কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বর্ণশ্রী বকসী

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


রাশিফল

প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার রেখা পথ এঁকে যায়

আমরা সকলে ব্যথা গুণে যাই বেবাগী মনে -

কিছুটা স্বপ্ন বুনে চারাগাছের জন্য অপেক্ষায়

কখন ফুটবে পাতা নিঝুম পৃথিবীর নেশাতুরতায়!

 

ছুটে চলা মহাবিশ্বের গ্রহ তারা সম্বল শুধু ভাগ্যের

নিরালম্ব সাধনার কৌপীন রঙে ত্যাগের ভজনা,

এখনও চলে রাশিফল দেখা, তুকতাক আরও

গভীরে, অন্ধসংস্কার  ছাপ ফেলে না -

 

মোহনা থেকে দূরত্ব রচিত হয় মর্মের সীমাজুড়ে

অন্বিত ইষ্ট খোঁজে বহুদূর চিহ্নিত পরিসরে-

তবুও ভাগ্যান্বেষণ চলে প্লাবনের দিনে

কচি পত্রিকার থেকে ভেসে আসে সুরেলা নির্ঝর।

 

ভেসে যাওয়া

বাদল ফেটে গিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সবকিছুই

ঘর-বাড়ি, ছেঁড়াকানি ছোট বড় সুখ ওই যায়

দূরে যায় বিতস্তার জলে! স্বপ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বৈরাগ্য

ঘোলা পানী পাহাড়ের বুক থেকে উঠে আসা ব্যথা

 

সকলের মন খারাপ, প্রিয়জনের হারানো স্মৃতি-

গাছেদের শিকর উপড়ে আনা বাস্তুহারা হাহাকার,

শূন্যের মাঝখানে হ্লাদিনী শক্তির মায়াময় আবহ

সন্ধ্যার ঝিল্লিমুখর নিসর্গের কান্নার শব্দ চারিদিকে

 

নবদম্পতির অমোঘ ভাগ্যের বিধানে ভেঙে পড়া

বাড়ির নিচে চাপা আর্তনাদ, মৃত্যুর মিছিলে ঝড়

যেদিকে তাকানো যায় ধূলিসাৎ প্রকৃতির ছাপ-

 

যাপন

টুকরো টুকরো কোলাহল দিয়ে জীবন সংগীত

চন্দনী রাইতের মায়া জাগানিয়া দিন দ্রুত শেষ,

অসীম গোল্লাবোধ আচ্ছন্ন করে মস্তিষ্কের কোষ

বড় তাড়াতাড়ি সমাপ্তি বিন্দু স্পর্শ করে মন...

 

গ্রামের রাস্তার ধূলা উড়ে যায় ক্ষেত হয়ে সব্জিমণ্ডি

বাচ্চাদের খেলা বন্ধ হয়ে মোবাইল হাতে হাতে-

স্বপ্ন দেখে না কেউ ভাঙা ঘরে রিলসের গতিবেগ!

এখনও রাতের আকাশ থেকে তারাখসা ঝরে যায়

 

যাপনের চিত্র পরিচালকের ক্যামেরা আঁকে রোজ

এভাবেই প্রতিনিয়ত বহমান রূপ ধারণ প্রাণের

আলাদীনের প্রদীপ ঘষে পরাজিত মানুষের ঢল।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন