কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

প্রশান্ত গুহমজুমদার



কবিতার কালিমাটি ১০১




পেয়ালা


(৩৬)   

বিনোদন এবং আঙুর একাসনে। ইহা অপনোদনের প্রথম সূত্র। নৈঃশব্দ একটি ভোঁতা শব্দ, অন্ধকারে, ভাঙিতেছে। বাতাসে শীৎকার, অবশ্যই মৃদু। তুমি অলোকসাধারণ। সিঁড়ি নিরবধি। ইহাও রাখিলাম। দ্বিতীয় সূত্রের আসন আঙুরে। নরমে তর্জনি, উষ্ণতায় ক্রমে আভা। রোমকূপ মনোরম। সঙ্গীতের গোপনে তীব্র সঙ্গীত। গোপনে। রস এবং কৌতুক তোমাকে যে কী আলো করিল! বস্তুত অসহ্য। মণিদি, ইহা কিন্তু একরূপ আগ্রাসন ছিল। আঙুর এবং রাত্রির প্রবল দাম্পত্য। এইসব সূত্র। আমার কিন্তু মনে পড়ে, বিগত শতকের ছুরি। ম্লান, একলা পাখি, অস্তের রঙে বিধুর। ফাটলে, কুয়োতলার শ্যাওলায়, অসম্পূর্নে কেবল আবাহন। ইহাই ছিল অন্তিম পর্ব। কবিতা মনে পড়িতে পারে।  অথচ বিচ্যুত। আজও সে হীনমন্যতা বাজিতেছে। এ ঊষায়।

(৫০)

অবশেষে দধিমঙ্গল। এই রাত্রি। পরাণসখা বন্ধু হে আমার। নদীর জলে দ্যাখো দু এক ফোঁটা। স্পন্ধানে কি ফুল ফোটে? অপরূপের? ছায়া দেখিয়াছে রূপ? নৈঃশব্দে কেহ চক্ষু আঁকিতেছে। চক্ষু। সজল। দীর্ঘ উপবাস অন্তে। জল আসিবে। অপেক্ষার আনন্দে। অপেক্ষা সেই শব্দ, যাহা শয়ানে আসিবে। শোনো, ঘন্টা বাজিতেছে। জলের কথা। বিবাহের। বলিতেছেঅন্তশঙ্খপ্রায়। বিধূর এবং শ্রাব্য।


(৫১)

সুপুরিগাছ, নক্ষত্র এবং কপালকুন্ডলা। এই কোলাজে সিঁড়ি রাখিলাম না। বড় বেদনার মতরাত্রি, সামান্য। জানি দুয়ার বন্ধ। দুয়ার খোলা। খোলা হইতে আলো, সুদূরের। অবিন্যস্ত ছায়া। সুপুরিগাছের। সুতরাং চক্ষু তাহার। আলিঙ্গনে, বারণহীন। আদরেও। বস্তুত অশ্রুতে, সঙ্গমে বিন্যস্ত। পাতা হইতে, শিশির হইতে, বিছানা হইতে। মৃত্যু অবধি। মৃত্যু পর্যন্ত। হারিয়ে যাওয়ার খোঁজে। শব্দটি! শব্দ?

পতন


কোথাও একটা। পতনের শব্দপছন্দের। অথবা অন্ধকারেরবৃষ্টিরআলোছায়ার গল্প কি এইরূপ! বহুবার পাপ হইতে? নিরভিমান? নিবিড় হইতে। রতিজল হইতে। স্তনবৃন্তের অপূর্বে। নাভির ওই সঘন শীতেবহু বহু বহুতর শীতজড়িত ছায়ায়। মন্ত্রে। যোনির আলোয়। যেরূপ সমীরণ আসে। সঙ্গীত। আসিতেছি। নিরাবরণ। স্বরূপের নিকটেই।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন