যাপনে সন্ন্যাস
এক সকালে
ভালোবেসে খুলে দিলাম আমার ঘরের দখিন দুয়ার।
ভেবেছিলাম সকালের আলো মাখলে বুঝি
শহুরে মুখের আদল বদলে যাবে।
রাতগুলোতে একলা ঘরের পুরনো ধুলোমাখা আয়নায় নিজেকে বৃদ্ধ বলে মনে হয়।
আমার আটপৌরে হাতে চশমা খুঁজে
বৃষ্টির বিচিত্র অঙ্ক কষি হিসেবের খাতায়
পূবের জানালা খুলে বসে।
গোধূলির গন্ধ উড়ে আসে পশ্চিমের জানালার বেল ফুলের ঝোপ থেকে।
না,
উত্তরে আর জানালা নেই।
তোমার শখের সেই বেলজিয়াম গ্লাসের দরজার গ্লাস পেইন্টিং ভেদ করে দুপুরগুলোয় আজও আধ শুকনো যমুনার
স্রোতে চোখ ভেসে যায়।
তোমার শখের সেই বেলজিয়াম গ্লাসের দরজার গ্লাস পেইন্টিং ভেদ করে দুপুরগুলোয় আজও আধ শুকনো যমুনার
স্রোতে চোখ ভেসে যায়।
যদি পারতাম এক গন্ডুষ জল দিয়ে, মাধুকরী রাতের সব সঞ্চিত
পাপ ধুয়ে দিতে!
জানি না কী করে তুমি রোজ
সকালগুলোকে আলো দিয়ে
দীর্ঘতর করে যেতে।
পাপ ধুয়ে দিতে!
জানি না কী করে তুমি রোজ
সকালগুলোকে আলো দিয়ে
দীর্ঘতর করে যেতে।
আজ শঙ্খে তুলেছি বিষ,
একদিন ওষ্ঠ শুকিয়ে গেলে
ছোঁয়াব তোমার স্বর্গীয় ঠোঁটে ঠোঁট।
একদিন ওষ্ঠ শুকিয়ে গেলে
ছোঁয়াব তোমার স্বর্গীয় ঠোঁটে ঠোঁট।
প্রেম
দুটো পাহাড় অরণ্য হয়ে একটি প্রেমের উপন্যাস লিখে যেতে থাকে।
ব্রাউন ওক কাঠের যে কঠিন গদ্যে জীবন তৈরি হয়ে এসেছে শীত ও বসন্তের কাছে। আমি তার পায়ের কাছে নতজানু হয়ে বসে বর্ষায় কচি ঘাসের জঙ্গল ঘন করে, তার সবুজে রামধনু রঙ ফুলের বুদবুদ্ ছড়িয়ে দেব সকালের কচি রোদের আলোয়।
তোমাকে শেষ শ্বাসবিন্দু পর্যন্ত শ্বাসনালীতে বেঁধে রাখব।
সারস্বত
মাটির সোহাগ মেখে পড়ে থাকি
আমার শৈশবের এক্কা-দোক্কার উঠোনে
আমাকে ছুঁয়ে থাকে আম্রপালি মুকুল আর পৌষালী ধানের ঘ্রাণ
বারবার ভালোবেসেও পোষ মানাতে পারিনি এক ঝাঁক পায়রাকে
বিষণ্ন নীলে লিখে রাখি আমার অধরা স্বপ্নের সারস্বত দিনলিপি
মসের মতো বুকে জমে আছে অসমাপ্ত শিলালিপি
সতীদাহের দিনে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন