অপেক্ষা
যাপনের মুহূর্তগুলো দ্রুতগামী ট্রেনের জানালা
বাইরে দৃশ্যগুলো তুলির আঁচড়
ইচ্ছেগুলো রাতজাগা অ্যাশট্রেতে নেভা ছাই
জড় ও জীবের প্রজননে সিগ্রেটের মুড়োগুলোরও 
এক একটা গল্প থাকে 
ক্লান্তিহীন বিজ্ঞান মনস্তাত্ত্বিক সম্ভাষণে 
আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজের ছবি দেখে
জানালার কাচে বন্ধ্যা কুয়াশা 
শীত যাই যাই করেও যায় না তো -  
আসে না
বসন্ত। 
কী কথা পাখির সাথে 
হারপুনে গেঁথে নিয়েছো চাঁদ। 
রক্তমাখা ফাঁদ হাতে 
কী কথা পাখির সাথে, অরণ্য-নিষাদ?
ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিনাশই যদি 
কী কথা তীরের সাথে, নদী?
টুকরোগুলো নিরুপায় 
লাফিয়ে পড়ে জলে 
জলের রেখা জলে মিশে যায়।
কে পেরেছে খুলতে?
কে পেরেছে জানতে তালাচাবি?
প্রজ্ঞা-মলিন অন্ধকার
টুকরোগুলো, ভাঙনগুলো সিন্ধু-বিষাদ।
যে শর বিঁধে 
রক্তাক্ত হয়েছ নিজে - অবিশ্বাসী হাত।
যে চক্ষু আচানক দৃষ্টি ফেরায় - 
লগ্ন-ছেঁড়া ভুলে 
কী ভেবে কী নিয়েছো, অরণ্য-নিষাদ? 
দেহ 
দেয়া নেয়া হয়ে গেলে সারা 
এসে যায় ক্লান্তির ঘুম -
এইটুকুন! 
হিসেবের খেরোখাতা - বাইরে পৃথিবী 
কাকে দিয়ে যায় তার স্ক্যাম - কোকুন!
দেহ তো শ্যালো, শ্রুড, ক্রূর, মাতাল এক -
তার সাথে মনের সংসার হাতের পাঁচ আঙুল! 
 
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন