![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৭ |
পাখির চাতাল
(১)
একফোঁটা গড়িয়ে
রাত্রিগুঁড়ো
ঝরো ঝরো
ভোর ছুঁয়ে
না ছুঁয়েও
একহাতের ঢেউ
খেলতে খেলতে
ঘরের কথা।
বলতে চারঘাট
ঘাটের নামতায়
কিছুটা কমিয়ে
নদী নদী
ওহো নদী
কে ডুবছে!
দেখার উপর
বাষট্টি
চাঁদ
নোয়ায় ভেসে
ভেসে ভেসে
তিনপুরুষের
চুল্লিতে যায়
বিনম্র…
আলপনাদের ইচ্ছেকপাল
জীবন আঁকতে
উলু উলু
ভাপে
গন্ধে
যেটুকু
রঙ
তারই উপর
দুপরতের
সন্ধ্যা খোলা।
অন্ধকারের
ওম জাগিয়ে
সাদাপাতার
লজ্জাভরণ
কেউ কি এলো!
দেখা হয় ফিরে
নাফিরেও
কখনও কখনও
নিজের
মুখকে
আয়না কি সব
সত্যি বলে!
তারও চরণ
অষ্টপবন
আকাশ এখন
দুঃখমেঘের
উপোস ঘেরা…
(৩)
গোলোকের ওম ধরে জাদুকর উঠছে
উঠতে উঠতে
উড়তে উড়তে
আবার
নেমে
ঠিক নেমে নয়
কী যেন
এক ছায়ার গভীর
অথবা
মনে হয় বিভ্রমের আঁচ।
তুম না নায় দশঘরের নামতা ভেঙে
পূর্ণপরি তারার উশখুশ
ভেঙে ভেঙে নেই কথার বুঝ
লোনা ব্যথায় জ্বলছে আর নিভছে।
বেদনার অদৃশ্যে কাটা পড়া পাখির স্বর
আর অজস্র গানময়ী কান্নার ভেতর
গলে গলে পড়ে পাখির চাতাল।
একটা শোকসভার কথাও হয়
প্রকাশ্যের আড়ালে…
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন