কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


কালখন্ড ১

জানালার কাঁচ ভেঙে ঢুকে পড়েছে দলা পাকানো তুফান

একটা ক্রূর অবস্থান  জনগণের অস্তিত্বকে পায়ে মাড়িয়ে চূড়ায় উঠছে

আর সিসিফাসের হতাশ চিৎকার ঘুরছে পাহাড়ে পাহাড়ে।

বাতিল ভ্রমণ থেকে উড়ে আসছে পাতা পোড়ার গন্ধের মতো উদাসী মেসেজ।

তুফান মথিত আমরা বাস্তুদোষ শুনছি

আর নিরীহ

উপকারী গাছকে চিন্হিত করছি অমঙ্গল বলে

খবরের ছদ্মবেশে অন্ধকার বিস্তৃত হচ্ছে

অন্ধকার মন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাদা সবুজ লাল

আমাদের ঘাড় জোর করে ঘোরানো হচ্ছে শাঁখ ঘন্টা

আর তেত্রিশ কোটির দিকে।

হিজাব টুপি জোব্বা লাল তিলক আর

হলুদ ফোঁটায় ফোঁস ফোঁস করছে দু:সময়।

 

কালখন্ড ২

স্বপ্নের ভেতর পুরনো চিঠির ঝাঁপি খুলে যাচ্ছে

পাইন বনের হাওয়া আর বরফ কুচির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ছি। 

কতদিন পর আবার জাগব আর ফিরব

নন্দিত গরাদে, সে সব ভাবনাকে খাদে ঠেলে দিয়েছি।

রোজ কড়কড় করে খুলি কাটার আওয়াজটা তবুও থামছে না...

'এবার ম্যানিফেস্ট করুন, ভাবুন ভাল আছেন,

আটষট্টি  দিন ধরে ভাবুন ভাল আছেন

ভাবুন সব পেয়ে গেছেন, গ্লাসের জলকে বলুন...'

(এই বিরক্তিকর পডকাস্টটা বন্ধ কর কেউ)

সব চেয়ে সুবাসিত চিঠিটা খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে গেছি,

তলিয়ে গেছি অনেক গভীরে

কী আঁকড়ে ধরব এখন? 

 

কালখন্ড ৩

এখানে দিগন্তরেখা বলে কিছু নেই

ঘোলা স্রোতের মতো দেখায় দূর থেকে,

অথচ ছায়া পড়ে থাকে এক অনন্ত স্বপ্নপথে।

এরকমও হয়

রাস্তা জুড়ে আয়নার ভাঙা ভাঙা কাচ

কাটা ঠোঁট কাটা ভুরু আর খন্ড খন্ড দিন।

সামনের ভাঙা সেতু আর উন্মুখর নদী

শুধু আগে আগে চলে, ভুলে যাই

কবে শুনেছিলাম শিশুদের খিল খিল

আর কিশোরীর প্রথম প্রেমের গান

এই সময় কি আমার আপনজন হতে পারে?

আমি কি তবে ছায়াটিকে ফেলে রেখে যাব?

যে সময় ছায়ার থেকেও বেশি সংলগ্ন তাকেও?


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন