অরুন্ধতীর ঘর  
কাচ ভাঙার শব্দে অরুন্ধতী ঘিয়ে রঙের চমক দিল 
আকাশপারে
আকাশ পারে!
আমি মি 
মি কি কারো নাম, কোনো চাউনিগহন কোড 
মি’র সঙ্গে মিমির সঙ্গে
মিমিদের সঙ্গে
আমি
মনে হয় যেদিন রোলকল হলো, কে যেন বলল, স্যার একটা ছিটকিনি না দিলে
                                     অবন তো হেসে উঠবে
আমি তুলি আর ব্রাশ আর অনেক
কাঁচা রঙ নিয়ে
আর মিমিদের নিয়ে 
আমিই তো আকাশপারে কী যে বানালাম, কার ঘর কীসের বাড়ি
অবন হেসে উঠল  
ঠাকুর হাসে
অরুন্ধতী জা্নালা বোনে পার ধ’রে আকাশের 
আকাশপারে   আকাশই পারে...  
ভোর 
খুব সকালে খুব ভোর হয় না 
স্পিন থাকে
মাটিতে পড়ার আগে যে সামান্য
হিমেল বাঁক
যে অসামান্য চোখছাড়া ভ্রূ
পড়ো পড়ো
পা আসে, লাইনে হেরফের হয়, এ
কোন সকাল
                      ভোর ভোর কে টাঙিয়ে দিল
প্রসন্নদা কুম্বলেদা
শান্তিনিকেতনে
ছুঁয়ে দিই
পাতা হাতের কুশন ছেড়ে সেই
ঘোর লাগা
                     একটাই তো, আমি কেন দুটো
দেখছি
ড্রপ খাচ্ছে, বুকের খুব
কাছে আমার হাঁটু আমার ব্যাট
সরলবর্গীয় খেলা 
ড্রাইভ এরপরেই ক্লা ক্লা
সোনাঝুরি পর্যন্ত ভোর 
ভোর না-চেনা সকালও
স্পিনে দাস্তাঁ দু’পাট্টার  
পাঁচু মন্ডল-১ 
ফেরার সময় প্রায়ই মনে হতো যে হলে হয়
নদীতে একলা স্নান 
গানে বেমক্কা ঢুকে যাওয়া রাই শব্দটা
হয়
জীবনের রঙ খয়েরি হলেও 
হয় আমাদের রঙে রাইকে ডাকার রাস্তা
শেষে রাই তো থাকেই
আর ভ্রমরের অবসান মাখা দুটো চোখ
ফেরে না   নদী আছে শুধু সে নেই
ডুবেও যায়নি ও
পুলিশ বাঁশির কথা জিগগেস করছে কেন   হাসছে কেন
আবহাওয়া 
যে আমার শিথিল ট্রিঙ্কাস... চিল্ড কিন্তু শাড়ি না পরার অবহেলায় ঠেসে ধরা
মার্জিন, পুরু টেন্টে লাগানো বঙ্গীয় চাঁদ, চাঁদু
তাতে শ্যাম ঘন হ’য়ে শাড়িকে উদার
লীলা ধিকিধিকি প্যাঁচ, যে ওখানে থাকে সেকি ওখানেই থাকে
নাভিবেকার হয়ে, স্ট্রিটে চুরুট ধরাবার অপেক্ষায়
বৃষ্টিঘের মৌসিন যেন, ব্রামরাম বৃষ্টি আর ঘুরে বসবে না
রংতো সেই স্টিলেটোর হাই 
আজ সোঁদা গন্ধে মেশানো, আজ আর ফস্কাবে না শেষ লোকাল
চাঁদের ফাটাফাটিতে ঢুকছে বারাসতের লম্বা মেয়েলি ভয়...
 
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন