![]() |
সমকালীন ছোটগল্প |
কুয়াশা
সত্তরের দশকের শেষভাগ। রাজধানী থেকে বহুদূরে। মফস্বল শহর। যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে আধভাঙা সড়ক, সারাদিনে চারটে কয়লা ইঞ্জিনের ট্রেন। অথচ একসময়ে খুব রমরমা ছিল এ অঞ্চলের।
ঘড়িতে ৯-১০। মাঘের শুরু। প্রচন্ড শীত। সকাল ন'টার পরেও রাস্তা প্রায় ফাঁকা। দু চারটে লোক, একটা-দুটো সাইকেল। কারোরই কোন তাড়া
নেই। যেতে হয়, তাই যেন যাচ্ছে। কুয়াশা চারপাশে
স্থির। ব্রিটিশ আমলের গাছগুলো চুপচাপ।
কুয়াশার জলে ভারি হয়ে আছে পাতা। নতমুখ। কয়েকটা শালিখ নেমে এসেছে
পথে।
একটা চায়ের দোকান। আধভাঙা
পিচরাস্তার পাশেই। সামনে একটা কয়লার উনুন। উপরে সস্প্যান জাতীয় একটা পাত্র। দুধ
ফুটছে। তার সামনে একটা লুঙ্গিপড়া লোক। সুরেন। একটু তফাতে, সামনেই দুটো কাঠের নড়বড়ে বেঞ্চ। চালার ভিতরে সামান্য আড়ালে
একটা লম্বা বেঞ্চ, সামনে তেমনই ইঁট ঠেক্না দেওয়া খোঁড়া ভাঙা হাইবেঞ্চ একটা।
ভিতরের হাইবেঞ্চকে সামনে নিয়ে একজন। হাট্টাগোট্টা প্রায় প্রৌঢ়। বিরিঞ্চি। এই নামেই ওকে সবাই চেনে। নীল চেক ফতুয়া আর লুঙ্গির মতো ধুতি। হাতে
আধপোড়া বিড়ি। বসেই আছে, চুপচাপ। একটু যেন বিরক্ত। কিছু একটা ভাবছে।
একটা ছেলে, বছর তিরিশেক হবে, এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে
হাঁটছে। যেন কিছু খুঁজছে। এখনো চায়ের দোকান তেমন খোলেনি। যেতে যেতে বাঁ দিকে
তাকাল। সুরেনের দোকানের দিকে চোখ পড়তেই কী দেখলো, কী ভাবলো, কে জানে! ঢুকে পড়লো।
প্যান্ট-শার্ট আধময়লা। উস্কোখুস্কো চুল। মনে হচ্ছে, বহুদিন পর এ শহরে সে এসেছে।
-বসুন। চা দেবো তো? সঙ্গে কিছু? বাখড়খানি?
সুরেন গ্লাস ধুতে ধুতে মুখ না তুলেই বললো।
-দিন। কিন্তু কী যেন বললেন নামটা?
সুরেন এবার ওর দিকে তাকিয়েই বললো, বাখড়খানি।
-নোনতা?
-না। মিষ্টি, তবে কম। খান, ভালো লাগবে।
-তাই দিন তবে।
বাইরের বেঞ্চেই বসছিলো যুবক।
-ভিতরে বসুন। হাইবেঞ্চ আছে। সুরেন বললো।
বিরিঞ্চি একটু সরে বসলো। ছেলেটি ওর পাশেই বসলো।
বেঞ্চে এখন দুটো মানুষ। সামনের একটা প্লেটে এক বিচিত্র খাদ্য। দু টুকরো করে সেঁকা পাঁউরুটি, তার মধ্যে ঝাল চানাচুরের মতো কিছু।
-নমস্কার।
ছেলেটি বললো।
-ও হ্যাঁ। নমস্কার। তা কোত্থেকে আসা হচ্ছে?
নতুন মানুষ দেখে বিরিঞ্চিই প্রশ্নটা করলো।
ছেলেটা বসার জায়গাটা দেখছিল। যেন জরিপ করছিল। পিছনে
একটা দরমার বেড়া দেওয়া দরজা। তার পরেই হাইড্রেন।
-আমাকে বলছেন!
-হ্যাঁ, আর তো কেউ নেই।
-কলকাতা থেকে।
-রাতের ট্রেনে?
-হ্যাঁ। কেন বলুন তো!
-না এমনি। এতো সকালে, তাও আবার এই ঠান্ডার মধ্যে। তাই
আর কি। কিছু মনে করলেন নাকি?
-না না।
-বেশ। তা, কী নাম জানতে পারি?
বিরিঞ্চি ওর জাতধর্ম বুঝতে চাইলো। এমনিতে তো আজকাল
বোঝা যায় না!
ছেলেটা কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকলো বিরিঞ্চির দিকে। কী
তীব্র চাহনি! ক্রমে চোখে যেন একটা কৌতুক।
-তমোনাশ অধিকারী।
বিরিঞ্চির যা বোঝার, যেন বোঝা হয়েছে।
-এখানে কোথায়? কারো বাড়িতে?
-না। সেল্সের কাজে।
-কিন্তু ব্যাগপত্তর? সে সব তো কিছু দেখছি না!
-স্টেশনের ক্লোকরুমে রেখে এসেছি। আজকেই তো চলে যাবো।
-কিসের সেল্সের ব্যবসা?
-জেনারেটার?
-ওঃ!
বিরিঞ্চি ঠান্ডা পাঁউরুটিতে একটা কামড় বসালো।
চানাচুরটা জবরদস্ত ঝাল।
-আমি কিন্তু আপনাকে জানি।
-আমাকে!
বিরিঞ্চি হতবাক। হাতের আধখাওয়া পাঁউঁরুটি হাতেই।
-কোম্পানি থেকে বলে দিয়েছিল। আপনার কথা ওরা জানে। এই
শহরের কিছু মানুষের কথাও।
-যেমন?
- যেমন অনুপ লাল, পাঁচু পোদ্দার, ধীরেন চৌধুরী।
-ওরে, এখানে আজ চা-ই দে। দুটো দিস।
বিরিঞ্চি হাঁক দিলো। তাহলে আজকাল অতদূরেও ওর
কাজকম্মের কথা, ওর পয়সার কথা পৌঁছে গেছে!
সুরেন দুটো বড়ো মাটির ভাড়ে ধোঁয়াওঠা চা রেখে গেল।
-এরকম খাবার কী প্রায়ই খান?
-মাঝে মধ্যে মুড়ি ঘুগনি। তবে কিছু না কিছু রোজ। সঙ্গে বাংলা। আজ আপনি আছেন, তাই চা।
- এই সকালে!
-তো! না হলে এই ঠান্ডা কাটবে কীভাবে!
আশ্চর্য তো!
- না। মানে, রোজ?
-হ্যাঁ। অসুবিধে কোথায়! গরমকালে অবশ্য
এটা একটু বদলে যায়। তখন দুপুর কিংবা রাত্রে।
ছেলেটাকে কেমন যেন ভালো লাগতে শুরু করেছে বিরিঞ্চির। চোখদুটো খুব মায়াবী। মুখের আদলটাও সুন্দর। বড়ো ঘরের ছেলে বলেই মনে হচ্ছে। ওর মতো খ্যাস্টামার্কা নয়।
-কী করেন আপনি? মানে সোর্স অফ ইনকামটা কী?
ছেলেটা কথা চালিয়ে যেতে চাইল।
-সে কী! আমার কাছে এসেছেন আর আমার কিছু খবরটবর নেননি! আপনি তো
অবাক করলেন মশাই! যাক গে। শুনুন! কম বয়সে যা শুরু করেছিলাম, এখনো তাই-ই করি। টানা মালের
ব্যবসা। সঙ্গে দুটো ট্রাক, একটা ট্র্যাকটার আর দুটো বাস, লাইনের। একটা কাজিনগর আপডাউন করে, আরেকটা মুন্সীরগঞ্জ।
-আর কিছু?
- আর সামান্য কিছু সুদের কারবার।
- কেমন হয়?
- অত বলতে পারবো না। আর আপনার অতসব শুনেই বা কী হবে! একটা পেট। অবশ্য বাপ-মা মরা দুটো ভাইঝি আছে। চলে যায়
আর কী! মানে ভালোই বলতে পারেন।
- বিয়েসাদি করেননি!
-ধুর মশাই। ও সব চক্করে আর যাওয়া হল
কই।
-কেন! পছন্দ হয়নি?
-তা নয়, মশাই। একঘেয়ে জিনিস আমার পোষাবে
না।
-আর কিছু নেশা?
-সবই তো চেখেছি মশাই। তবে দেখলাম, ধোঁয়ার নেশা আমার জন্য না। এখন সকাল রাত তো দেশি বিদেশিতেই
ভালো চলে যাচ্ছে।
-আর চা দেব দু’কাপ?
সুরেন এসে দাঁড়িয়েছে।
-দে। ঠান্ডা যেন আজ কাটছেই না। কী, খাবেন তো?
-হোক।
বেলা যতো গড়াচ্ছে, কুয়াশা যেন আরও ঘন হয়ে আসছে।
একটু বাংলার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু। আজ রাত্রে আবার
মল্লিকা আসবে। ঘরে অবশ্য বিলিতি আছে। এই ছেলেটার জন্য সব গোলেমালে তালগোল হয়ে গেল।
বিরিঞ্চির কীরকম বিরক্ত লাগছিল।
-শরীর কেমন? তারও তো একটা
চাহিদা আছে! বয়স তো ভালোই হ'ল।
-অ্যাঁ! কিছু বললেন?
বিরিঞ্চির সামনের রাস্তা দিয়ে ওরই ট্র্যাকটারটা চলে
গেল। পশ্চিম থেকে পূবে। মাটি ভর্তি। শাল্লা মঞ্জু তো এই ট্রিপের কথা ওকে জানায়নি!
মেজাজটা তেতো হয়ে গেল। যতোই দাও, বাঞ্চোত চুরি করবেই। আজ ওর হবে। আসুক সন্ধ্যায়।
-না, তেমন কিছু না। জিজ্ঞেস করছি, শরীরপত্তর কেমন? একা মানুষ। চমৎকার স্বাস্থ্য। শরীরেরও তো একটা
চাহিদা আছে? তাই আর কী!
-বেশ করেছেন জিজ্ঞেস করে। তা চলছে। মাসে এখনো অন্তত দু'বার।
-দু'বার! এই পঞ্চাশ পেরিয়েও! তা কোথায়?
-বাড়িতেই! কোথায় আর যাবো! রাত প্রতি ৪০০/-। মিটে যায়
ঝামেলা। তবে মশাই, ওই টুপিফুপিতে আমার পোষায় না।
-বাড়িতে! অসুবিধে হয় না? এই যে বললেন, ভাইঝিরা আছে?
-ওদের সব আলাদা ঘর করে দিয়েছি। লেখাপড়ায় ভালো। একই
ক্লাশে। নাইন হল। কয়েকজন দিদিমনি রেখে দিয়েছি। একজন আয়ামাসি গোছের আছে। সন্ধ্যের
পর আর দেখাসাক্ষাৎ হয় না। বলে দিয়েছি।
-আর আপনার?
-রান্নার লোক আছে। ঠিকে। চলে তো যাচ্ছে এভাবেই।
-ও। চমৎকার ব্যবস্থা করেছেন তো! ভালোই তো আছেন দেখছি।
তা শেষ কবে? কোথাকার? কে আনে?
-সে আছে লোক। ১০০/- করে দিয়ে দিই।
-পাওয়া যায়!
-খুব। মফস্বল হলে কী হবে, মানুষ তো অনেক। তাদের দুবেলা
ভাতের জোগাড় কি আর সহজে হয়! তা লাগবে নাকি
আপনার?
-না। তা শেষটা? কোথাকার? কবে?
-ও মশাই। আপনি তো আমার হাঁড়ির
খবর না নিয়ে ছাড়বেন না দেখছি! তা হলে শুনুন। আপাতত এখনকারটা হচ্ছে ওই গোস্বামী বাড়ির। স্বামীটা কয়েক বছর হ'ল কী সব রাজনীতি
ফাজনীতির চক্করে খুন করে জেলে। বিয়ের বছর না পুরতেই। ছেলেটা কিন্তু বেশ শিক্ষিত ছিল, জানেন! চাকরি পায়নি, তবে ইংরেজির ছাত্র ছিল তো! শুনেছি,
টিউশ্যনি থেকেই ভালো রোজগার হত।
চোখদুটো কি ছেলেটার একটু জ্বলে উঠলো! চোয়াল একটু
শক্ত!
-চাকরিবাকরি করতো না, আর বিয়ে করে ফেললো!
-আরে মশাই, ওই প্রেমভালোবাসার ব্যাপার আর কী! ওর
কাছেই মেয়েটা নাকি অনেকদিন ধরে টিউশ্যনি পড়তো। সেখান থেকেই। তারপরেও যে কীভাবে এই
খুনজখমের রাজনীতিতে...!
-আপনি এতোসব জানলেন কীভাবে!
-আরে মশাই, আমি আর কোত্থেকে জানবো! ওই মল্লিকাই
বলেছিল। বড়ো নরমসরম মেয়েটা। সব কথাই তো বলে। ওর বুড়ো
শ্বশুরশাশুড়ি, তার উপরে একটা বোবা ননদ। পেট তো চালাতে হবে না কী?
-হ্যাঁ হ্যাঁ। সে তো ঠিকই। তা ছেলেটা
যে দল করতো, তারা কিছু দেয় না?
-ওরা আবার দেবে! বলছেন কী মশাই! ওদেরকে কি আপনি সাদা চোখে দেখতে পাবেন! তারপর ওরা
আবার কীসব শপথটপথ নিয়েই এইসব দলে আসে। শুনেছি নাকি, দীক্ষিত হয়। আরো
শুনেছি, ওরা সবাই প্রায় নিম্নবিত্ত ঘর থেকে আসা। এরপর আবার দেওয়া! হুঃ!
-বাঃ! আপনি তো দেখছি অনেক কিছুই জানেন ওদের ব্যাপারে!
-তা একটু আধটু। কিন্তু একি! আমার তো খাওয়া হয়ে গেল। আপনি তো মশাই এখনো হাত-ই দিলেন না! বাখড়খানিটা অন্তত খেয়ে নিন!
-ন্না। আপনি খেয়ে নিন। অ্যাতো খেতে পারেন,
শেষটুকুও পারবেন। আজ উঠছি।
কিছু কিছু অঙ্ক মিলে যায়। কিছু কোনদিনই মেলে না। আপাত সুস্থির জীবনে কেন ‘রেড বুক’, রাতের গোপন মিটিং, কেন ব্যক্তিহত্যা, শ্রেণীশত্রু কীভাবে খতম, ঠিক কার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ, হঠাৎ হঠাৎ কিছু ছেলেমেয়ে কীভাবে হারিয়ে যায়, কেন জেলখানার পাগলাঘন্টি, উন্মত্ত লাঠি আর হিংস্র বেয়নেটের খোঁচা হঠাৎ একদিন সকালে, কেন সারা শহরে কার্ফু, কেন কেবল ছুটে চলা অ্যামবুলেন্সের হুটার - সে অঙ্ক আজও মেলেনি। কেন সে বুড়ো বাপ-মা-বোন আর মল্লিকাকে ফেলে চলে গেল লাল সূর্যওঠা ভোরের খোঁজে, কোথায় হারিয়ে গেল সেই নতুনের স্বপ্নদেখা সব দিন, সহযোদ্ধারা সব কোথায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল, সে উত্তর হয়তো কোনদিনই আর পাবে না ও। কিন্তু এই লোকগুলো তো রয়েই গেল! থেকেই গেল বুড়ো বাপ-মা-বোন আর মল্লিকা-র প্রতিদিন বেঁচে থাকার অসম্ভব এক লড়াই আর এইসব জোঁকগুলো! আজ মনে হয় ‘বুর্জোয়া’ শব্দটা অনেক বড়ো, অনেক বিস্তৃত। তার ভাবনার বাইরে। এমন কি তার ঘরের দুয়ার পর্যন্ত। পার্টি করতে গিয়ে অনেক প্রত্যন্ত গ্রামজঙ্গলে ঘুরতে হয়েছে ওকে। জেনেছে, আদিবাসীদের দুমুঠো খাবারের জন্য কী অমানুষিক পরিশ্রম আর তাদেরই অরণ্যের অধিকার রাতারাতি হারিয়ে যাওয়া, মানবাধিকার কী বিচিত্র শব্দ আর দেখেছে শহুরে মানুষের তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে মৃত্যুভয়। দেখেছে, ওইসব কাগজকলমের বাইরে থেকে কী ভাবে হাতে গোনা কিছু লোভী মানুষের চক্রান্তে উচ্ছেদ হয়ে যায় আদিবাসীদের সামান্য বসতি, আহারের সামান্য সংস্থান। ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটার কী অফুরন্ত শক্তি! তবু এমন হয়েই চলে কীভাবে, কোন শক্তিতে, সে অঙ্ক আর মিললো না। আজ কুয়াশাভেজা সকালে এই এক অঙ্ক অন্তত তার জীবনে তেমনই বোধহয় না মিললেই ভালো হ’ত। কীভাবে বাঁচাবে প্রতিদিনের খিদে থেকে তার বুড়ো বাপ-মা-বোন আর মল্লিকাকে, আজ আর সে জানে না। হাউন্ডের মতো পুলিস তার খোঁজে।
কুয়াশার অন্ধকার যেন নেমে এসেছে আরও নিচে। কার কাছে সে আজ ক্ষমা চাইবে! ওর জন্য তো অপেক্ষা করে আছে এক সুনিপুণ এনকাউন্টার। গভীর এক শূন্যতা নিয়ে উঠে দাঁড়ালো সে। কোমরের পিছনে হাত রাখলো।
-কী হ'ল মশাই! কোমর লেগে গ্যালো নাকি! ধুর
মশাই। আপনাকে দেখে হাসি পাচ্ছে।
বিরিঞ্চি এবার সত্যিই হেসে ফেললো।
তমোনাশ নামের ছেলেটা যখন দোকান থেকে বেরোলো, চারদিকে হৈচৈ! সুরেনের সস্প্যান উল্টে উনুনে। শব্দটার কারণ কেউ কিছু বুঝতে পারছে না। বিরিঞ্চি বেঞ্চের নিচে। চোখদুটো বিস্মিত, খোলা। তার উপরে চারপাশে কালো দাগ নিয়ে গোল একটা ফুটো। খুব ক্লোজ রেঞ্জের থেকে
তো। রক্ত খুব ধীরে গড়িয়ে ক্রমে পিছনের ড্রেনের দিকে।
সূর্য আজ আর উঠবে বলে মনে হচ্ছে না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন