কবিতার কালিমাটি ১১৮ |
একাকিত্ব
নিঃশব্দের চাবুকের
ঘায়ে
ক্ষতবিক্ষত
চিন্তার তরঙ্গ, বিধ্বস্ত আবেগ,
শব্দমালার খোঁজে
চাতকের চেয়ে থাকা।
আর আছে নিস্তরঙ্গ
জ্যোৎস্নায়,
হালছাড়া নৌকায়
উদ্দেশ্য বিহীন
ভেসে থাকা।
দিশারী নক্ষত্র
নতজানু,
বন্দী, ক্রুদ্ধ
মেঘের আড়ালে;
গুমোট ভরা অন্ধকার
রত্রি।
নিরাশার বন্দীগৃহে
খুঁজে বেড়ায়,
আলোক স্তম্ভের
অস্তিত্ব হায়;
দিশাহীন একাকিত্বের
যাত্রী।
জেগে আছি অন্ধকারে
ঘুটঘুটে কালো
অন্ধকারে
আজ সাক্ষী ছিল
কারা?
জেগে আছে কলম,
কালি
আর জেগে জোনাকিরা।
জেগে আছি আমি,
জেগে আছো তুমি
দুটো চোখ বলতে
কী চায়?
বিন্দু বিন্দু
জমে উঠেছে ভালোলাগা,
নিঃশব্দে, অন্ধকারে,
আকাশের গায়।
অন্ধকার রাতে
কে দেখেছিল...
চিন চিন ব্যথায়
ঝিনুক ও জেগেছিল!
একমুঠো আলো
ধরে রেখে বুকে,
ব্যথা দিয়ে
মুক্তো পুষেছিলো।
ভুলে যাওয়া নাম
চিল, আকাশে
ডানা মেলেছে,
বসন্ত যাবার
বেলা!
রোদ্দুরে পুড়ে
যাওয়া গায়ের রঙের তলায়,
মনের ধিকি ধিকি
আগুনের পান্ডুলিপি,
চাপা পড়ে আছে
অনেক গল্প!
আরো আরো আছে
চাপা পড়ে,
টায়ারের চটি,
ছেঁড়া ফ্রক, জলে ডোবানো ভাত,
কাঠের বোঝা,
চিক চিক করা ঘাম!
উদাসী হাওয়ায়
গা ঢেকেছে;
ঝরা পলাশের
মেলা!
সামনে বিস্তর
এই প্রান্তরে ছায়া নেই,
আছে চামড়া
পোড়ানো রোদ্দুর,
আর ধরে রাখা
স্মৃতি, অল্প!
আরো আরো আছে
ধুসর চোখে
স্বপ্নের হাড়িকাঠ,
ঝলসানো ইচ্ছা, মহাজনের সুদ,
বারুদের গন্ধে
ভুলে যাওয়া নাম!
মিশে যাব নীলাঞ্জনে
তোমার স্বপ্ন
মাখা চোখে
মহুয়ার মাদকতা
মিশে যায়,
সবুজ উপত্যকায়!
শিশিরে-শিশিরে
কানাকানি
শরীরের বাঁক
এখনো অন্তরালে
বাঁধা হবে অন্তরাতে
যেদিন
যেদিন পড়বে
জোৎস্নার আলো
তির-তির করে
উঠবে কেঁপে
মাদলের তালে।
ওড়নার আড়ালের
সবুজাভ
যদি ধরা দেয়
কখনো
তিস্তা নদীর
রূপালি বালির আলিঙ্গনে!
সেদিন নিঃশব্দ
শব্দে হোক জানাজানি!
তুমি আর আমি...
একাকার
মিশে যাবো নীলাঞ্জনে!
মন আমার বেদুইন
মন আমার বেদুইন!
জলীয় বাষ্প
ছাড়া হাওয়া,
ধুসর দিগন্তে,
নতজানু আকাশের নীল,
নেই বসন্তের
আসা যাওয়া!
মন আমার বেদুইন!
সূর্যের উত্তাপে
আধপোড়া ভালোবাসা,
গরম বালির ছ্যাঁকা,
গারদের ওপারে
রোমান্স কোণঠাসা!
মন আমার বেদুইন!
দূর্দান্ত বালি
ঝড়ে ঢেকে যাওয়া আকাশ,
ভোরের ঠান্ডা
বালিয়াড়িতে লেখা নাম,
দুপুরের নিরঙ্কুশ তপ্ত মরীচি
অসাধারণ 🙏
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুন