কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১০৬


শূন্যতার এপিটাফ

 

()

 

এরপরেও কেউ একজন এপিটাফ লিখবে,

চোখের জল মুছে কয়েকটা শব্দ অথবা,

হিয়ার লাইস ওয়ান হুস নেম ওয়াস

রিট ইন ওয়াটারপিছিয়ে সেই শূন্যতা

অথচ তার কাঁধেই একদিন বটগাছ আর ঝুড়ির পালাবদল,

দম বন্ধ করে কেউ একজন বিকৃতি কাটিয়ে চলবার চেষ্টা

থেকেই কোন রকম বেঁচে ওঠা, ভুল করে

দরজার পাশে দাঁড়ানো মুহূর্তকে বগল দাবা,

সেখানেই কয়েক কেজির ভরসা, গায়ে লেগে থাকা বদলের স্বপ্ন

 

()

 

চেয়ার টেবিল উল্টানোর মাঝে একটা শিল্প আছে,

যেমন কয়েকটা ঘরের সাথেই জড়িয়ে থাকে ভালোবাসা

ও প্রচারের বাক্যরচনা, অনেকটা প্রায়শ্চিত্ত ও পাপের

সহাবস্থান খাবি খায় দ্বন্দ্বে ও গোষ্ঠী স্থানে

এর থেকে ভালো লাগার আর কিছু না থাকলেও দিব্যি পকেটে

ফুলে ওঠা রঙ ও পতাকায় দাবা ও শ্লাঘা বোধের প্রেম,

তার মানে এখন কেউকেটা লেজ ও দাদা, সবার একটা গোপন বৈঠক,

সেখানেই ঠিক হয়েছ কাছে ডেকে ভালোবেসে মোরগ মারতে হবে

যুদ্ধের একটা জম্পেশ ইতিহাস আছে

 

()

 

এই মাত্র স্নান হল একটা গ্লাসে, অপেক্ষার সন্ধেবেলা

পরের পয়সায় কাজু বাদাম ও কয়েক চুমুক,

ধোঁয়া ও নেশার উপপাদ্যে এখনও সেই ছকে বাঁধা মুখস্থ

ও তাদের বাড়ি ঘরএকটা আন্দোলন অর্থাৎ কিছু টাকা

পাথর ছোঁড়া বা মেঘ বৃষ্টি জ্বালানোর মধ্যেও একটা গোপন দাবা,

তোমরা জ্বালাও আমি জল দেব তোমরা পোড়াও আমিও চোখ

ঘোরাবোতারপর খুঁজতে হবে এখন কে কে লোকের বউ ঘরে

এনে পালা করে ঢেঁকি চাপেতাদের লেজ ছুঁড়ে দেওয়া

শব্দ টুকরোর সমস্ত আত্তীকরণ এক হাতে তুলে নিলেই

কেল্লা সংস্কার জল তৈরী, নুন মেশালেই কান্না,

দলে দলে সমস্ত হাঁটা ও মৃত্যুর সাথে বেড়ে যাওয়া রেটিং,

আর লুকিয়ে জ্বালিয়ে  দেওয়া একটা শান্ত নদীর চিতার

মাঝেও লাঞ্চ ও ডিনারএকটা আস্ত ও জমজমাট মাঠে

কতগুলো পশু ও পাখির কৃত্রিম তা দেওয়ার মধ্যেই

একটা আস্ত চেয়ারের ফল পাকে

মারা গেলেই শ্লেট, পেনসিল তৈরী

শুকনো রুটির সাজানো সমাধিস্তম্ভ লিপি,

জল নয়, জল নয়, ফোঁটা মদে লেখা আছে

লোক দেখানো নামযারা বোঝেনা তারা এবার

ভান করেও জপতে থাকুক, ‘রেবা রেবা রেবা রেবা


1 কমেন্টস্: