![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৯ |
বামপন্থী ভালোবাসার ডানপন্থী গল্প
বীর্যবান
যারা ক্ষমতার লোভে উন্মাদ, তাদের হাতে দেশ নয়, বকুল ফুল ফুটুক। হিংসা, বিদ্বেষের আগুন থেকে তারা বের হয়ে সমাহিত হোক ভালোবাসায়। রাস্তায়, মঞ্চে তারা মুসাফির সেজে ডেকে উঠুক কোকিলের সুরে। ঘৃণা নয়, নিষিদ্ধ নয়, সমঝোতার প্ল্যাকার্ড লিখে পদযাত্রা চলুক প্রতিটি গলিতে, প্রতিটি হৃদয়ে। মবের রাজনীতি নয়, তারা বীর্যবান হয়ে উঠুক প্রেম ও ভালোবাসায়।
রাজপথ
ভালোবাসার দাবিতে আমি হরতাল ডেকেছি শাহবাগে। শহীদ মিনারে করেছি অনশন। মার্চ করেছি বাংলাদেশ। এখন ভালোবাসা গণতন্ত্রের মত দুর্লভ। তাই প্রত্যাশা ছেড়েছি। দেশ ছেড়েছি। একটু উষ্ণতা পেলে যার দিব্যি শীতকাল কেটে যায় তার একমাত্র দাবি হোক রাজপথ।
সনদপত্র
তোমাকে যেভাবে দেখতে চাই, সেভাবে চোখ মেলে কখনো দেখা হয় না। কেন হয় না, এই প্রশ্নের চেয়েও গভীর প্রশ্ন হলো, ঠিক কীভাবে দেখতে চেয়েছি! এই যে এতবার দেখা হলো, কথা হলো, তারপরেও কোনভাবে দেখতে চেয়ে অস্থির হয়ে আছি?
একদিন হয়তো দেখা হবে। হয়তো অদেখা তুমির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বিকেল। বিকেলের সূত্র ধরে, সব অন্ধকার জড়ো হলে হয়তো তোমাকে দেখার ইচ্ছেটাই থেকে যাবে, জুলাইয়ের মতো; যাতে রক্তের দাগ আছে কিন্তু সনদপত্র নেই।
লাশ
তুমি এসেছিলে নিঃশব্দে। কোনো দেয়ালে ছায়া পড়েনি। সাক্ষী হিসেবে পাড়া প্রতিবেশীরা নিশ্চুপ ছিল। দরজা খোলেনি বৃষ্টি। প্রস্থানের পূর্বে বলেছিলে, বন্দুকের চেয়ে নীরবতা দামি অস্ত্র। তাই বহুদিন হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে ভালোবাসার লাশ। মাঝেমধ্যে গভীর অনুরাগ নিয়ে শিশিরের মতো পড়ে থাকা খুব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। তখন নীরবতার ভেতর শামুকের মতো গুটিয়ে থাকি। পা কেটে যায়। রক্ত ঝরে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন