কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


কথকতা

অপরের সঙ্গে যে। সুতরাং অপর বসতি করিল। কতো আলো!

একে অপরকে আকাশ এবং বাজিতে থাকিল ছায়া।

এক অভূত আর্শি। এক একা লণ্ঠন।
রেলগাড়িতে তাহার কোন স্পৃহা নাই।

এপিটাফ লেখা হয়। কাহার! আলোর?
কে বলে অপরের কথা! অব্যয় সমতুল্য।

ভাসিতে ভাসিতে কতদূরে যায়!
সবুজ হইতে ক্রমে রক্তে! বৃষ্টিতে।

ছায়া থাকিয়া যায়। এক অনির্বচনীয় কথকতা!

সহস্র কণ্ঠে বাজিতে থাকে অপরূপ এক গল্প।

তাহাতে ক্রমে আসিয়া বসে

একা ঘর, একা কাশফুল, একা পলায়ন।

 

খেলা যখন

আয়োজন এবং কৃষ্ণচূড়া। সাধ হইল, একাধারে দেখিব,

হোমানলের আলোয়।

ভুল হইবে? কত তো কত ভাবে পথে রাখিয়াছে ছায়া!

আমি কেবল অনন্ত এক সরীসৃপ, কিছু ব্যথা

এবং এই জন্মকে রাখিব। অধিক কিছু নহে,

চর্যাপদের শোকের সহিত গত দিনের মনিদিকে রাখিব।

একা ছাদের কোনায় নরমের সহিত কঠিন আঁকিব।

তেঁতুলপাতার ওপারে লাল এবং শ্রম একটা একটা রাখিয়া যাইব।

অধুনান্তিক বিকাল যোগ করিব না। কেবল সেই যে পথ,

ভাঙাচোরা, তৎপর, অন্ধত্ব, সবটুকু রাখিতে রাখিতে

সন্ধ্যা আসিবে। আমি দেখিব। অতিরিক্ত হইবে এই সামান্যে!

 

নিরপেক্ষ

আমি দেখিয়াছি। হাস্যকর। কে দেখিয়াছে!

আমি। সে কোন অবতলে? ঈষৎ বিকাল। মধুময়।

হলুদ পুষ্প হইতে দ্বিধাপূর্ণ জল। আমি দেখিয়াছি।

পাগলে তো পূর্ণ ছিল দ্বিতল। ক্ষুধা তাহাকে,

তাহাদের আচ্ছন্ন করিয়াছে। আমাকেও। এইরূপ হইবে?

এই ক্রিয়াপদের একাল সেকাল! কিন্তু ওই আর্তনাদ নিরপেক্ষ।

আমি দুইটি সুপক্ক লোভ দেখিতেছিলাম। তোমাকেও।

তোমার ওই শুভ্র সম্ভাবনা। আহ্বান।

আঁচলে কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না।  সিঁড়ি ছিল।

উঠিতেছিলাম। আমি। অপরাহ্ন আসিয়া দুয়ারে। কী অপূর্ব কায়া!


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন