ধারাবাহিক উপন্যাস
সত্যান্যাস
অথবা
গোদার দেখে ৭৮৬টি মনোলগ
একটি বৈদান্তিক ভোগবাদ বিরোধী গায়ের জোরে বলা উপন্যাস
A social media studies
যে বাজার থেকে মুক্ত সে মুক্ত
(পর্ব ৬)
Facebook Staus:
বেশিরভাগ প্যারাটিচার
ক্যাডারভিত্তিক সিপিএম নিয়োগ। তবে তার মধ্যেও যোগ্য লোক আছে। সর্বদেশে সর্বসময়ে মাস
মননে তাই হয়ে এসেছে। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে ৬০এর দশক থেকেই দেখায় যে ইন্টারভিউ দিয়ে
চাকরি পেল ইন্টারভিউয়ারের শালা! মূলধারার কোনো হিন্দি ছবিতে কখনও নায়ক, SC, ST বা
OBC পদবীযুক্ত হয়েছে? তাদের কোনো পদবীই নেই, রাজ রাহুল প্রেম, নামই ব্যাস, সারনেমহীন
নাম তো শুনা হি হোগা! এক বিরাট মাস আইডেন্টিফিকেশনের ল্যাবরেটরি ভারতীয় মূলধারার সিনেমা।
পপুলার বিলিভই সে দেখাবে, তাকে পরিবর্তন করতে কদাচ যাবে না। সব রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত।
বহু বহু অসৎ পুলিশের মধ্যে একজন সৎ সুপারহিরো পুলিশ তত্ত্ব এমনকি এমারজেন্সিতেও পাল্টায়নি।
তপন সিংহেও না।
তাতে কী হয়েছে, দুর্নীতি
ছাড়া ভারত যে চলে না, তোমাকেই আপোষ করে নিতে হবে, এমত ডায়নামিক চিত্রায়ণ মৃণাল সেনের
“ভুবন সোম”। এবং মূল্যবোধের
কলকাতা ট্রিলজিকে ব্যঙ্গ করে সুবিমল মিশ্র বলেন, প্রিয় গৃহপালিত পশু সত্যজিৎ রায়!
৬০-৭০ এর বাংলার প্যারালাল
ধারা আবর্তিত হয়েছে আনএমপ্লয়মেন্টকে বিষয় করে। নাগরিক, ইন্টারভিউ, প্রতিদ্বন্দ্বী—ঋত্বিক মৃণাল
সত্যজিতের বেকারিত্ব ট্রিলজি।
কোনো সময়ে কোনো দেশে
কোনো দলে সবাই খারাপ নয়, ভালোও নয়। সিস্টেমটা কোরাপ্ট করে গেছে। সরকার বদলে যে কিছুই
হয় না, গণতন্ত্রের ভূতের প্রমাণ ৭৫ বছরের স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস।
তাও হুঁশ ফেরে না। সরকার
দুর্নীতি করে না। দুর্নীতির একটি সরকার নামক গোলামের প্রয়োজন হয়। ৬০ ও ৭০ এর অ্যান্টি
এশটাব্লিসমেন্টের মুভমেন্ট আজ যে বড় দরকার! বিপ্লব আসতে এত দেরী হচ্ছে কেন? লাক্ষাগৃহ
তো নির্মিত। প্রমিথিউস হবে কে! আমি রাজনৈতিকভাবে একক ও ব্যক্তিস্বাধীন একজিসটেন্সিয়ালে
বিশ্বাসী হয়েও একটি নবজাগরণের স্বপ্ন দেখি। দেখি কারণ আমার সন্তান বলতে পারে, ভিখিরিত্ব
অনুদানই যখন বাংলার অর্থনীতি, বাংলার অর্থনীতি যখন মদ ও ডিয়ার লটারি, সেসময় তুমি কী
করছিলে? আমরা স্বামী স্ত্রী অর্ঘ্য ও ছৌমিতা এপিকধর্মী জাতিস্মর গানে সুখ পেতে পারি
কিন্তু কেকপাখি বড় হয়ে প্রশ্ন করতে শিখলে আমাদের মূক ও বধির হতে হবে। অবশ্য কেকপাখির
ডিমান্ড হবে অক্সিজেন আর শুদ্ধ পানীয় জল! পাপ গঙ্গা শুষে ছিবড়ে করে দেবে। আমি মাওবাদী
নই, আমি গণতান্ত্রিকও নই, আমি আমার ও এক দ্বারা বিভাজ্য হয়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হলাম।
রইলাম এই বলে যে, ক্ষমতাকে আমি স্বার্থপরের মতো ঘৃণা করি! তাই তো আমি সর্বদা মাতাল
হয়ে থাকি যাতে আমার পা না টলে যায়!
Whatsapp Status:
Life has no
meaning basically.
Absolutely absurd।
Some Narayana at his serpent-monster bed dreaming us. And in his dreams we are
doing nonsense things. And we say it is harsh reality! Life has actually no
meaning. Coming, floating and passing on white screen as a movie of drama,
disaster and death. And then we give them Oscars. So, no philosophical or
emotional meaning is there. Just chill, enjoy, be happy, be positive as they
say.
Do nothing.
Experience
nothing.
Live life as being
and nothing.
Lazy philosophy.
Buddha says
nothing.
So be a Buddhist
of Vipasana doctrine. Their philosophy has no words.
ধীয়োযোনি প্রচোদয়াৎ গ্রন্থঃ কিশোরের নীতা ও নাম স্তোত্র থেকেঃ
যেই নাম সেই কৃষ্ণ ভজ নিষ্ঠা করি।
নামের সহিত আছে আপনি
শ্রীহরি।।
কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম
পড়ে আশ্চর্যান্বিত হই। ১০৮টি নাম ও নামমাহাত্ম্যের তৎকালীন যুগানুযায়ী তা কর্মপরিচায়ক।
অর্থাৎ যে জীবনে মহৎ যে কাজগুলি করেছে তার চারিত্রিক গুণাবলী অনুযায়ী পরবর্তীকালে নামগুলি
'আরোপিত' । এগুলি বর্তমানের মতো জন্মকালীন নাম নয়। যথা মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ। দুটিই
পরবর্তীকালে তার কীর্তির পরিচায়ক বিশেষণ। এ পর্যন্ত ভীষণ সাধারণ। কিন্তু কৃষ্ণের অষ্টোত্তর
শতনাম পড়ে চমকিত হয়ে যাই। ১০৮ জন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠী ১০৮ রকম নাম দিচ্ছে। যা
নাম দিচ্ছে তা সবই কৃষ্ণের attribute, গুণ, বৈশিষ্ট্য, সুতরাং উহারা নাম বিশেষণ। এ
তো গেল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে, যে যে কৃষ্ণকে যা-যা নাম দিচ্ছেন তাঁর নিজের
বৈশিষ্ট্যও তাই-ই। কৃষ্ণ যেন মিরর। বেদান্তের ভাষায় প্রত্যগাত্মা। এতে যে যেরকম সে
কৃষ্ণের মধ্যে তাই দেখছে। নিজেকেই দেখছে, নিজেকেই খুঁজে পাচ্ছে। নাম-নামী-নামকারী অভেদ
হয়ে যাচ্ছে। উদাহরণ দেওয়া যাক।
যুধিষ্ঠির নিজে রাজা
ও তার কাছে যাদব রাজনৈতিক শক্তির গুরুত্বই সর্বপ্রধান। তাই যুধিষ্ঠির নাম রাখে দেব
যদুবর।
বিদুর মহামন্ত্রী হলেও
কুরুরাজ্যের পরান্নভোজী, দাসীসন্তান। তাই বিদুর রাখিল নাম কাঙ্গাল ঈশ্বর।
নারদ ভক্ত শ্রেষ্ঠ।
নারদ রাখিল নাম ভক্ত-প্রাণধন।
অহল্যা যদিও রামায়ণের
যুগের চরিত্র তবু অহল্যার পাষাণ-শাপমুক্তি celebrated হচ্ছে এই বলে যে, অহল্যা রাখিল
নাম পাষাণ-উদ্ধার।
প্রহ্লাদ রাখিল নাম
নৃসিংহমুরারী।
এই নামসাহিত্যে এমন
অসংখ্য রেফারেন্স পাওয়া যাবে, যা কৃষ্ণ যুগের বহু আগের চরিত্রের উল্লেখে পূর্ণ। বৈদিক
যুগের এমনকি দেবতাদেরও জননী আদি দেবী অদিতি থেকে বহুপরবর্তীকালের, মহাভারতের বহু বহু
পরবর্তী যুগের চরিত্রদের উল্লেখ বর্তমান। এ লেখা তাই ইতিহাসের চর্চার এক মহৎ উপাদান,
manifold, অত্যন্ত অর্বাচীন যুগের এ রচনা এক অতি উত্তম গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
যা বলছিলাম, যার যা
বৈশিষ্ট্য তাই কৃষ্ণ-বৈশিষ্ট্য।
অত্রিমুনি হলেন বিশেষ
একটি নক্ষত্র অত্রি, যা সপ্তর্ষিমণ্ডলের অন্তর্গত অর্থাৎ আকাশ সম্বন্ধীয়।
অত্রিমুনি নাম রাখে
কোটি চন্দ্রেশ্বর।
রুদ্রগণ ঋবেদে আকাশের
দেবতা ও পশুত্ব, উগ্রতা, শত্রুবিনাশকারী, ভয় উৎপাদক, ধ্বংসকারী ইত্যাদি গুণসম্পন্ন
দেবতা যার সব বৈশিষ্ট্য পরে মহাদেবে আরোপিত। রুদ্রগণ নাম রাখে দেব মহাকাল।
এ জাতীয় বর্ণনা থেকে
স্পষ্ট যে, ঈশ্বর আমি স্বরূপ। আমিত্বের শ্রেষ্ঠত্বেই ঈশ্বরত্ব ও আমার গুণ লক্ষণ, বৈশিষ্ট্য,
আমার মতাদর্শ দৃষ্টিভঙ্গি, আমার যা মত ততই ঈশ্বর, তৎরূপ নাম-নামী-নামকারী অভেদ হয়।
যার যা শ্রেষ্ঠগুণ তা বিভূতিযোগে ঈশ্বরপ্রতিম হয়ে ওঠে।
#
#
#
ছৌরভ – সফর চলতে থাকুক!
আমি – তাহলে তোর কাছে
কাম্যুর মিথ অফ সিসিফাস কোনো আবেদন রাখলো না?
ছৌরভ – কাম্যু নিজে
বুঝেছে? বুঝে যা লিখেছে তা ফলো করেছে? ও তো নোবেল নোবেল করে মরেছে! ওসব পড়বো, বুঝবো,
ভুলব রে! ফলো করব বুদ্ধকে। লোকটা কথা কম বলত।
রাতুল – সিগারেট, মদ,
গাঁজা, মেয়ের পর ধর্মের নেশা! মাথা ঠিক থাকবে তো?
আমি – লোকে তো ভাবেই
আমি আর আমার ভগবান নিয়ে আমি ডুয়াল পার্সোনালিটি।
রাতুল – ভাবে ওভারল্যাপিং
অনেক পার্সোনালিটির অ্যাসোসিয়েটিভ রোগগ্রস্ত। লোকে পাগল ভাবে!
আমি – এর জন্য তোর বিরুদ্ধে
FIR করতে পারি জানিস? পাগল বললি প্রমাণিত হলে পেনাল কোডে পানিশেবল অফেন্স, জানিস?
রাতুল – First
investigating Report। যে কেউ যার খুশি বিরুদ্ধে করতে পারে। সাবজেক্ট টু প্রুফ।
ছৌরভ: মনে বনে কোণে
ধর্ম কর। নাহলে এসো রিয়ালিটি বক্সিং রিঙ-এ।
ভার্যাং মনোরমাং দেহি মনবৃত্তানুসারিণী।
রূপং দেহি জয়ং দেহি
যশো দেহি দ্বিষো জহি।।
মনোরম স্ত্রী দাও, যে
আমার মনোবৃত্তির অনুসারিণী হবে।
বিয়ের তারিখ ২২.০৪.২২।
অর্থাৎ শুধুই ৪ সংখ্যাটি। আর চার সংখ্যা মহাকাব্যের। আমরা মহাকাব্য দম্পতি!
#
#
#
- তোমার জন্যই আমার সংসার করা হলো না মা
পাঠক ভাববেন কোনো নৃশংস
ডায়াবলিক শ্বাশুড়ির গল্প এটা। তা নয়। এ গল্প নৃশংস নিস্ক্রিয়তার।
বছর দুই অয়নদীপ বিয়ে
করেছে। স্বপ্নেও একথা আগে ভাবেনি সে। সাইকিয়াট্রিস্ট বলল, বিয়ে দিয়ে দিন, সব ঠিক হয়ে
যাবে। অমনি কাগজে বিজ্ঞাপন। বেশ কিছু রিফিউজালের পর হঠাৎ ছৌ-এর ফোন যখন সে বিয়ার খাচ্ছিল
বলেই ছিল সপ্রতিভ এবং ছয়মাস প্রেম করে তারা বিয়ে করে নিল। যেন রূপকথা!
অয়নদীপের অসুস্থতা কবে
থেকে? ১৭-এ বখে যাওয়া কি অসুস্থতা? বলা যায় না। হয়তো ১৭-তে যা ডাক্তারি পর্যবেক্ষণে
অস্বাভাবিক, তার গভীরতা আরো আরো প্রাচীন। অ্যাটলান্টিস গিলে ফেলা গভীরতা। জন্মাবধি।
নিষেকের মাতৃপক্ষে ২৩ ক্রোমোজোমে ২৪টা ভুল ধরে ফেলল মামুলি স্কুল টিচার। অয়নদীপ এককে
শুরু করলো জীবন। ভাগ্য তার ভাষার গ্রামারের নিশ্চয়তা পেল না কখনও। এ কি তার দোষ? তার
তো ফিল্মস্টারের মতো পাবলিসিটি ৪৬ মাধ্যমিক র্যাঙ্ক। আর কখনও এমত সাফল্য আসেনি। তার
ও ব্রহ্মের মধ্যে একমাত্র অহং বাধা এই অসদ্ ৪৬। অতঃপর ছোট ছোট মিথ্যা আত্মসম্মোহন দিয়ে
গড়া পুরুষের জপের মালা। তার স্বাভাবিকের বাধা তার ভ্রান্ত প্যারেন্টিং – বিস্তর ব্যাপক
ভুল – অ্যানফরোসড এরর যদিও। মাতৃপক্ষের হীনমন্ন্যতাই তার ইনভার্টেট অহং। অতিরিক্ত কম
অহং। তবু সে ঈশ্বর পায় না। পরমপুরুষ হয়ে পৌরুষ দাও, অতঃপর খিদে পেলে খাদ্য বাড়া আছে
দেখি যেন টেবিলে – রিয়েল লাইফ পেন্টিং-এর কিছু কম স্বাদে – কোনওরকমে। খাসির মাংস থেকে
রবিবারের পাত ছেড়ে উঠে না পরতে হয় ক্ষুধার্ত! মা, এই ৭১-এ এসেও বোঝো না যে আমি বেগুন
খাই না!
অথচ এমন বলেছিলেন বিনয়
মজুমদার, অভাবে খাদ্য না পাওয়ার কথা অয়নদীপ একবারও বলছে না। সে বলছে রাঁধা হাঁড়ি ভাত
বেড়ে দেওয়ার কথা। তার মা তাকে সারাদিনে এক গ্লাস জল গড়িয়ে দিতেও অক্ষম। এবং এই নিষ্ক্রিয়তার
নেগেটিভ অনুঘটকে তার বিবাহিত জীবনের যৌগ আজও গঠিত হতে পারল না। মা তার স্ত্রীকে কোনোদিনও
একটি কটূ কথাও রূঢ় স্বরে কদাপি বলেন নি। তাদের জীবনে তার হস্তক্ষেপ শূন্য। একা অয়নদীপের
পার্সোনালিটি এ হার্টের বিবিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বিড়াল যে মরেনি এখনও।
এবং এই না, এই শূন্য
শেষ করে দিচ্ছে অয়নের সংসার। ঘট নাস্তি। ডাইনিঙে ঢেকে রাখা খাবার পরিবেশন করে দেওয়ার
ক্ষমতা হারিয়েছেন তার মা। অয়নদীপের অভিযোগ মা’র প্রতি এবং তাদের অভিযোগ অয়নের বখে যাওয়াই তার মা’র অসুস্থতার
কারণ। ডেড লক। কিন্তু আসল কারণ গভীরতর। চরম সীমানায় নিয়ে যাওয়া যাক তাকে।
জিন তাদের পরিবারকে
গ্রাস করেছে। আদি জিন সম্ভবত কোনো অধঃপতিত পুরুষ – যিনি ধর্মাচারণের ছলে পুরুষত্বহীনতাকে
প্রচারিত ও প্ররোচিত করেছিলেন। মাতৃইতিহাসে কে তিনি তা জানি, কিন্ত কমু না। যে জীবের
সমাজবদ্ধ না হয়ে কোনো অস্তিত্ব রাখা অসম্ভব – পরস্পরের উপর অসহায়তমভাবে নির্ভরশীল যে
প্রাণী মানুষ – অস্বাভাবিকতাকে সে এত ঘেন্না করে কেন? করে, মানস রোগী তার সমাজের কাজে
লাগে না, এমত সে ধরেই নেয়। এবং দুটি হায়ারার্কি হয় – প্রোডাকটিভ সুস্থ ও আনপ্রোডাকটিভ
অসুস্থ। ব্যক্তিগত ক্রোধ অতৃপ্তি হতাশা ঢেলে দেওয়া হয় এইসব নিচের as man-দের প্রতি।
সভ্যতা সুস্থ থাকতে পারে, কোনওরকমে। কিন্তু বল, ভারতে কোতো শতাংশ সুস্থ মানুষ আনপ্রোডাক্টিভ?
তাদের গুলি করে মেরে ফেলা উচিত। তারা সমাজের কোন কাজে লাগছে?
মানসিক রোগীর প্রাথমিক
বৈশিষ্ট্য সে সোশ্যাল নয়। সে সংঘবদ্ধ নয়। আর তাই তাকে অত্যাচার করা এত সহজ। তার ও মার
মধ্যস্থতাকারী তার বাবা ও স্ত্রী – যারা কিনা পাগলের আত্মীয়! বাধ্যত! শ্রেণিশত্রু।
দোষ সে মাকে দেয় না।
নিজেকেও দেয় না। দোষ যদি থাকতো বড় ভালো হতো – এমনকি নিজেকেও রেয়াত করতো না অয়নদীপ দোষ
তার থাকলে। বদলে এই সমাজবদ্ধ মানুষ জীবটিকে সে ঘৃণা করে যারা হিউম্যানিটির বিশ্বভাতৃত্বের
ধ্বজার তলায় আজও দাস ও দেহব্যবসা চালায়। শিক্ষার আদর্শ আজও চুঁইয়ে পড়ল না নিম্নবিত্তে
সে তো ঔপনিবেশিক ভুল। মূল্যবোধের, মানবিকতার, নৈতিকতার পাঠই পেল না নিম্নবর্গ। উচ্চ
ও নিম্নবিত্ত পরস্পরকে শুধু ঘৃণা করতে শিখল। মিডিলম্যান মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রযন্ত্র বড়লোককে
গরীবের ‘কোরাস’ থেকে বাঁচাবার যন্ত্র হয়ে উঠল। মূল্যবোধের
চর্চা স্বাধীন ভারতে যেন নিষিদ্ধ হয়ে গেল। এমত রিরাংসাময় প্রাণীদের একদা গ্রাম্য উপনিষদ
ঐশ্বরিক বলেছিল!
প্রকৃতিবিজ্ঞান জানিয়ে
দিয়েছে আর জৈবিক ইভলিউশন হবে না। যা হবে তা বৌদ্ধিকস্তরের উন্নতিকরণ। ধীরে ধীরে অচিনের
দিকে এগোবে মেধা। ধীরে ধীরে সদ্-অসদ্ বিচার বাড়বে। ব্রেনকে একদিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে
ব্যবহার করতে করতে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি-চিত্তে-অহং-এ যখন চৈতন্যের ছায়া পড়বে সমগ্র মানবসমাজ
অবলোকিতেশ্বরের অবতারে পরিণত হবে! জৈবিক চাহিদা পূরণান্তে ঐশ্বরিক চাহিদা বাড়তে বাড়তে
একসময় যখন ঐহিকের চেতনা স্নান করে নেবে আদিত্য জ্যোতিতে, তখন যেন বাকি প্রাণীরা এই
নোখসর্বস্ব চোখসর্বস্ব লোমসর্বস্ব দাঁতসর্বস্ব বীভৎস মানবীয় ইংস্টিঙ্কটকে ক্ষমা করে
দেয়। লুপ্ত বৃক্ষসমাজ ও লুপ্ত প্রাণজগৎ যেন ক্ষমা করে দেয় কারণ ক্ষমাই ঈশ্বর। ঈশ্বর
সত্য কিনা জানি না কিন্তু সত্যই ঈশ্বরপ্রতিম মেরুদণ্ড। অয়নদীপও ক্ষমা করে দেবে তার
প্যারেন্টিংকে – বলবে, মরো না মরো না মা গো, মরিলে মেলে না মা গো, খুঁজিলে মা ত্রিভুবনে।
পাগল, পাগল, পাগল বাবা!
শ্বা-র সফিস্টিকেশনের বিপ্রতীপে এই হ্যালুসিনেটেড বাক্যটি শোনা ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল
অয়নদীপের চেতনাকে। সেই হ্যালুসিনেশন আজও উত্তর পায়নি—এই বাক্যে
কর্তা কাকে ধরা হয়েছিল – তাকে না তার বাবাকে? সেদিনই ছৌ এর দাদা ট্রেনে কাটা পড়েছে।
যেদিন অয়নদীপের দ্বিতীয় জিনাতঙ্কের অনসেট। সেদিন যে কোনো সুস্থ মানুষেরও মেন্টাল ব্রেকডাউন
করে দেবে অয়নের বাবার মহাশূন্য সদৃশ মাত্রাতিরিক্ত আশাবাদ।
- কাল তোমাকে স্কুলে
যেতে হবে বাবু!
শেষ হয়ে গিয়েছিল অয়নের
আত্মনিয়ন্ত্রণ। সে বুঝলো সে জানলো তার প্রয়োজন শুধুমাত্র অর্থে। অর্থের বিকৃতিতেই বুঝলো।
মনে মনে সেও বলল, পাগল, পাগল, পাগল বাবা!
যখন ডোপামিন ইনহিবিটারের
প্রবল প্রয়োজন, তখন জয়রামের ডোপিং অয়নকে দিয়ে বলিয়েছিল, তোমাকে পুজো করব ছৌ! কারণ রামই
তো বলেছিল, বিয়ে দিন, রামকে তাই বললাম এখন এমত অবস্থা! বহুদিন প্রিয়তম রাম নাম জপতে
পারিনি তারপর। ডোপিং কাঞ্চনজঙ্ঘা উপড়ে আনতে চেয়েছে সদ্যোজাত মেয়েটির জন্য। ডোপিং দেখেছিল
তিন চারটে কাক ছাল ছাড়ানো সরু দড়ির মতো গিরগিটির লাল মাংস নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। সিদ্ধাইরা
ভয় পেয়ে যাবে এই দৃশ্যে। ভূত পিশাচ নিকট নেহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে! হনুমানায়ণ
বলে আমার গ্রন্থটি ছৌকে প্রথম আকর্ষিত করে। সেই চরম আস্তিকিনী – যে অর্ধ অঙ্গিনী মা
অন্নপূর্ণাকে অয়নের গিফট করা ডার্ক চকোলেট প্রসাদ হিসাবে দিয়ে শুরু করেছিল প্রেম –
মা সারদা ছৌ-এর স্বপ্নে এসে জোড়াপাতা তুলতে গিয়েও না তুলে বলেছিলেন জোড়াটা থাক। ছৌ
আস্তিকিনী পুরীর হোটেলে জগন্নাথের ভোগপ্রসাদ খাওয়াটাকে ডায়েরিতে লেখে ডিনার উইথ ভগা!
শর্ত ছিল হনিমুনে যৌনতা করা যাবে না কারণ শ্রীক্ষেত্রে আছি ও তার প্রথম প্রেম জগন্নাথ!
প্রথম দর্শনে জগন্নাথের একটিই চোখ দেখতে পায় সে ও তার ব্যাখ্যা হয় জগা চোখ মেরেছে ছৌকে!
আর আমার সাইকোলজি বিদ্যা বারবার অ্যালার্ম দিতে থাকে—এ তো ওপেন
অ্যান্ড আউট কেস অফ ওসিডি!
- আমার নির্বিকল্প হয়ে
গেলে তুমি কী করে সামলাবে?!
- সমুদ্র আমায় ধরতে
পারে না, পারেএএ না! এমত শৈ(শ)ব সারল্যে তার পিছিয়ে যাওয়াকে সমুদ্র ইয়ার্কি বলে অ্যাকসেপ্টও
করছে দেখেছি। আমি কেমন যেন ইগো হারিয়ে ম্যায় পানি পাহি হো গ্যয়ি ম্যাজিক ‘ছৌ’তে আচ্ছন্ন
হয়ে গেলাম। আজ সেই আস্তিকিনী যখন রূঢ়স্বরে বলে… তোমার সিদ্ধাই আনলার্ন করো, বেদান্তের
আগে তন্ত্র কোরো না, যখন বলে তখন আমি অহং হারিয়ে ফেলি, আমার স্বাভাবিক ক্রিটিক্যাল
থিংকিং, অ্যাকাডেমিকেও; আমি আর মৌলিক থাকি না।
যাহা ভাবি হৃদ্ কমলে,
চৈতন্যে তার ছায়াজ্ঞানে।
রতিতুরা গুরু হলে, শান্ত
যোগী ভাব অনলে।।
আজও প্রবল সন্দিহান। সে আমায় চেয়েছিল না আদতে একটি কন্যা সন্তান শুধু! যতই সে আমাকে তার বড় ছেলে বলুক, পূর্ববিবাহের মৃতা কন্যাকেই সে আবার ফিরে পেতে চেয়েছিল। পুত্র হলে জানি আবার সে সন্তান নিত। নাম রেখেছি ঋতস্বিনী। ঋত প্রোডাকশান। আমাদের ধীযুক্ত যৌনতা প্রবন্ধমূলক চোদনের সন্তান। ধীয়োযোনি প্রচোদয়াৎ। জটিল ইন্টিগ্রেশন সলভ করতে করতে আমাদের যৌনতা – বিপরীত রতির সন্তান ঋতের নদী – সেই ‘ঋত’ যা বেদের অবিনশ্বর নিয়মের প্রতীক। তার শক্তি প্রতিম। তবুও জানি সন্তান না হলে আমাদের দাম্পত্য পতঝড় যো বাগ উজাড়ে হত না। তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই!
যজ্ঞ আমরা যথাযথ নিয়ম
মেনে করেছি। ঋত আমাদের কোনো দেব ইচ্ছাব্যতীত ফলপ্রদানে বাধ্য। আরেকটি নাম ভেবেছিলাম
বেদান্তিকা। যেহেতু বেদান্তই দাম্পত্যের আলোচনায় মুখ্যস্থান নিয়েছে। যদিও আমরা জানি
কেকপাখির আসল নাম বৈদেহী। দেহাতীত সীতে। হনুমানই যে আমাদের ঘটক। যাও হনুমান বৈদেহীর
খবর নিয়ে এসো। রাত ৩টের বিরহ।
আমি তাকে হিংস্র হতে
দেখেছি।
আমি তাকে অসহায় হতে
দেখেছি।
অভিমানে নিদ্রাহীন নিশায়
দেখেছি।
তাকে শিশুসারল্যে হাসতে
দেখেছি।
বেদনায় নীল হয়ে নির্বিকার
দেখেছি।
তারমধ্যে আমি বলিষ্ঠ
পুরুষ দেখেছি।
দেখেছি সারদারূপে -
দেখেছি ষোড়শীরূপে।
বানান ভুলে আর মন্দাক্রান্তা
ছন্দে সাবলীল দেখেছি।
শেক্সপীয়ার ও কালিদাস
কণ্ঠস্থ দেখেছি।
চরম সত্যবাদী তাকে তাসের
ঘর বাঁচাতে মিথ্যা
বলতে দেখেছি পতির গুণগান
কীর্তনে মিথ্যা স্তোকে
পৌরুষপূরণে ইগো স্যাটিসফায়িং
স্তোকে দেখেছি।
আমি তাকে কদাচ কামের
শিকার হতে দেখিনি।
সন্তানার্থ গীতোক্ত
কাম ছাড়া।
তাকেই বলতে শুনেছি নারী
পুরুষ অপেক্ষা সহস্রগুণে
যৌনতা আস্বাদন করে।
তার মধ্যে আমি অপূর্ণ
মাতৃত্বের তৃপ্তি পেয়েছি।
লক্ষ্মী তার প্রিয় নয়,
সরস্বতী ও পরমহংসী হবার
তীব্র চাহিদায় বাস্তব
বিচ্ছিন্ন হতে কদাপি দেখিনি।
শীতের রাতে বরফসম জলে
স্নান ও প্রবল অ্যাক্সিডেন্টের নীল আঘাতে নির্বিকার থেকে হিম না প্রয়োগ করার জেদে অটল
দেখেছি।
আসলে আমি একজন পুরুষকে
বিবাহ করেছি।
তাকে আমি দেখেছি চিনেছি বা মেপে নিইনি, এটুকু জেনেছি ঠাকুর তাকেই বেশি ভালবাসেন। কেননা সে আমার থেকে ঠাকুরকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
তবু আমি জেদ ধরেছি ঈশ্বর
ও আমার মধ্যে একজনকে বেছে নাও। মাছকে বলেছি বৃক্ষে ওঠো! যে এসব বলে সেই নাবালকের সঙ্গে
তার বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে এমত অপরাধে যেন জেল হয় এমত কান্না চাপা গলায় শুনেছি খেয়ে নিও
পেট ভরে!
তোমার সারল্যের আয়নায়
আমার জটিল মুখের প্রতিবিম্ব দেখে লজ্জা পাই! সে বলে, প্রায়ই। বারবার অ্যাডজাস্টমেন্টের
কারেকশন শুধু তার দিক থেকেই, আমাদের কোরিলেশন কোনোমতে সন্তত!
আমরা যেন বরাবর গ্রন্থে
সংকলিত হই।
আমরা যেন আজীবন বলি
– ভালবাসি।
বার বার বলি না হয় আমাদের
যা হয়েছে তাই হল।
বলি সত্যে রাখো – একটিই
তো প্রার্থনা
সর্বদা সত্য বলার অবিশ্বাস্য
চারিত্রিক শক্তি দাও।
তুমি আমায় চৈতন্য দাও
ঠাকুর, নির্বাসনা কর।
দিনে দিনে তুমি নিতেছ
আমাদের সে মহাদানেরও যোগ্য করে।
ভাবছো কি প্রভাবিত? এ এক ষড়যন্ত্র নাকি ঈশ্বারাকাঙ্খা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া? মরালিটির জন্য? আশ্চর্য! বলছো সব ঈশ্বরেচ্ছা, তবু তাতে সন্দেহ করছ? যদি যাবতীয় জীবন তার ইচ্ছায় না হতো তবে আমি এতদিনে নিরাশ্রয় জন পথ যার গেহ। আমি উন্মাদ। আমার আর চিন্তা কী? “যে সবসময় আমার চিন্তা করে তাকে আমি বহন করি,” বহাম্ অহম্।
#
#
#
ঈশ্বরে লিবিডো ক্ষয়ই
শক্তিসঞ্চয়। মানসিক শক্তি যদি নিরন্তর ঈশ্বরচিন্তায় ক্ষইয়ে দিতে পারো তবে তা দ্বিগুণ
বেগে ফেরৎ আসে। ঘড়ির কাঁটার মতো অবিরাম জপ করে যাই। মনকে কোনো একটি বিষয়ে বেঁধে রাখতে
বাধ্য করলে মনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। লিবিডো ওজঃ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। অবশ্য তারপর মনও
বিদ্রোহ করে। তাই তো স্বাধিষ্ঠানের চক্রে পশু সি মনস্টার! তোমার সাধনা গ্রাস করবে বলে!
#
#
- খিদে! জঘন্য রান্নায়
মাংস ছেড়ে উঠে যাওয়া খিদে!
- খিদে তাড়িয়ে তাড়িয়ে
উপভোগ করাও তো সম্ভব। ভাবি জীবনে এতগুলো যে দিন অতিবাহিত হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে দুই
তিনবার করে খিদে পেয়েছে। এবং অভিজ্ঞতা থেকে জানি খেলে খিদে সাময়িক মরে। সুতরাং খিদেই
সৎ, খাদ্য নয়। যা খেলেই চলে যায় তা তো অনিত্য – বাধ্য পোষ্য বানিয়ে ফেলো তাকে। খিদে
পেলে মন বড় সচেতন ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে এমত শৈশব থেকে জানি। খিদে পেটে থাকলে ভালো পড়াশুনা
করা যায়, অনাপনা ও বিপাশনা করা যায় ঘণ্টা ঘণ্টা। ধ্যান প্রাণায়াম সহজ হয় পেট না ভরে
থাকলে। মন সচেতন হয়। চাবুক হয়ে যায় মন খিদে পেলে। তাকে এসো ব্যবহার করি। মনকে সেই খিদে
অনুভূতিতে নিয়ে যাই, খিদে দেখি। খিদে দৃশ্য – আমি দ্রষ্টা। এই নশ্বর অন্নময়কোশ বাধা
এভাবেই অপসারিত করার নিয়ম।
খিদের সঙ্গে লড়াই করে
জগাই দাদা মলো! এবং বিবাহের সময় আমি প্রশ্নও করিনি তোমার বাবা রেলে কোন পোস্টে ছিল।
প্রশ্ন করিনি তুমি কি পিজি না প্লেন গ্যাজুয়েট পোস্টে! তোমাদের ২০০ বছরের পুরোনো বাড়ি
শুনে ভেবেছিলাম উত্তর কলকাতার কঙ্কাল! দেখলাম তা নয়। তবু ওর জিন ছৌ বংশের জিন! আমার
উদারতা ব্যবহার করছো না তো টিপিক্যাল ঘটির মতো!
আমি স্পষ্টত আমার থেকে
আমাকে আলাদা বলে দেখতে পাচ্ছি। যা পড়ে প্রথমেই বাল্যকালে তন্ত্রাভিলাসী নাকচ করেছিলাম।
আজ ভেবে ভাবি। একইরকম ভাবি যে কোনো বেদনার ক্ষেত্রে। যত বেশি বেদনা, তত বেশি স্পন্দন,
তত বেশি সহজ বেদনায় মনোনিবেশ করা। তখন ক্রমশ বেদনাবোধ কমতে থাকে যখন তুমি বেদনায় নেতিবাচক
প্রতিক্রিয়া না দিয়ে শুধু বেদনাকে দেখছ। বেদনা চলে যায়। বেদনা আর তুমি আলাদা। বেদনা
সাময়িক, তুমি অপেক্ষাকৃত বেশি পার্মানেন্ট। সুতরাং তখন তোমারই জিৎ হয়। বেদনা চলে যায়
ধীরে ধীরে।
- বাহঃ, আর কাম? ছৌ
বিরহে স্বমেহন? বাখতিনের কার্নিভাল করছি এখন পরকীয়া! মলয় আশীর্বাদ করুন।
- কামনা কোনো নারীকেই
বা পুরুষকে নয় শুধু। কামনা যেকোনো জাগতিক বস্তুকে চাওয়া। তোমার কোনো নারীকে দেখতে ইচ্ছে
করল; তোমার খিদে পেয়েছে আর বিকেলে ফুচকার দোকানের ঘণ্টা শুনলে … দুটি ক্ষেত্রেই তুমি
ফিরে তাকালে কামনার জন্য। এবার তবে কামনা একটি চিন্তা যার আধার লাগে। কোনো নারী বা
বস্তু। তারা আসে, যায়। কামনা নামক চিন্তার সঙ্গে সংযুক্ত হয়; প্রতিভাত হয় যে তুমি কাউকে
কামনা করছ; প্রকৃতপক্ষে তুমি ‘কাম’ নামক চিন্তার প্রকাশ করছ।
এত অবধি গেলেই স্পষ্টত
কাম নামক চিন্তা দৃশ্য – আর তুমি দ্রষ্টা হয়ে যাও। ব্যাস, কামনার চিন্তাকে তবে নিরীক্ষণ
করা যায়, তাকে স্পষ্ট নিজের সত্তার থেকে পৃথক করা যায়। কামের মোড় তবেই ঘুরিয়ে দেওয়া
যায়, কাম নামক বৃংহণটিকে লেলিয়ে দেওয়া যায় সদর্থকে।
অন্য উপায় সেবা। সকলকে
নিঃস্বার্থ সেবা। কারণ চিত্ত কামে কলুষিত। চিত্তে ছায়া পড়ে আত্মার, তাকে প্রত্যাগাত্মা
বলে। তাই চিত্তশুদ্ধি। উপায় সেবা। সেবা মনকে উদার করে। যদি জীবনে অতৃপ্তি এসে থাকে,
যদি আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে, দাঁড়াও পথিকবর, বলো মরব যখন অন্যের সেবা করতে করতে বিলিয়ে
যাব। নিজেকে দান করে যাবো পরার্থে, মরব ক্যান?
- আত্মহত্যা আদতে অসহায়তা।
তারই তো সেবা পাওয়ার দরকার।
- This is infinite
ocean of hatred off which I am a wave!
এই তো?
যদি বলি, You are
an infinite ocean of hatred off which your surroundings are only a wave! আগে নিজেকে
চেন রাম!
চাষ তো ঘৃণারও হয়, প্রেমেরও
হয়। তুমি যদি নিজেকে নিজে গ্রহণ করে নিতে পার তো আর অসহায়তা কীসের? বাস্তবিক তুমি বুদ্ধিহীন,
তুমি সূক্ষ্ম অনুভূতিহীন জড়প্রাবল্যে দিশেহারা বাস্তব আঘাতে, বেশ তো! তুমি কি কাউকে
দেখে কখনও হাসোনি? তুমি কি কখনও কাউকে অত্যাচার করনি? করেছো। সুযোগ পেলেই করেছ। তারাও
করছে। তাদেরও কেউ করছে। এ এক অন্তহীন সিঁড়ি। উপরে ও নিচে। কোথাও তো তোমাকে বাঁধ দিতে
হবে। তোমার স্বাভাবিক মুক্তিবোধ নিজেই সে বাঁধ একদিন দেবেই! তবেই সেই ভয়ঙ্কর ছুঁচোলো
মুখ বদখত সামুদ্রিক জীব আবার উপর দিকে উঠতে থাকবে। ততটাই দ্রুততায় যতটা বেগে সে নিচের
দিকে নামছিল। আর তুমিও তার নিয়ন্ত্রক হয়ে তার সওয়ার হয়ে উঠেছ!
মনই মনের মিত্র, মনই
মনের শত্রু। মন দিয়েই মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সবই মনের ব্যাপার, সবাই মন নামক বস্তুর
মানুষ। তবে মন খারাপ হয়, তুমি কাঁদো, মন ভালো হয়, ফুর্তি কর। আবার কখনও কখনও ভালো
– খারাপ কোনোটাই থাকে না মন। আনমনে চুপ করে থাকে।
সুতরাং এই মনের পরিবর্তনগুলো
আরো গভীরের মনটি উপলব্ধি করতে থাকে। সেই গভীর স্টোর চিত্তের-বুদ্ধির। তারা মনকে দেখে।
মন দৃশ্য – বুদ্ধি দ্রষ্টা। মনকে এভাবে আমার থেকে আলাদা করে ফেলি। খুব বেশি অ্যানাটমি
না জেনেই ছৌয়ের পথে চলে করে ফেলি। আমি এখন জানি না সেই পথ আমার কিনা! আপাতত আমি পথিক
দত্ত, আমার নিকনেমে আমাকেই উপহার দিয়ে থাকি পূজা সংখ্যা!
উপায়? একমাত্র প্রতিক্রিয়াহীনতা?
খিদে পেল, প্রতিক্রিয়াহীন অবলোকন। মন খারাপ হল, আনন্দ হল, প্রতিক্রিয়াহীন অবলোকন। একমাত্র
অবলোকন। এই মন্ত্র; ক্ষুধা, কাম, মন জয় করার। এই পন্থা নেতিবাচকতা উল্টে দেওয়ার।
কি পন্থা?
- অবলোকন। দ্রষ্টা।
আমি দ্রষ্টা – এই চিন্তা। অবিরত এই দর্শনেচ্ছা। নির্বিকারভাবে। এই হল মন্ত্র।
দুঃখ এসেছে, ভালো, আমার
মধ্যে দ্বেষভাবের সমূল বিনাশ করতে দুঃখ এসেছে। তাকে আমার কাজে লাগাবো। তাকে দেখব। এভাবে
দুঃখ এলেই কষ্ট পাওয়া, দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার ঝটপটানির দীর্ঘ সংস্কার থেকে মনকে মুক্ত
করব। দুঃখ, এসো; রোজ এসো, তোমার জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। তুমি অতিথি নারায়ণ দুঃখ
– ব্লেসড!
- কিন্তু আনন্দের ক্ষেত্রে?
আনন্দ এলে আনন্দিত না হওয়া দুঃখ পেলে দুঃখিত না হওয়ার থেকে অনেক কঠিন। আনন্দে আনন্দিত
না হওয়া প্রায় অসম্ভব।
- আনন্দে আনন্দিত হবে
না কেন? তুমি অমৃতের সন্তান, আনন্দ তোমার নিত্যস্বভাব! তুমি ঈশ্বরকে ডাকো, তোমার দুঃখে
দুঃখবোধ নেই, তবে তো শুধুই আনন্দ। ঈশ্বর কেমন? না ঈশ্বর আনন্দস্বরূপ! তবে কেন আনন্দ
করব না? অন্যকে কষ্ট না দিয়ে, বিদ্বেষ গলার্ধ করতে ভালো লাগে। দুঃখের ক্ষেত্রে নির্বিকার,
আনন্দ সাকাররূপে দেখি। এমতই ভাবি।
আর ভাবি, আনন্দ-দুঃখ
এসব কী? তিনি যে প্রতি মুহূর্তে আমাকে নিয়ে ভাবছেন, আমার যত্ন নিচ্ছেন, আমার অতীত-বর্তমান
বিচার করে দেখলে এ যে তব দয়া হায়, নিতে চাও বলে ফিরাও আমায় – বারবার তার আশীর্বাদে
ধন্য হয়েছি ধন্য গো – তিনিই আমার হয়ে যাবতীয় কর্ম করেন, আমার শত্রুদের আমার সম্মুখে
ধ্বংস করতে করতে যান, যেমত অর্জুন বলেছিল। আর কীসের শত্রু! যে আমার শত্রু তার মধ্যেও
কি অনন্ত চৈতন্য নেই? সেও কী মায়েরই সন্তান নয়? আমার শত্রু ও মিত্রে তোমার পদ্মহস্ত
সর্বদা আশীর্বাদ করছে।
আমি নিশ্চিত জানি কর্ম
ও ফল দড়ি দিয়ে তুমি আমাদের রঙ্গমঞ্চে সর্বদাই পুতুলনাচ নাচাচ্ছো।
কারণ মা, আমি কোনো কর্মই
করি না। তোমার ত্রিগুণ, অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী প্রবণতা, বুদ্ধি ও আবেগ ইত্যাদি অনুভূতি
প্রকৃতিস্বরূপ আমার মধ্যে ক্রিয়া করছে; আর আমি যন্ত্রবৎ কর্ম করে চলেছি। ঘোরের মধ্যে,
নেশাগ্রস্তের মতো আমি কাজ করি; আমরা কাজ করি, “ওরা কাজ করে,” ভূতগ্রস্তের মতো, ডায়নামোয়
কুয়াশার নীল ঘোড়ার মতো; হে মা, আমি সফল হই বা ব্যর্থ হই আমার জীবনে – তুমিই আমার মা,
তুমি আমাকে গ্রহণ করবেই, কারণ তুমি যে মারও মা, সত্যিকারের মা – ভগবতী!
যা কিছু এই মানব মস্তিষ্কের… যাবতীয়
মেধাচর্চার বিষয়গুলি তত্ত্বায়িত হয়েছে। দৈনন্দিনের হাল্কা চুটকিগুলিও বাদ পড়েনি। গু-গোবর
মিথেন মন্তাজ সর্বত্র তত্ত্ব। তথ্য। সত্য। তাই সুন্দর।
যেমন সেইসব বিদ্যা-বিষয়ের
তত্ত্ব লাগে – তত্ত্বেরও লাগে ফলিত – সরীসৃপের অণ্ডের মতো বহুসাংখ্যিক উৎপাদিত হচ্ছে
বিষয় আর তার সঙ্গে তার তত্ত্ব। ততোধিক পরিমাণে। তাই তত্ত্ব-বাস্তব একাকার। একটি ছাড়া
অন্যটি খপুষ্পী।
দেখো তবু সর্বাঙ্গীন
কোনো তত্ত্ব নেই। সেরকম কোনো তত্ত্ব যা সংজ্ঞায়িত করে সর্ব বিদ্যা–সর্ববিষয়-পূর্ণ
প্রকৃতি-পূর্ণব্রহ্ম-এমনকী সচিদানন্দের কোনো একটিই তত্ত্ব নেই – বেদান্ত থেকে বেরোলো
তিন তত্ত্ব – শঙ্কর – Non-dual/ অদ্বৈতবাদ, রামানুজ – বিশিষ্ট অদ্বৈতবাদ, মধ্বাচার্য্য
– dual/দ্বৈত ভক্তিবাদ – ঈশ্বর ও ভক্ত – তিনটি তত্ত্ব – আকর একটি – উপনিষদ। কখনও অনেকান্ত,
কখনও Open Opening – বহু শুরুয়াৎ - কখনও ‘না’ কে লিখে চলা – বুদ্ধ কখনও উত্তর দেন
না – void – শূন্য – শূন্যকে আঁকতে পারো? শূন্যকে দেখতে পারো -? শেষপর্যন্ত একটি তত্ত্ব
বুদ্ধদেবও দেন।
TRY NOTHING
TRY TO UNDERSTAND
NOTHING
TRY TO EXPERIENCE
NOTHING
BE NOTHING
and don’t Pretend
to write anything
as if you are
writing a masked you
You are your
business
MONO-MYTH
তবু সার্বজনীন ও সর্বসম্মতিক্রমিক
কোনো তত্ত্ব নেই বলে আমাদের ভারী সুবিধা।
আমি ভাত খাই
বলা যায়
আমি খাই ভাত
ও বলা যায়!
আমি লাফিয়ে পড়ি সময়ে
– বহু বহু দীর্ঘ সময়সারণী
মন্বন্তর বলে – ‘বলো
তো কয় বছরে আমি হই?’
- শয়ে শয়ে মন্বন্তর
– নতুন মনু – নতুন সৃষ্টি – নতুন ধ্বংস – ভারতীয় সৃষ্টি পুরাকথা।
হাজার হাজার চরিত্র
– হাজার হাজার কাহিনী – উপকথা – বক্রগতি – স্পাইরাল – কখন পুতি কখন ঠাকুরদা – যেন কোয়ান্টাম
গতি – এই তো মহাকাব্য – রস – পঞ্চ – মিশ্র অবিমিশ্র স্বধর্মসংজ্ঞা – অবতার – নায়ক মিথ
– সৃষ্টিরহস্য মিথ – উর্বরতা মিথ – প্লাবন মিথ – ধর্মের ইতিহাস – জাতপাতের সাতকাহন
– সাহিত্য – ভাস্কর্য – চিত্র – সঙ্গীত – মিথের কোনো একটি তত্ত্ব নেই – কোনো তত্ত্বই
মিথকে সম্পূর্ণত ধারণ করতে পারে না। She is too sexy for you, মিথ হাত মে না আয়ি!
#
#
#
অস্ত্র দুপ্রকার। এক দীর্ঘ, যেমন বন্দুক, তরোয়াল, বর্শা, লাঠি।
আর গোলাকার। বোম, পাথর,
ঢাল, ইত্যাদি।
সভ্যতা এখনো পুংলিঙ্গ
ও স্ত্রীলিঙ্গেই আবদ্ধ। তার বেশি ভাবতে পারে না। ইলেকট্রিক যন্ত্রগুলো দেখো। মেল আর
ফিমেল সকেট।
আমায় অর্জুন বলেছিল,
আর অনুপ্রবন্ধ বানাস না। প্রবন্ধটাকে অন্তত ছেড়ে দে। আমি Whatsapp Status বেছে নিলাম,
ডায়েরি করলাম only share with me facebook wall। আমার মেয়ে জন্মেছে ১৩.১২.২৩ তারিখে।
তুলা রাশি, মকর লগ্ন। আমারই মতো। দেখতেও যেন ছোট্ট বুলটাই। চাঞ্চল্য আমার থেকেও বেশি।
কুষ্ঠিতে লিখেছে অসম্ভব মেধাবী ও মানসিক রোগী হবে। আমি কুষ্ঠী ছিঁড়ে ফেলেছি। ভাবলাম
মেয়েটা তো নর্মাল জন্মেছে। অটিস্টিক হলে আমরা কি কুষ্ঠি নিয়ে মাথা ঘামাতাম? ওর একটি
ডাকনাম মোহর। চন্দ্রবিন্দু শুনে মা ডাকে সোনামন বলে। চন্দ্রবিন্দুর শ্রেষ্ঠ গান।
আমি বলি মোহরদি একটা
গান গাও তো! মেয়েটি স্যাডিস্ট তৈরি হচ্ছে। ১৫ মাস বয়স থেকে চোখ মারতে পারে। এমনভাবে
২০ সেকেণ্ডে চোখ ঘোরাবে তাতে ২০ হাজার এক্সপ্রেশন। বুদ্ধিমান হচ্ছে খুব। মনে হয় কুবুদ্ধি।
(ক্রমশ)
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন