কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

নূর জহীর

 

 প্রতিবেশী সাহিত্য

 

নূর জহীরের গল্প

(অনুবাদ : মিতা দাশ)

 


লেখক পরিচিতি: নূর জহীরের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২২ জানুয়ারী উত্তর প্রদেশের লখনৌতে।  তিনি হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দুতে লেখেন। বর্তমানে ভারতীয় দিল্লির গণনাট্য সংঘের (IPTA) অধ্যক্ষ। সাহিত্য সৃষ্টির জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন টাইমস ফ্যালো, সাহিত্য একাডেমি কৃতি সম্মান, শিখর সম্মান (হিন্দি একাডেমি ), সার্ক রাইটার্স লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড, উর্দু আঞ্জুমান জার্মানি অ্যাওয়ার্ডে।

 

 

বালুচরী


আকরম আলি নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। ওর মত গরিব তাঁতির ঘরের আজ দস্তরখানায় এতো রকমের মিষ্টান্ন ও সুস্বাদু খাবার! এতো উপহার আজ অবধি কোনো দিন তো কেউ আনেনি? হতে পারে আজ অবধি কোনো গ্রাহক এতো পয়সাওয়ালা আসেনি, এই আকরমের সামনে বসা এই গ্রাহক।  গ্রাহকটি মাঝে মধ্যেই নিজের এক হাত দিয়ে নিজের দাড়ি বুলোচ্ছিলো ও দ্বিতীয় হাত দিয়ে মখমলের মত শাড়ির গায়ে হাত বুলোচ্ছিলো। আকরম মনে মনে ভাবছিলো, ইনি কীভাবে জানলেন ও ওনাকে খবরটা দিলো কে?  মনে প্রশ্নটা আসতেই আকরম রেগে মেগে নিজের বড়ছেলে শরিফুদ্দিনের দিকে কটমট করে তাকালো। কিন্তু শরিফুদ্দিন নিজের চোখ দুটো আব্বার চোখ থেকে সরিয়ে নিয়ে আরব শেখের আপ্যায়নে মেতে উঠল। কিন্ত সে জানে যে মিষ্টি ধূপের গন্ধ ও নতুন বালুচরি শাড়ির খবর ছড়াতে বেশিক্ষণ লাগে না। বসিরহাটে সবাই জানে যে আকরম একটি নতুন বালুচরি তৈরি করেছে। কিন্ত এই খবরটা তো  কলকাতায় আর এই আরব শেখকে জানবার কি বা দরকার ছিল?

নিজেরই আনা  মিষ্টির প্লেটটি যখন শরিফুদ্দিন এগিয়ে দিলো তখন ইশারায় সে মানা করে দিল আর একটি সাধারণ মখমলের কাপড়ে জড়ানো বালুচরির দিকে হাত বাড়ালো। আকরম আলি ঢাকা দেয়া শাড়ির উপর নিজের হাতটা রাখল, ওর গোটা শরীরে যেন বিদ্যুৎ নামলো। কত আশা করে সে এই শাড়িটিকে হাত করঘায় তুলেছিল। সবার চোখের আড়ালে নিজের বৌয়ের গহনা বিক্রি করে মুর্শিবাদ গিয়ে কোয়া কিনে এনেছিলো। সে ভেবেছিলো খাদিজা তো মারা গেছে আজ চার বছর হতে চলল, এখন ওর গহনা ফেলে রাখার কোনো মানেই হয় না। মুর্শিবাদ থেকে আনা এক একটি রেশমের কোয়া থেকে সুতো বার করে সেগুলিকে ভালো করে মিহি সুতো তৈরি করল। যখন সিল্কের মিহি সুতো তৈরি হল সেগুলিকে ভালো করে যত্নে রং করল। তক্ষুনি মখমলের কাপড়ে জড়ানো শাড়িটি আলগা করতেই সব্বাইকার চোখে বালুচরীর আঁচলের ঝলমল ঝলকে  নিঃশ্বাস থেমে যাওয়ার উপক্রম। হঠাৎ আরব শেখের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ‘শুভানুল্লাহ’।

আকরম আলির ব্যাটাদের খুশির ঠিকানা রইলো না, মনে মনে ভাবলো, যাক এবার শেখ ফাঁদে পড়েছে!

আকরমের হাত দুটো কাঁপছিলো। সেই হাত দিয়ে সে শাড়ির এক এক করে ভাঁজ খুলছিল, ওর সঙ্গে সেইসব স্মৃতিগুলি ঘুরপাক খাচ্ছিলো।  নীল রং নিয়ে কতই না তর্ক বিতর্ক হয়েছিল রঙ রঞ্জক গুলাম নবীর সঙ্গে, আকাশী নীল, সমুদ্রের নীল, শঙ্খের নীল বা ফিরোজী নীল? বিরক্ত হয়ে গুলাম নবী বলে উঠলো,  “আরে বাবা ময়ূরের রং কি এতো নীল হয় কখনো?”

“আরে বোকা ময়ূর কি মেঘ দেখে নাচে? সে তো নাচে ঢং করে”।

“ময়ূর নাচছে এরকম কাজ তৈরি করা কি জরুরি?” গুলাম নবী আগে যুক্তি দিলো।

“বাহ বেশ বলেছিস তো! যে নাচেই না সে আবার কেমন ময়ূর? সে তো কাক!”

বালুচরি তৈরি করা কোনো চাট্টিখানি কথা নাকি? তাই আকরম গোটা বছরে শুধু মাত্র দশ বা বারোটাই শাড়ি তৈরি করতে পার। সবকটা শাড়ি সে দুর্গাপূজোয়  মা’কে পড়াবার জন্যই তৈরি করে। এই শাড়িগুলি কলকাতার ও আশেপাশের পূজা কমিটির লোকেরা এসে নিয়ে যায়। ওর তৈরি করা বালুচরি কেনার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। আকরমের হাতে তৈরি করা বালুচরি শাড়ি যদি দুর্গাঠাকুরকে পরানো হয় তবে দুর্গার রূপ দেখার মত হয়। দুর্গা মায়ের প্যান্ডেলে  এসেই ওরা চিনে নেয় যে দুর্গার পরনের শাড়িটা আকরমের তৈরি করা। সবার মুখে মুখে “দেখ ইটা আকরম তাঁতির হাতের তৈরি বালুচরি!” আকরমের বুক ফুলে উঠে গর্বে। কিন্ত ওর বুকে সারাক্ষণ একটি কথা বারবার হুমকি দিয়ে ওঠে,   সে তো দুর্গামা’কে শাড়ি বিক্রি করেছে, মা’কে পরায়নি! মা’কে তো সেই মানুষটি উপহার দিয়েছে যে এই শাড়ির দাম দিয়েছে। আকরম মনকে বুঝিয়ে ভাবলো, একদিন সে একটি এমন অসাধারণ বালুচরি তৈরি করবে যার কোনো দাম এই বিশ্বে নেই। দারুণ কারিগিরির নমুনা হবে সেটি। বিশ্বের একমাত্র সেরা শাড়ি! এমন শাড়ি ও কাজ যে সেই কাজ আকরামের কাজকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাবে। সবাই ওর হাতের কাজের সূক্ষ্ম কাজগুলি দেখে আশ্চর্য বোধ করবে এবং ওর এই কাজের নমুনা একটি শিল্প হয়ে দাঁড়াবেন। সবাই ওর কাছে এই সূক্ষ্মতা শিখতে আসব। সে কিন্ত সেই বালুচরি বিক্রি করবে না, উপহার দেবে দুর্গামা’কে।

একটা ঠক শব্দ হবার সঙ্গে সঙ্গে  আকরমের তন্দ্রা ভাঙলো, সামনে এক হাজারের অনেকগুলি টাকার বান্ডিল টেবিলে পড়ল। তাড়াতাড়ি তিনটে বান্ডিল আরো টেবিলের ওপর এসে পড়ল। শাড়ির দাম এলক্ষ টাকার বেশি ছিল না কিন্ত  এখানে তো প্রথমে তিন আবার এক বান্ডিল মানে গোটা চারলক্ষ টাক! ওর মনে একটা ঝড় বয়ে গেল, যদি এই টাকা পাঁচ বছর আগে ওর হাতে আসতো  তাহলে খাদিজাকে আর মরতে হত না। না তো খাদিজার প্রাণ বাঁচাতে পারলো আর না কোনো ওর ইচ্ছাই পূরণ করতে পারলো। বেচারি একটি আকরমের হাতে তৈরি করা বালুচরি পরতে পারলো। শেখ ওর দিকে আরো একলক্ষ টাকা এগিয়ে দিল। শেখের কাছে দাঁড়ানো সেক্রেটারি বলল, এটা তোমার বখশিশ, তোমার কাজ ও মেহনত দেখে এই টাকা তোমাকে পুরস্কার রূপে দিচ্ছেন!

"কিন্ত শেখ সাহেব আপনার দেশে তো মেয়ে মানুষরা শাড়ি পরে না? আপনি এটা নিয়ে কি করবেন? "

"সামনের মাসে আমার শাদি। আমরা ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েকে আবায়া পাঠাই, এই শাড়ির কেটে আবায়া তৈরি করা হবে, আঁচল দিয়ে তৈরি হবে নকাবের উপরের ভাগ। ভীষণ সুন্দর লাগবে এই শাড়ি দিয়ে তৈরি আবায়া, বোধ হয় আমার বিবি প্রথম রাতেই  চাইবে সেই আবায়াটি পরতে। "

"আপনি আমার এতো সাধের, মেহনতের শাড়িটির উপর কাঁচি চালাবেন?"

"না কাটলে আবায়া কি করে তৈরি করা যাবে বলুন তো?" শেখ নিজের হবু বিবির জন্যে বেশ দামী দামী উপহার যেমন নক্কাসী করা কলকাতার সোনার নেকলেস ও কারুর মুখে খবর পেয়ে এই বালুচরি কিনতেই এখানে এতো দূর বসিরহাটে আসা। মোটামুটি সৌদা তো হয়েই গেছে , এখন কেন শুধু শুধু এতো মগজমারি? দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে শেখ একটু বিরক্তি বোধ করছিলো। আকরম আলি হঠাৎ দাঁড়িয়ে মন ভরে এক নজর বালুচরীর দিকে তাকালো, তারপর বলে উঠল-

"বুর্কা তো গা ঢাকার জন্য হয়।"

"সব কাপড় তো গা ঢাকার জন্যই হয়।" শেখের সেক্রেটারি বলে উঠলো।

"সবার কথা তো আমার জানা নেই, আমি যতদূর জানি শাড়ি গা ঢাকা দেয়ার জন্য হয় না।"

"তাহলে কিসের জন্য হয়?" শেখের সেক্রেটারি ব্যঙ্গ করে উঠলো।

"বহু বছর আগে মানুষ পশুর ছাল আর গাছের পাতা ও ছাল দিয়ে গা ঢাকা দিত।  তাহলে এতো সুন্দর সুতো, রেশমের কারুকাজ্জের কি বা প্রয়োজন ছিল? না গো না শাড়ি গা ঢাকার জন্য তৈরি হয়নি, দেহের সৌন্দর্যকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য। শাড়ির আঁচল দিয়ে এমন করে মাথা ঢাকতে হয় যাতে আঁচল  বার বার মাথা থেকে সরে যায়, কখন গলায় ও কখনো কাঁধে ও বুকে। এমন ভাবে সরে যায় যে সামনে যারা রয়েছে ওরা ওর সুন্দর মুখের উপর ছড়িয়ে পড়া কোঁকড়ানো চুলের লহর ও সুন্দর গ্রীবা, লম্বা বাহু দুখানা, চিকন কোমর ও পায়ের গোড়ালি দেখতে পায় ও এই পৃথিবীর সুন্দরতম সৌন্দর্যকে দেখে ঈশ্বরের হাতের কারুকার্য্যের তারিফ করতে পারে।"

আকরমের কথা কিছুই শেখের মাথায় গেল না, সে কিছুই না বুঝেই আকরমকে বলল, "তুমি কিন্ত তাঁতি কম কবি বেশি বলে মনে হচ্ছে, তোমার কথাবার্তা শায়রের শায়েরির মত শোনাচ্ছে। মেয়েমানুষদের পরনের কাপড়ও তৈরি করো, বেশ আশিক মেজাজের মানুষ তুমি তো!"

"জী জনাব ঠিক বলেছেন। বহু বছর আগে নাকি য়ুনান আর রোমের মরদরা  শাড়ির মত লিবাস পরতো; কিন্ত মরদদের সোজা ফ্ল্যাট বুক ও খটখটে দেহে কি আর শাড়ির মত লিবাস মানায়? শাড়ির সৌন্দর্য্য তো কোমল, তরঙ্গিত দেহেই মানায়, দেহের উঠা নামাই শাড়িরও সৌন্দর্য্য। তাই তো আর কোনো দেশে এই রকম লিবাস আর কেউ পরার সাহস করেনি। মরদেরা বহুকাল আগেই ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু সুন্দরী মেয়েরা আজো শাড়ির বন্ধনেই বাঁধা। ওদেরই তো বালুচরী পরা উচিত।"

"যাকগে এইসব আমার জানা নেই আর জেনেই বা কি হবে। হ্যাঁ কিন্ত তোমার তৈরি এই বালুচরী সত্যি খুব বেহতরীণ... হামারা বিবি ইস্কা আবায়া পহনকর বহুত খুশ হোগী।"

"আমি কিন্ত আপনাকে আমার তৈরি শাড়ি বিক্রি করবো না!"

আকরমেরে ছোট্ট বাড়ির  উঠান ভর্তি গায়েঁর লোকজন জমা হয়ে অবাক হয়ে দেখছিলো। বসিরহা্টে কেউ কখনো মার্সিডিজ বেঞ্জ দেখেই নি, ওরা ঘরের ভেতরের কথাবার্তা দম বন্ধ করে মন দিয়ে শুনছিলো। শাড়ি বিক্রি করবেন না শুনে উঠান ভর্তি লোকেদের বন্ধ মুখ খুলে গেল। এক মুহূর্তের জন্য শেখও থতমত খেয়ে বসল। তারপর নিজেকে সামাল দিয়ে বলল, "আমি কি দাম খুব কম ধরেছি? "

আকরম কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো, তারপর শাড়ির উপর হাত বুলিয়ে নিয়ে বেশ  যত্ন করে মখমলের কাপড়ে জড়াতে জড়াতে বলে উঠলো, "এই শাড়িতে আমার আত্মা জড়িয়ে রয়েছে শেখ সাহেব, আর আপনি বোধহয় জানেন যে, আত্মাকে কাটা ছেঁড়া করা যায় না, ছুঁচ দিয়ে সেলাই ফোঁড়াইও করা যায় না সাহেবজান! "

"কি যে বলো আব্বা?" আকরমের দ্বিতীয় ছেলে কারিমুদ্দিন বলে উঠলো। "এতো টাকা তো আমরা জীবনে কখনো দেখিনি!"

"চুপ কর কুঁড়ে কোথাকার, তোকে তো আমি আমার এই কারুকার্য্য কতবার শেখাবার চেষ্টা করেছি। কিন্ত তুই তো আর মানুষ হলি না, জানোয়ারই রয়ে গেলি। তাঁত তো তাঁত, তুই তো রেশমের সুতোও বুঝলি না, এমন কি হাত চরকায়ও বসতে শিখলি না। আধঘন্টা বসেই তুই হাঁপিয়ে উঠে বলতিস, হায়  হায় আমার কোমর ধরে গেছে। কোমর ও চোখ যদি নাই ঘষালি, তাহলে বালুচরী কি এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায় পোলা?"

"কিন্ত তুমি তো শাড়িটা তৈরিই করেছো বিক্রি করার জন্যই?" শেখের সেক্রিটারি এবার বলে উঠলো।

"আজ অবধি আমি যত শাড়ি তৈরি করেছি সব ক’টাই বিক্রি করেছি। কিন্ত এটা বিক্রি করব না। আমি এই শাড়িটা মা দুর্গার জন্য তৈরি করেছি।"

"সে আবার কে?" শেখ বোধহয় মা দুর্গার নাম কখনো শোনেই নি! সে মনে করল, মনে হয় সে ওর চেয়েও কোনো আরো মালদার পার্টি।

"আব্বা দেবীকে পরানো শাড়িটিও তো দুর্গা বিসর্জনের সঙ্গে নষ্ট হয়েই যায়। ঠাকুরের সঙ্গে সেটিও বিসর্জিত হয়ে যায়।" একটি কষে চড় বসলো আকরম করিমুদ্দিনের গালে। করিমুদ্দিনের শরীর নড়ে উঠলো।

"কাফেরের মত কথা বলবি না, খবরদার! বেটিকে সাজিয়ে গুছিয়েই শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে হয়। আমার শাড়িট পরে দশদিন দুর্গামা শিব ঠাকুরকে মোহিত করার চেষ্টা করে, তবেই তো মহা তপস্বী শিবের তপ ভঙ্গ হয়। এই সব হয় আমার তৈরি করা শাড়ি পরেই তো!"

"একসঙ্গে দূর্গা এতোগুলো শাড়ি পরে কী?" শরীফুদ্দিন বলে উঠলো।

"ক’টা পরে, কীভাবে পরে, কেন পরে, এই সব তো দেবীই জানেন। আমি তো শুধুমাত্র এই জানি যে, আমার তৈরি করা শাড়ি মায়ের বেশ পছন্দ। তাই আমার হাতে প্রত্যেকবার ভালো ভালো শাড়ি তৈরি হয়েই যায়। সবই মা দুর্গার প্রতাপ।"

শেখ রেগে উঠলো। বলল, "তুমি মুসলমান হয়েও দেবী দেবতা মানো? তাজ্জব বোধ করছি!"

আকরমের চেহারায় রাগের কোনো চিন্হ দেখা গেলো না, আর ঘৃণাও নয়। শুধু ওর চেহারায় একটি শিশুর মত স্নিগ্ধভাব ফুটে উঠল। ঠিক তেমনি খুশি, যে কোনো বাচ্চা নিজের বাড়ির ঘুলঘুলিতে পাখির ডিম্ দেখে বোধ করে। প্রথমে ডিম, তারপর ছোট্ট ছোট্ট  পাখির বাচ্চা। কিছুদিন পর দেখা যায়, ছোট্ট ছোট্ট পাখনা। আর সেই বাচ্চা পাখিদের প্রথম ওড়া... আহা! মখমলে জড়ানো  বালুচরী শাড়িটাকে বুকে জড়িয়ে সে বড়োই সম্মানের সঙ্গে বলল, “আপনারা মানুষ হয়েও শিল্পের দাম ও মর্ম বোঝেন না... তাজ্জব বোধ করছি!"

 

 

1 কমেন্টস্: