![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৯ |
সাম্যের প্রয়োজনে
(১)
শাপগ্রস্ত ঘূর্ণিরা আছড়ে পড়ছে দক্ষিণদিকের বারান্দায়…
বুকের ভিতরেও মহাকর্ষ
ঢেউয়ের মত ছদ্মশক্তি মুচড়ে দিচ্ছে গল্প- হাসি
টেবিল ক্যালেন্ডারে উড়ছে কয়েক সপ্তাহ,
মাস আগে নয় পিছে হচ্ছে চলতি বছরের
সাম্যের প্রয়োজনেই যেন সংসার-বিশ্বে
কিছুটা এলোমেলো হওয়া…
ধূলোর অণু উড়ছিল যা হাওয়ায়, বৃষ্টিতে মিশে তা এখন
পায়ের ছাপের জল
(২)
বৃষ্টিমাতাল ভাদ্রপ্রেমীদের অন্য সামিয়ানা...
আমার একলা দুপুরের খরা কাটায়
রেডিও মির্চির ভাঙা সুর, এফএম
শব্দ নিভিয়ে
সর্ষে পায়ে ছুটছে সময়…
দিনের পালকি কাঁধে নিতেই
দক্ষ কাহার ছুট লাগায় ভরদুপুরে
সমস্ত শব্দ নিভিয়ে পড়ে থাকি তিব্বতি বাঁশির চুম্বকে...
নেগেটিভিটি লুকিয়ে পড়ে আশ্চর্য্ শান্তিতে!
শান্ত থেকেই টের পাই-
এই বিষবুকে কত অম্লজান ভরে গেছে
আর অন্যদিন হলে এসময়
মৃত চাহিদার খুলি গুণে গুণে ক্লান্ত আমি!
যতদূর চোখ যায়
চাই হালকা হতে, জানলায় আসা সাদা পায়রা উড়িয়ে দিই তাই।
চোরকাঁটা ছাড়িয়েই যাই… কখন যে ধূসর হয়ে যায় মোহময়
বিকেল।
অষ্টম মন্ত্রের টানে আসে গোধূলি।
মহল্লার প্রবীন দেয়ালগুলো ভ্যাপসা দুর্গন্ধ ইটেই
লালিত,
কারো গেটের উপর লাগিয়ে রাখা মাধবীলতার ম’ম গন্ধে
ভিজে নরম হয় সুষুম্না...
যতদূর চোখ যায়
নবমী জ্যোৎস্নার ধূসর রজনস্রোত…
অসফল নিরীক্ষার মত এই সমস্ত রাত আজও আমার অচেনা!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন