতেই হয়, ইন্দোনেশীয়া একটি স্বীকৃত ইসলামিক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতি সুহার্তোর বাসস্থানের খুবই কাছে ১৬-১৭ মিটার মত বিস্তারিত এক অবিস্মরণীয় শিল্পসৃষ্টি দেখলা। একটি রথের ওপর শোভা পাচ্ছেন পার্থসারথিরূপে গীতার উদ্গাতা শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মনোহর মূর্তিতেই। হাতে ধাবমান অশ্বসমূহের রাশ - যেন তিনভুবনকে আগলে রেখেছেন, পেছনেই যোদ্ধৃবেশে বীরশ্রেষ্ঠ অর্জুন। এই জায়গাটি নির্বাচিত, কিন্তু অতিব্যস্ত শহর জাকার্তার একেবারে মধ্যস্হলে, মানে প্রাইম লোকেশনে - ভাবা যায়? একটি মুসলিম রাষ্ট্রের রাজধানীর কেন্দ্রবিন্দুতে একটি একান্ত হিন্দু ভাবাদর্শ স্হায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত? ক্রমে ক্রমে দেখেছি ইন্দোনেশীয়ার সংস্কৃতির সিংহভাগই আমাদের পৌরাণিক কাহিনীতে, বিশেষ করে রামায়ণ মহাভারতে  সমৃদ্ধ। এদেশে সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্ম অনুশীলনের কোন  বিরোধ নেই। আজকের তীব্র হানাহানির বর্বরতার যুগে এই উদার মনোভাব সত্যিই অনুকরণের যোগ্য।

এবার, কাজকর্মের মধ্যেই এখানকার ভাষা শিখতে শুরু করেছি। ‘বাহাসাতে’ কথা বলতে পারলে বা চেষ্টা করলেই এখানকার মানুষেরা তাকে খুব তাড়াতাডি আপন করে নেয়। প্রথম দিনে বিমানবন্দরে ‘ঝড়ে বক মেরে’ ভবিষ্যতে কোনমতেই হাসির খোরাক হতে রাজী নই। আমাদের করবীর কথা বলছি। সুপ্রিয়র কাজ থেকে ফিরতে সেদিন একটু দেরীই হচ্ছে , করবী স্বভাবতই বাঙালী বন্ধুদের ফোন করছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে আর বলছে, ‘এত চিন্তা হচ্ছে…! কাজের মেয়েটি শেপ না করা কারুকার্যবিহীন স্বাভাবিক সুন্দর ভুরু দুটো যে ক্ষণে ক্ষণে কুঁচকে যাচ্ছে, সেটা তো আর করবীর দেখার কথা নয়। ৮:৩০ নাগাদ ফোনটা নামিয়ে রাখার সঙ্গে সঙ্গে কাজের মেয়ে মায়া (আসল নাম দময়ন্তী - এদের সবই সংক্ষেপ করার অভ্যে) যুদ্ধংদেহি মূর্তিতে ধেয়ে এলো।  নিজের ভাষায় ২-৩ মিনিট অনর্গল বিরক্তি, উষ্মা আর হতাশা উগরে দিলো। তখনই শান্তির বাণী নিয়ে প্রবেশ করলো প্রতিবেশী এদেশীয় মহিলা রোকায়া, করবীকে সঙ্গ দেবার উদ্দেশ্যে। ওদের দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হল এবং তারপর করবীকে দুএকটা কথা জিজ্ঞেস করতেই মায়ার অসন্তোষের কারণটা বোঝা গেল। মায়া যার পর নাই বিরক্ত যে ‘ইবু (মিসেস) করবী’ সভ্যদেশের একজন বিবাহিতা ভদ্রমহিলা হয়ে কী করে অন্য মানুষের (সম্ভবত পুরুষ) সঙ্গে  অনবরত ‘চিন্তা চিন্তা’ করে কথা বলে যাচ্ছে? এটা তো খুবই উদ্বেগজনক! আরে বাবা, চিন্তা মানে যে এদেশে ‘ভালবাসা্‌’, আর ‘আকু চিন্তা’ মানে ,আমি ভালবাসি’ বলে প্রেম নিবেদন - এটা তো করবীর জানার কথা নয়! তাই স্বামীর অনুপস্হিতির সুযোগ নিয়ে, জনে জনে এরকম করে নিজের ভালবাসা বিলিয়ে দেওয়াটাই বা রোকায়া সহ্য করবে কী করে? হতভম্ব করবীকে বোঝাবার আগে মিনিট দুয়েক অদম্য হাসির গমকে বাড়ি কাঁপিয়ে তুললো মায়া আর রোকায়া।  শিক্ষাটা এই হল যে, আমাদের সঙ্গে কিছু কিছু শব্দের মিল থাকলেও তাদের  যথাযোগ্য ব্যবহার সম্বন্ধে সচেতন হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক।



এখানে সত্যিকারের মিল হওয়া কয়েকটি শব্দ আপনাদের অবগতির জন্যে তুলে দেওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক হবে না, যেগুলির মধ্যে উচ্চারণেরও কিছু মিল আপনারা খুঁজে পেতে পারেন - শুধু মনে রাখবেন এখানে ‘C’ pronounced as ‘Ch’।

Raja (King),  Marga (মার্গ, Road),  Nama (Name), Swami (husband), istri (wife), Dharma (religion), Kursi (chair), Diswas (day, দিবস), Dana (donation, wealth), Biku /ni (bhikkhu/ni),  Dobi (dhobi ), Kaca (glass), Manusia (mankind), Bumi (earth), Jaya (victory), Warna (colour), ahimsa (no hatred), ajnabi (unknown person), alpa (negligible, slight), aneka, anekaragam (variety show), Duka (dukkha), Loba (greed), raga (raga)

Angsa (হংস), antara (between), Guru (teacher), antariksa (sky, space), swapan (dream), arti (meaning),  Asa (hope), Atma (soul), bahagiya (blessed, happy), Bhakti (devotion), berita (news), bahasa (language)

Bija and Biji (seed), Budi (virtue), Budiman (wise), Busana (clothing), Cakra (disc), Cara (way, style), Cuti (leave), Catur (chess), Citra (image), Curi (steal), Cuka (sour, vinegar), kaca (glass),  Gajah(হাতি), Denda (Fine, punishment), Dewa (God), Dewi,  Devi (goddess), Desa (village), Duta (envoy), Eka (one), Dwi (Two), Gapura (gate), Garuda (The huge bird Garuda), Gita (song), Bahu (forearm)

Hina dina (poor, inferior), jaga (awake, watch), Jagat (world), Jana (merit, knowledge, service), Jaya (glorious), karma (personal work), karena (because), kencana (gold), Kepala (head), Kerja (work)

Kirana (ray), Mahadev (great), manusiya (man), mahesha (buffalo),  mantra (mantra, religious chanting), maya (illusion), menteri (minister), Paduka (foot, footwear), pertama (first), peritwi (Mother Earth), Puja (worship)

Purna (complete), purnama (full moon), pustaka (book), Pushpa (flower), Putra/ putri (son, Daughter), rahsiya (secret), raja (king), rani (queen), raksasa (demon, monster), rupa (like, look, appearance), sama (same), sapta (seven), samudera (ocean, power), Saksi (witness)

semadi (meditation), sempurna (complete, perfect), senopati (general), Seteru (enemy), singgasana (throne), Suara (sound, voice), surga (heavens), wanna (forest), wansa (dynasty), wanita (female), Wira (hero, brave), yudha (war, battle) এবং আরো অনেক।

বস্তুত, জার্মানপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইন্দোনেশীয় জাতীয় বিমানের নাম ‘ঘটোৎকচ’ এবং জাতীয় বিমানপরিবহন সংস্হার নাম ‘গরুড়’।

‘বাহাসা ইন্দোনেশীয়ার’ অল্পবিদ্যার ভয়ঙ্কর সাহসে ভর করে উড়ছিলাম আকাশে, কিন্তু তাতে যেরকম  হাস্যকর রকমের আছাড় খেলাম, সেটা অন্যসময়ে লেখা যেতে পারে

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন