কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

শুভ আঢ্য

ব্ল্যাক অ্যাণ্ড হোয়াইট ময়ূর 

মেঘ নিয়ে কোনো গ্লাসবন্দী কথা নেই তার
যা কিছু খোলা রাখা হয়ে থাকে বর্ষা নামার কারণে
বুক তাই’ তো,
                      অথবা বন্‌ধের দিনের দুধের দোকান
                      অথবা বোতামঘর
                      অথবা চিড়িয়াখানা, ছুটির দিনে

সে আমাকে ছুরি চালানোর কথা বলে
ডিসেকশনের কথাও তার দাঁত
ওপর
নীচ
করে আমাকে জানায়
চামড়ার চেন খোলা-বন্ধের দিনে
ফর্ম্যালিনের একটা বোতলের বড় দরকার হয়ে পড়ে

এইমাত্র, বর্ষার রুবারু থেকে একটা সাদা-কালো ময়ূর লাফিয়ে নামল
২০১৬’র ফ্ল্যাট টিভিতে যার ফলে বেড়ে গেল বর্ষা অনেকটাই,

আমি আর সে ঘর থেকে দেখলাম ঘরটা প্রায় ছুঁয়ে
চলে গেল একটা হেলিকপ্টার
পাখা থেকে কিছু পালক ঝরে গেল

ময়ূর আর টিভি থেকে কালার পিক্সেলগুলো
সরিয়ে নিয়ে নিজেদের পিকাসোর কাছে গেল হাওয়া খেতে
সফট্‌ওয়্যারমাফিক, এখন লোড হচ্ছে তারা, যদিও
পিকাসো একজন মোরগের ঝুঁটিতে সাময়িক প্রতিস্থাপিত করলেন রংগুলো
যদিও
             মোরগটি ব্যস্ত ছিল ভোর তৈরিতে
             মোরগটির ওপর ন্যস্ত ছিল ডিম তৈরির দায়িত্ব

তিনি দেখলেন ছুরির ছায়া ও কিছু পালক থেকে
ময়ূরকণ্ঠী রঙের ড্রেসে আধভেজা হয়ে গেছে সে, তার
নাভিতে হিমোগ্লোবিন আঁকলেন পিকাসো, ইতিমধ্যে আমি সেই
জঙ্গলের রাস্তা চিনলাম এবং পরবর্তী বর্ষার প্রার্থনা শুরু হলো
তিনি তাঁর ইজেল থেকে সরে দাঁড়ালেন

ময়ূরগুলো তাদের পা থেকে ঘেন্না সরিয়ে
                          হেঁটে গেল ডান দিকে
                          DONE বলে থামলেন। পিকাসো...

অথচ টিভি জানে সে কালো থেকে এখন জেব্রার কথা ভেবে
আগুনে পুড়বে, আর এগিয়ে দেব জ্বালানি আমি
আর সাদা ভাবাবে সৎকার আমায়, এও অজানা নয় টিভির যে
তার পিকচার টিউব খুলে রেখে চোখ থেকে
হাত সে নামাবে দারুণ মোহ’তে
আর মোহ থেকে বেরিয়ে আসবে
আর দু’টো সাদা-কালো ময়ূর
সাদা ময়ূরের ভ্রূণ
শ্বেত কণিকা ও কাউন্টেড স্পার্ম
এই ২০১৬’তেও সে ময়ূরপুচ্ছ রাখবে ঘরে, বাস্তু অজুহাতে
এবং নোংরা হলে ঘষবে সাবান

সাড়ে ৩ ফুট উঁচুতে উড়ে ময়ূর দু’টো বেরোবে সাপের খোঁজে আবার
এটাই ২০১৬ যেখানে সাপ শুধুই টিভির পিক্সেল ক্ষয়ে
চলে গেছে হাইবারনেশনে, এখন পিঁপড়ের ডিম খেয়ে
সেই কালো-সাদা ময়ূরগুলো বর্ণহীন মেঘের কথা ভাবে
আর পিকাসোর দিকে এগিয়ে যায়

সে দেখে পিকাসো ফোটো এফেক্টে মারাত্মক আহত হয়ে পড়েছেন
ও বাকি কাজ সঁপে যাচ্ছেন আমাকে যখন, দেখছি
মেয়েটি সেই সাদা-কালো ময়ূরগুলোকে পার করাচ্ছে জেব্রাক্রসিং
যে রাস্তায় শুধু জিপ ছাড়া কিছু নেই আর

টিভিতে ডাইরেক্ট কানেক্টিভিটি থেকে ময়ূরগুলো তাদের ভলিউম
কমিয়ে নিচ্ছে, রং নিয়ে সংযত হবার চিন্তায় তারা বন্ধুত্ব করছে
গিরিগিটির সাথে, আর কিছু মানুষ বক্তৃতা করছেন
আরও কিছু মানুষ জড়ো হয়েছেন, কিছু রঙিন পতাকা উড়ছে
যদিও এইসব রং নিয়ে আমার চিন্তা নেই কোনো

জনগণ সংসদভবনের বাইরে অপেক্ষা করছেন
ময়ূরগুলোর সাদা-কালো তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সম্বন্ধে
সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা থেকে বাঁচিয়ে যাচ্ছে, যদিও আঘাতের খবরে
বনদপ্তরের কর্মীদের মধ্যে সাজো সাজো রব পড়ে যাচ্ছে
এ সব কিছুই মেয়েটির দেখা হয়ে থাকছে ২০১৬তে

(কৃতজ্ঞতা – মনোজকুমার দে)



2 কমেন্টস্:

  1. কবিতাটু পড়বো কি করে? না, এযেন্সির কোন লিফলেট নয়। এটা, ইমার্জেন্সি সার্কুলেশন। শুরুর কোন সামনে পিছন নেই। এটা সত্যিই নতুন শুভ। নতুন শুরু। দশদিক থেকে শব্দ নামছে। আমার কেন্দ্রীয় চোখ এবার মেরুবর্তী। দারুণ শুভ

    উত্তরমুছুন