কবিতার কালিমাটি ১০১ |
চৈত্রের পর
রাতের
লালটেন জ্বেলে চাঁদ
শুতে
গেলো
কার্নিশ
ভেঙে ঝরে যাচ্ছে
জোছনার
পলকাটা কুচি
জন্ম
মহরত হবে এরকম
কখনও
ভেবেছো
অলকচূর্ণ
ভরা আনশব্দ
তীব্র
সিঁদুরের লাল
সন্ধে
সকাল
ক্রিস্টাল
পাত্রের মতো
অজপা
জীবন, তুমি কি
ম্যাটিনি
দেখো
ট্রেন
থেকে ছেড়ে দেওয়া
হাতের
স্পর্শ মেখে
সবুজ
দোচালা
বটগাছে
ফেঁসে থাকা হলুদ
ঘুড়ির
সুতো, ফুরোনো
ওষুধশিশি,
গোলাপি
ইনিংস জোড়া
মহোত্তম
সপাট স্ট্রাইক
সুখ
ক্রমে
আসিতেছে
হে
জীবন
আরো
একবার যদি...
ভেবে
দেখো...
মহামারী - ১
ঘাতকের
বারুদখানা থেকে
পলেস্তারা
খসার
শব্দ
আসে
জংধরা
খিল
মর্চেরং
বিষকোঠা
ঈর্ষাতার
প্রোষিতভর্তৃকা
চলে
যেতে বলি
বারবার
উঠোন
পেরিয়ে
সব
বাড়িঘর ইঁটভাটা
দুর্গাদালান
কিংবা
পোড়া
চরাচর
সব
ছেড়ে
চলে
যায় ফিরে আসে
কালের
মন্দিরা
পিঞ্জরের
শুক হয়ে আছি
খাঁ
খাঁ মাঠজোড়া বিষণ্ন সকাশ
আর
কতো
সাধ
হয় দেখা হোক
স্নিগ্ধ
বৃষ্টি
আর
পিপাসা
স্টেশনে
মহামারী – ২
আগুন পাহাড়ের তালু ফেটে তুমি এক লীলাসঙ্গিনী। অঘ্রাণের সুকান্ত
মালিকা হয়ে ফিরে এলে। বিবাহে বসার প্ল্যান কিছু। তুমি কী গো আমার সাঁঝগগনে গোধূলির।
পাড়াগাঁয়ে ম্যাটিনি ছবির শাদাকালো। প্লুত কাননবালার কল্কাচোখ। তুমি পেয়েছিলে। আগুন
পাহাড় ঘুরে তোমার জন্য এই শালগ্রাম। পুরোহিত শব্দের সাথে বুকের শীত মিলেছিলো অন্য কবিতায়।
তুমি তা জানো না কিছু। না জানিলে। আমি জানি সেইসব ঋতু। সাটিন শয্যার শস্য ফলেছিলে পরিচিত
ট্র্যাকে। এবার বিবাহে যদিদং ফুটে ওঠো তুমি। আধারকার্ডের মতো সত্য পরিচয় এনে দাও। যা
দেখে পুলিশ বলবে ভাগ। এইবার ছাড়া পেয়ে গেলি। এপাড়ায় আর যেন তোকে না দেখি!
যে
আঁখিতে এতো হাসি। যে আঁখিতে আখর সাজিয়ে চুপ সাঁঝ'সহকার। গ্যাসবাতি জ্বালা যেসব স্টেশনে
পাড়াগাঁয়ে টুনটুনগাড়ি, অনেকটা। সেই টলমল লাইনও ঝিঁঝিপথে বাড়ি ফেরে সুজনভোটার। যে আঁখিতে
নেশা আর জ্যোৎস্নার গন্ধ ঝরে টুপটাপ পথের পাতার, তুমিও কী? শুনেছি এসব পাতা তুলে কোনোদিন
পেজমার্ক করেছিলে শঙ্খের কবিতা। এখন বিবর্ণ, তবু আছে। সন্ধ্যা অনেক আসে, তবু তুমি চিলেকোঠা
থেকে উৎসবে আসো না। দ্যাখো, এভাবে তাকালে পাপড়ির মতো জল তরুমূলে। যে আঁখি অন্দরমহলে
উঁকি, বসতবাড়ির বটছায়া, সেখানে রটনা সব, কষ্ট হয়। আর্জির কম্পাস তোমার যাত্রাপথে, প্রবাসে
অস্পষ্ট হয়ে থাকি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন